কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশ সফরে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জার্মানি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মিউনিখের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের। দুই দিন দেশটির সফরে থাকবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
আরও জানা গেছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা যোগ দেবেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফিরবেন। সম্মেলনটি মূলত সমকালীন ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্চপর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও মিউনিখ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কূটনীতিক সূত্র বলছে, আসন্ন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরবেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন।
মিউনিখ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সরকারপ্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এর মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং মেটা গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, আয়োজক সংস্থার সভাপতি রাষ্ট্রদূত ড. ক্রিস্টোফার হিউগেনের আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সদয় সম্মতি প্রদান করেছেন। মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলন মূলত সমকালীন ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্চ-পর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও নেতারা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি ও বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে থাকেন।