প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১২ পিএম
পরিবেশ বিষয়ক কমিউনিটি সভায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সংগৃহীত ছবি
পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জন ও ইটভাটা বন্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও নাগরিক আন্দোলনের নেতারা। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা আয়োজিত ‘প্রোমোটিং ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স অ্যন্ড কালেকটিভ অ্যাডভোকেসি ফর অ্যানভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন ইন ঢাকা সিটি’ শীর্ষক পরিবেশ বিষয়ক কমিউনিটি সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়কারী সৈয়দ তাপসের সঞ্চালনায় অংশগ্রহণ করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, রিভার বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ ও কপিলমুনি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক বিষ্ণুপদ মণ্ডল প্রমূখ।
সভায় অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা আসলে নদীকে ডাস্টবিন মনে করি সুতরাং আমরা যে প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করি সেগুলো আসলে নদীতেই ফেলা হয়। সে কারণে আজ আমাদের আশপাশের নদী মৃতপ্রায় এবং নদীর উপর নির্ভরশীল মানুষগুলো আজ তাদের পেশা বদলে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত নদী রক্ষা করা এবং নদীর সাথে সম্পর্কিত মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করা।’
নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে নদ-নদী ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে আসছি। ইতিমধ্যেই আমাদের এই সংক্রান্ত দাবিগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এই সকল দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনায় সেই সকল দাবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওই সকল দাবি বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।’
ফয়সাল আহমেদ প্লাস্টিক বর্জ্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে প্লাস্টিকের কাপে চা না খাওয়া ও প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জনের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
সভায় পরিবেশ রক্ষার কাজে সঠিক ও কার্যকারী মনিটরিং/তদারকির ব্যবস্থা, রাজনৈতিক
প্রচারণা, ধর্মীয় আলোচনা ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে মাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে
পদক্ষেপ
গ্রহণ, নদীরক্ষা কমিশনকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান, দূষণ
প্রতিরোধে আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, জাতীয় বাজেটে পরিবেশ সুরক্ষা ও গবেষণার
বিষয়ে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা, মেয়াদ উত্তীর্ণ যানবাহনের
চলাচল ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ কলকারখানা বন্ধ, পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার প্রচারণা চালানো, সরকারি
মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশকে গুরুত্ব দেওয়া, পরিবেশ দূষণের সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া এবং নদী, বায়ু
ও পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিক
সংগঠনে প্রবেশের সুযোগ বন্ধে আহ্বান জানানো হয়।