প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৩ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩২ পিএম
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। প্রবা ফটো
জঙ্গিদের আদালতে আনা নেওয়া করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই করোনার মতো ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না সেই পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। পরামর্শের বিষয়টি যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনে মন্ত্রী ও সচিবরা তাদের মুখোমুখি হোন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকে ডিসিদের একটি সভা হয়েছে। সভায় ডিসিরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে কিছু বলেননি। উনারা ছোট ছোট কিছু পয়েন্ট সভা তুলেছেন। যেমন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা কিছু কথা বলেছেন, জেলখানায় কয়েদিদের আরেকটু ভালো টাইট দেওয়া যায় সে বিষয়ে বলছেন। অচল হওয়া বন্দিদের আর কীভাবে ছাড় করা যায় সে বিষয়ে বলেছেন।’
বিশেষ পরিস্থিতিতে করোনার মতো ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিসিরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছেন বিশেষ করে জঙ্গিদের আদালতে আনা নেওয়া করা কিছুটা ঝুঁকি থাকে। তাই ভার্চুয়াল কোর্টের কথা বলেছেন ডিসিরা। আমরা সেটা যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা করে দেখব এইটা করা যায় কি না। সারা বাংলাদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট করা যায় কি না আমরা সেটা পরীক্ষা করে দেখব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসিদের সভায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটির সভা যেন প্রতি মাসে তারা করেন। যাতে করে সভার সঙ্গে সবার একটা বোঝাপড়া থাকে। যেন কোনো অসুবিধা হলে সেটা দ্রুত সমাধান করা যায়। সভায় ডিসিদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয় যেন তারা ইয়াবা ও এলএসডির মতো মাদকের বিরুদ্ধে সামজিক সচেতনতা গড়ে তোলে। আমরা ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এখন দেখা যায় প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না। কেউ ধূমপান করলে তা আড়ালে করে।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। বিশেষ করে রোজার আগে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করে।’
নদীপথে যেন যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করা হয় সে জন্য ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। ডিসিদের যখন প্রয়োজন তখনই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।