প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৪৪ এএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:০৪ পিএম
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’-এর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্রে তেল, গ্যাস উত্তোলনের জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। বিদেশিরা তেল, গ্যাস উত্তোলনে বিনিয়োগ করতে পারেন। আমরা চাই তেল, গ্যাসের সঠিক ব্যবহার। বিশাল সমুদ্রসীমার সম্পদ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করাই সরকারের লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’-এর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলার পাশাপাশি নিশ্চিত হয়েছে সমুদ্রসীমা। সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, সেখানে আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, ২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কোনো কথা বলেনি।
তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালে ভারত, মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে বাংলাদেশ; যা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবেই যেন অব্যাহত থাকে। পররাষ্ট্রনীতি মেনেই সমুদ্রসম্পদ আহরণে সচেষ্ট থাকব।
প্রতিটি বিভাগে মেরিন একাডেমি করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার উন্নয়নে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ব্লু ইকোনমি যাতে ব্যবহার করতে পারি সে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।