প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৪৯ এএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:২৩ পিএম
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই মানুষের ঢল নামে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ছবি : আলী হোসেন মিন্টু
বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য একটি বিশেষ দিন আজ। ১৯৫২ সালের এই দিনে মায়ের ভাষা বাংলা রক্ষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ নাম না জানা অনেকে। এর পর থেকে দিবসটি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বাঙালি।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই মানুষের স্রোত নেমেছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। খালি পা, গায়ে সাদা আর কালো রঙের পোশাক, হাতে ফুল নিয়ে তারা আসে শহীদ মিনারে।
বেলা ১১টার দিকে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে বাঙালির শোক আর অহংকারের এই মিনার। মিছিলে ’৫২ সালে ভাই হারানোর বিষাদের সুর বলে উঠছিল, প্রভাতফেরি প্রভাতফেরি/আমায় নেবে সঙ্গে/বাংলা আমার বচন/আমি জন্মেছি এই বঙ্গে। সঙ্গী ছিল আকুতিভরা গান, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জেএসডি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)সহ ব্যক্তিগতভাবে অনেকে শ্রদ্ধানিবেদনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিদেশিসহ আপামর জনতা শ্রদ্ধা জানিয়েছে ভাষাশহীদদের প্রতি।
শ্রদ্ধানিবেদন শেষে সবাই মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি সর্বস্তরে মাতৃভাষা প্রচলন নিশ্চিতের দাবি জানান।
এর আগে মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
তাদের পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।