প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৮:০২ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৯:০৬ পিএম
সংরক্ষিত আসন থেকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ পেয়েছেন এই চারজন নারী। ছবি : কোলাজ প্রবা
দ্বাদশ সংসদে প্রথমবার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হয়েছেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা ও স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা। এই দুই নারী নেত্রী প্রথমবার সংসদে গিয়েই যোগ দিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রিসভায়।
এ ছাড়া তিনবার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খানও যোগ দিচ্ছেন সরকারে। তার বাবা আতাউর রহমান খান কায়সার স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন।
শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের মেয়ে নাহিদ ইজাহার খানের জন্ম ঢাকায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদেও সংরক্ষিত নারী আসন-২ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
অনেকেই মনে করছেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দিয়েই তাদের কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন।
সরকার গঠনের এক মাস ২০ দিনের মাথায় মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়ছে। বঙ্গভবনে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নতুনদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বর্ধিত মন্ত্রিসভায় সংরক্ষিত নারী আসনের ওই তিনজন ছাড়াও সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, রাজশাহী-৫ আসনের আবদুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের নজরুল ইসলাম চৌধুরী জায়গা পেয়েছেন।
তাদের নিয়োগ দিয়ে শুক্রবার (১ মার্চ) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আজ ১ মার্চ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে দলটি। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার নতুন ৩৭ জন সদস্য শপথগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হলেও শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে রাখা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে শুধু মন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ফাঁকা থাকা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এ মন্ত্রণালয়গুলোতেও নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মন্ত্রী থাকলেও নতুন মন্ত্রিসভায় সেটা এখনও ফাঁকা রাখা হয়েছে। এজন্য অনেকেই মনে করছেন, এখানেও নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।