× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কুমিল্লায় জয়ী সূচনা ও ময়মনসিংহে টিটু

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৮ এএম

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৭ এএম

কুমিল্লায় জয়ী সূচনা ও ময়মনসিংহে টিটু

কুমিল্লায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি, প্রভাব বিস্তার, ভোটারদের বাধা দেওয়া, প্রতিপক্ষের এজেন্টদের মারধর এবং ফলাফল শিটে প্রতিপক্ষের এজেন্টদের আগেই স্বাক্ষর নিয়ে রাখার অভিযোগ, আর ময়মনসিংহে ইভিএমে ভোট দিতে ভোগান্তির মধ্যে শেষ হয়েছে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। একই সঙ্গে দেশের আরও ২২৯টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেও নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ১৮টি অপ্রীতিকর ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বেসরকারি ফলাফলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কন্যা কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা। আর ময়মনসিংহে সাধারণ নির্বাচনে মেয়র পদে সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় অনেক বেশি ভোটের ব্যবধানে নিশ্চিত বিজয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন। 

কুমিল্লায় তাহসীন বাহার সূচনা বাস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৯৭ ভোট। কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৫ ভোট। এ ছাড়া কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ১৭৩ ভোট। ভোটের হার ৩৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। 

গতকাল ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে ঘড়ি প্রতীকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কি হাতি প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৬৩ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষিবিদ রেজাউল হক হরিণ প্রতীকে ১ হাজার ৪৮৭ ভোট আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট। এর আগে ২০১৮ সালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম মেয়র হন ইকরামুল হক টিটু। 

সিইসি যা বললেন

কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে গতকাল শনিবার বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, ২৩১টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন হয়েছে। বেশিরভাগই উপনির্বাচন। ময়মনসিংহে পূর্ণাঙ্গ, কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন হয়েছে। কিছু জায়গায় দু-চারটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ১৮টি অপ্রীতিকর ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুমিল্লায় উল্লেখযোগ্য দুয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। 

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি যে প্রভাব খাটানো হয়েছে, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি হয়েছে। তবে তাতে কেন্দ্রের ভেতরের ভোট প্রভাবিত হয়নি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, কুমিল্লায় বেলা ৩টা পর্যন্ত ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ সময় বলেন, বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ময়মনসিংহে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকাল ৪টার পরও ওইখানে একটা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

বরগুনার আমতলীতে ৬০ শতাংশের মতো, পটুয়াখালীতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, এসব পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। প্রত্যাশিত সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু বন্ধ হয়নি।

কুমিল্লায় সদরে প্রভাব বিস্তার, দক্ষিণে ভালো ভোট 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর কেন্দ্রে কম ভোটার চোখে পড়ে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় বাস প্রতীকের তাহসীন বাহার সূচনার কর্মীরা। ভোটের শুরুতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় এমন চিত্র। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ে। 

সকাল ৮টায় রিয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ প্রায় ৩০ জন পুলিশ এবং আনসার সদস্য কেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন। সকাল ৮টার একটু আগে কেন্দ্রের সামনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয় টেবিল ঘড়ি, ঘোড়া ও হাতির এজেন্টদের। 

নগরীর কাপ্তান বাজার ও ইসলামিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীদের দেখা যায়। তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী। বাগিচাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সংলগ্ন ভূতের গলি, অশোকতলা, মালেকা মমতাজ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ এবং কুমিল্লা হাইস্কুল কেন্দ্রেও একই চিত্র দেখা যায়। কুমিল্লার অন্যান্য উপজেলায় অনেক নেতাকর্মীকে ভোটকেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়। 

টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ৫, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডে আমার ভোটার এবং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে বাস প্রতীকের লোকজন।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ৩, ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডে আমার ভোটার-এজেন্ট সবাইকে বের করে দেয় বাস প্রতীকের লোকজন। তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে ভোটারদের আটকানোর চেষ্টা করেছে। 

হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই আমার এজেন্ট থেকে ফলাফল শিটে স্বাক্ষর নিয়ে রাখা হয়। বেশ কিছু কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন বাস প্রতীকের কর্মীরা।

ভোটের শুরুর দিকে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক কেটে যায়। ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোয় ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল। নগরীর সদর অংশে বহিরাগতদের আনাগোনা থাকলেও দক্ষিণে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন জনসাধারণ। সদর দক্ষিণের চৌয়ারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চৌয়ারা মাদ্রাসা, চৌয়ারা ডিগ্রি কলেজ, নেউরা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শালবন বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভালো ভোট হতে দেখা যায়।

কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাজী আপন তিবরানী জানান, এ কেন্দ্রে ৪২ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিবেশ চমৎকার ছিল।

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তিন, আটক এক

কুমিল্লা নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘোড়া প্রতীকের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেন প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। অন্যদিকে ঘোড়ার কর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়নি বরং বাস প্রতীকের এক কর্মীকে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি করেন প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনা।

শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ কুমিল্লা নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশেই ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক জহিরুল আহমেদ ও তুহিন নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়। আহত জহিরুল ও তুহিনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এ ঘটনায় আহত জহির বলেন, ভোট ক্যাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় বাস মার্কার সমর্থক ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন আমাকে ও তুহিনকে পুলিশের সামনেই গুলি করে। 

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনার সমর্থকরা ভোট দিতে আসতে দেয়নি। বিভিন্ন স্থানে তারা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আমার কর্মীরা। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। 

অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা সুজনের দাবি, তাকে ঘোড়া প্রতীকের কর্মীরা গুলি করেছে এবং তিনিও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার হাসান আহমেদ কামরুল বলেন, ঘটনাটি ভোটকেন্দ্রের সীমানার বাইরে ঘটে। বিষয়টি আমি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাই। 

এ ঘটনায় কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী আবু সুফিয়ান অন্তুকে (২৭) রাজাপাড়ায় তার বাসার সামনে থেকে আটক করে পুলিশ।

দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল তাকে আটক করে। অন্তুকে কেন বা কোন অভিযোগে আটক করা হয়েছে এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তবে আটক অন্তুর মায়ের দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় তার ছেলে জড়িত নয়। অন্তু সে সময় বাড়িতে ছিল।

সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, কুমিল্লায় বেশ ভালো ভোট হয়েছে। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

২০২২ সালে কুসিকের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

ময়মনসিংহে ভোগান্তি ইভিএমে

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিতে এসে অনেক ভোটার ভোগান্তির শিকার হন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়। তাদের আঙুলের ছাপ না মেলায় জেলি, পানি ও কাপড় দিয়ে বারবার মুছে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা। ফলে ভোটগ্রহণে ধীরগতি দেখা দেয়। পরে আঙুলের ছাপ সমস্যা নিরসনে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ওইসব ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করেন। পুরোহিতপাড়া এলাকায় অ্যাওয়ার্ড স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে আঙুলের ছাপ না মেলায় বিপাকে পড়েন ছাহেরা খাতুন নামে এক বৃদ্ধ। তিনি বলেন, অনেকক্ষণ রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারিনি। ১০ মিনিট চেষ্টার পর এখন জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে বলছে।

তবে কালীবাড়ি এলাকায় প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কয়েকজন জানান, এর আগেও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন তারা। তাই ভোট দিতে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে তারা সব পদে ভোট দিতে পেরেছেন।

এ বিষয়ে গলগন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রাজীব চক্রবর্তী বলেন, তরকারি কাটা এবং গৃহস্থালি কাজ করায় কয়েকজন মহিলার এ রকম সমস্যা হয়েছে। এজন্য কিছুটা দেরি হয়েছে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। 

ইভিএমে বিড়ম্বনা সম্পর্কে মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আঙুলের ছাপ না মেলায় বেশ কিছু ভোটারের ভোট নিতে বিলম্ব হয়।’ 

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সকালের দিকে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। নগরীর কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রথমবারের মতো মেয়র পদে ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত ভোটাররাও। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মনোয়ারা বেগম বলেন, প্রথমবার মেয়র পদে ভোট হচ্ছে। গতবার কাউন্সিলর আর সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছিলাম। এবার মেয়র পদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে চলে আসছি।

মহাকালী কলেজ কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করা শুভ্র সাহা বলেন, গত নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে আমেজ বেশি। ৫ জন মেয়র প্রার্থী না থাকলে এই আমেজ থাকত না। সিটি নির্বাচনের মূল আকর্ষণই হলো মেয়র পদ। 

গতবার মেয়র পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটু। 

ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পরের দিন (আজ) পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

প্রতিবেদনটিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কুমিল্লা প্রতিনিধি তৈয়বুর রহমান সোহেল ও ময়মনসিংহ সংবাদদাতা নাজমুস সাকিব

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা