প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫১ পিএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫২ পিএম
সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমো। প্রবা ফটো
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো সংঘাত ঝুঁকি পরিস্থিতি তৈরি করে। এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ সংঘাতের কোনো প্রতিফলন ঘটলে আমরা চুপ থাকব না। চোখ বুঝে থাকব না। তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কিছ সদস্য এসেছে। আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি।’
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, দেশের মানুষের জীবন, জীবিকায় কোনো সমস্যা হলে আমরা বসে থাকব না। মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি। মিয়ানমারে সংঘাতে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো প্রভাব পড়ার সংবাদ নেই। কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার কোনো খবর নেই।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চালুর বিষয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে। থাইল্যান্ডের র্যানং পোর্ট ও চট্টগ্রাম পোর্টের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। দুবছর আগে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। দ্রুত দুদেশের যৌথ গ্রুপের মিটিং হবে। ব্যবসায়িক কাজ দ্রুত চালু করতে পারব। বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো হয়ে থাইল্যান্ডে যেতে হয়। এতে জাহাজ চলাচলে সময় লাগে ২০ থেকে ২২ দিন। সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে সময় লাগবে তিন বা চার দিন।’
এ সময় থাইল্যান্ড বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্ক যাতে আরও জোরদার হয় সে লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়ায় থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভালোভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। দুদেশের মধ্যে সংস্কৃতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব মিল রয়েছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়াতে কাজ করছি।’