প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৫ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৯ পিএম
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ছবি : সংগৃহীত
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মধ্যে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে বেশ কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিমান বেশ ভালোই চলছে, লাভজনকভাবে চলছে এবং যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।
বিমানের নানা ধরনের দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ আছে। সিট খালি থাকলেও বলা হয় টিকিট নেই, সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘বিমানের অব্যবস্থাপনা কতটা আছে, সেটা আরও খতিয়ে দেখতে হবে। তবে আমি মনে করি, বিমান বেশ ভালোই চলছে, লাভজনকভাবে চলছে এবং যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছে।’
‘আপনাদের বুঝতে হবে আপনারা যদি বিমানকে নিয়ে খুব বেশি আশা পোষণ করেন, এমিরেটস বা এদের মতো তুলনা করেন, তাহলে কিন্তু সঠিক হবে না। লিমিটেড এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে চলতে হয়। এয়ারক্রাফ্ট টেকনিক্যাল মাঝে মাঝে হয়ে যায়। তা ছাড়া শীতকালে কুয়াশার কারণে সমস্যা হয়। এগুলোকে আপনাদের মনে রাখতে হবে। এগুলোর জন্য অনেক সময় দেরি হয়, যাত্রায় অন্যান্য সমস্যাগুলো তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যেও বিমান চেষ্টা করে যাচ্ছে আরও উন্নতি কীভাবে করা যায়, নতুন বিমান কেনার ব্যাপার নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
বিমানের মধ্যে কিছু সমস্যাও আছে সেটা স্বীকার করে বিমানমন্ত্রী, ‘ যে সমস্যাগুলো আছে ইতোমধ্যে আমরা চিহ্নিত করেছি। বেশ কিছু লোককে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে দুজন পালিয়ে গেছে; তাদের ব্যাপারে আমরা কঠোর অ্যাকশনে গিয়েছি। এর মধ্যে যে বাংলাদেশে আছে, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। যে কানাডায় পালিয়ে গেছে, ইতোমধ্যে তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এ ধরনের যেখানে কিছু দুর্নীতি ব্যাপার আছে, এগুলোকে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
থার্ড টার্মিনালের নতুন করে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। আপনি নতুন করে বাজেট বাড়ানোকে যৌক্তিক মনে করেন কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন করে বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না সেটা তো প্রত্যেকেই দেখছেন। আমাদের সঙ্গে এটা নিয়ে যখন আলোচনা হবে, তখন আমরা দেখব যে বাজেট বাড়ানো লাগবে কি না। নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হচ্ছে, সেখানে হয়তো বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।’
প্রবাসী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টারের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিমানমন্ত্রী।
হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকে ভারতীয় হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সৌজন্য সাক্ষাৎকারে যা যা হয় আমরা আলোচনা করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিমান এবং পর্যটনের কো-অপারেশন আরও বাড়ানো যায় কি না, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে ভারতীয় তরফ থেকে আমাদের কিছু অফার দিয়েছেন, আমরাও সেগুলো বিবেচনা করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ২০০ এর ওপরে ফ্লাইট বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে চলাচল করে। এটা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তারা আলোচনা করেছেন। আমরা বলেছি আমরাও এটা দেখব। এ ছাড়া ট্যুরিজম সেক্টরে আমরা আলোচনা করেছি। কীভাবে উভয় দেশের মধ্যে বিশেষ করে ভারত থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি করে পর্যটক আসতে পারে তার জন্য পর্যটন মেলার ব্যবস্থা আমরা দুই দেশই করব। সেখানে ভিসাকে সহজ করার জন্য কী করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ভিসা জটিলতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান বিমানমন্ত্রী।