প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৯ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১০ এএম
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি জানান বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, মানুষ একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আছে। দ্রব্যমূল্যের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সুপারভিশনও নেই। মানুষ খুব অসহনীয় জীবনযাপন করছে। এই অবস্থার মধ্যে মাত্র নির্বাচনটা গেল, আজকেই সরকার বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়িয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। কারণ বলা হয়েছে- ডলারের ডিভ্যালুয়েশন এবং ভর্তুকি কমানো।
মুজিবুল হক বলেন, আমরা জানি না বিদ্যুতের পার ইউনিট উৎপাদনে বা কিনতে সরকারের গড়ে কত খরচ হয়। সব সময় বলে আসছেন হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ভর্তুকি কমাতে হবে। আগামী তিন বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি কমাবেন। কমাবেন কমান। কিন্তু কিভাবে কমাবেন? জনগণ নিষ্পেষিত, বাজারে যেতে পারছে না। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়া মানে এর সঙ্গে অনেক জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে। কারণ বিদ্যুতের মাধ্যমে অনেককিছু উৎপাদন করা হয়। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছেন। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ অনেক ফ্যাক্টরি যেগুলো গ্যাস নির্ভর সেখানে গ্যাস দিতে পারছেন না সার্বক্ষণিক। সেখানে আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছেন।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই দাম বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এরপর সন্ধ্যায় দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সংসদে চুন্নু বলেন, জনগণ অনেক আশা করে মাত্র এক মাস আগে একটি সরকার নির্বাচিত করল আর সে সরকার জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো রমজান মাসের সামনে বিদ্যুতের দাম, গ্যাসের দাম কিভাবে বাড়ায়? এটা অসহনীয়। আমি আমাদের দলের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ করব অন্ততপক্ষে গ্যাসের দাম এবং বিদ্যুতের দামটা এ মুহূর্তে বৃদ্ধি করবেন না। সরকার একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আসুক, মানুষ একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আসুক ইকোনমি একটা নরমাল অবস্থায় আসুক তখন আপনারা চিন্তা করেন। এখন অন্তত চিন্তাটা বাদ দেন। মূল্যবৃদ্ধিটা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ দিন সংসদের বৈঠক শুরু হয়।