ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৭ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৯ পিএম
ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে। ছবি : ফোকাস বাংলা
আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের বাজার তদারকি করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু ব্যবসায়ী রমজান মাসে পণ্য মজুদ করে দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটতে চায়। সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আমাদের সব সময় লক্ষ রাখতে হবে বাজার পরিস্থিতির দিকে। কোথাও যেন ভোক্তাদের হয়রানি হতে না হয়।’
রবিবার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বাজারে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃত্রিম সংকটের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। কেউ কেউ মজুদ করে পচিয়ে ফেলবে, কিন্তু বাজারে দেবে না। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’
ডিসিদের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আমাদের অনেক কিছু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমাদের উর্বর মাটি, দক্ষ মানুষ ও বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। গ্রাম পর্যায়ে মানুষকে একটু প্রশিক্ষণ দিলে তারা ভালো কাজ করতে পারে। উৎপাদন বহুমুখী করা, শুধু কৃষি নয়, এ ছাড়া পশুপালন, মাছের চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, হস্তশিল্পসহ বহু বিষয় আছে, একটু উদ্বুদ্ধ করলে মানুষ উৎপাদন করবে।’
মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে গতিশীলতা আনতে ডিসিদের চার দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের পরবর্তী কার্য-অধিবেশন সোমবার থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে। সম্মেলনে ২৫টি কার্য-অধিবেশনসহ ৩০টি অধিবেশন হবে। সম্মেলনে ডিসিদের দেওয়া ৩৫৬টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
জনসেবা বৃদ্ধি, জনসাধারণের ভোগান্তি কমানো, সড়ক-মহাসড়ক ও সেতু নির্মাণ, পর্যটন সম্প্রসারণ, নিয়ম-কানুন সংশোধন এবং জনস্বার্থ রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রস্তাবগুলো করা হয়েছে।
শীর্ষ এজেন্ডায় রয়েছে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মসূচি, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, ই-গভর্নেস, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও এর সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ প্রতিরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিদর্শন ও সমন্বয়।
২০২৩ সালের বার্ষিক সম্মেলনে মোট ২১২টি স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং এর মধ্যে ১৩০টি বাস্তবায়ন ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ৮২টি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাস্তবায়ন বা নিষ্পত্তির হার ৬২ শতাংশ।