প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৪ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ২২:০৭ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত চালকসহ পরিবহন শ্রমিকদের জেল-জরিমানায় ছাড় দিয়ে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০২৪’ সংশোধন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এরই মধ্যে আইন সংশোধনের খসড়ার কাজ শেষ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আইনটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিদ্যমান আইনের বিধান অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে বা প্রাণহানি হলে, দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সংশোধনীর খসড়া প্রস্তাবে ‘গুরুতরভাবে আহত’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জরিমানা ৫ লাখ থেকে কমিয়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। খসড়ায় প্রায় ১০ জায়গায় শাস্তি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র আরও বলছে, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনের ৪৯ ধারায় প্রথম অংশে বলা হয়েছে, মদ্যপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে কোনো চালক মোটরযান চালাতে পারবে না। একই অবস্থায় কন্ডাক্টর বা মোটরযান শ্রমিক বাহনে অবস্থান করতে পারবেন না। কন্ডাক্টর বা শ্রমিককে মোটরযান চালনার দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।
তিন চাকার মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রস্তাব করা হয়েছে পঞ্চম শ্রেণি পাস। বিদ্যমান আইনে এই যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি। এমনকি যন্ত্রচালিত বা বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত যানবাহন, বাইসাইকেল, রিকশা ও রিকশাভ্যানকে মোটরযানের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বীমার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে সংশোধনীতে।
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘চালক ও শ্রমিকদের শাস্তি কমিয়ে আইনটি সংশোধন করা হলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। সরকার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই সংশোধনী পাস হলে পরিবহন সেক্টরে সরকারের অসহায়ত্ব আরও বাড়বে। আইনে শাস্তি কমানোর মধ্য দিয়ে জনগণের স্বার্থ চরমভাবে বিকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধনের কাজ চলছে। কিন্তু এর পুরো খসড়া এখনও পড়া হয়নি।