× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

যোগাযোগ করেনি জলদস্যুরা, খাবার-পানি পাঠানোর উপায় খুঁজছে মালিকপক্ষ

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৫ পিএম

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৭:১৬ পিএম

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। প্রবা ফটো

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। প্রবা ফটো

ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আব্দুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কয়েক দিন কেটে গেলেও সোমালিয়ার জলদস্যুরা এখন পর্যন্ত কোনো দাবি দাওয়া জানায়নি। তাই জলদস্যুদের ফোনের অপেক্ষায় রয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, নাবিকদের জিম্মি করা সোমালিয়া জলদস্যুদের দাবি-দাওয়া কি সেটি আমরা এখনও জানতে পারিনি। জলদস্যুদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আমরা তাদের মোবাইল কলের অপেক্ষায় আছি।’

তবে এই মুহূর্তে আমরা জাহাজে খাবার-পানি সরবরাহকে গুরুত্ব দিচ্ছি। মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজে যে খাবার এবং পানি মজুদ আছে সেগুলো ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই যাতে খাবার এবং পানি পাঠানো যায় সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জাহাজে খাবার ও পানি সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু জলদস্যুরা যোগাযোগ করার আগে তো জাহাজে খাবার-পানি পাঠানোর সুযোগ নেই। দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে প্রথমে খাবার, পানি পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

এর আগে বাংলাদেশ সময় গেল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজ থেকে বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এরপরপরই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় জাহাজটি। সর্বশেষ খবর বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে গিয়ে পৌঁছায়। উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় থাকবে জাহাজটি। জাহাজে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জনেই বাড়িই চট্টগ্রামে।

এমভি আব্দুল্লাহ হাইজ্যাক হওয়ার পর নাবিকরা জানিয়েছিলেন জাহাজে ২০ থেকে ২৫ দিনের খাবার রয়েছে। আর সুপেয় পানি রয়েছে ২০০ টন।

বাণিজ্যিক জাহাজে কর্মরত নাবিকরা জানিয়েছেন, সাধারণত এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে যেতে একটি জাহাজের যতদিন সময় লাগে, তার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি খাবার-পানি মজুদ করা হয়। কোনো কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে—এমন আশঙ্কায় শুকনো খাবার বেশি দিনের জন্য মজুদ রাখা হয়। তাতে এক থেকে দেড় মাস অনায়াসে চলে যায়। অন্যদিকে জাহাজে রান্না, গোসল ও খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানি মজুদ রাখতে হয়। জাহাজ ভেদে দিনে একটি জাহাজে ৩ থেকে ৫ টন পানি ব্যবহার হয়। এই হিসাবে জাহাজটিতে প্রায় দেড় মাস ব্যবহারের পানি মজুদ ছিল। কিন্তু মজুদ করা খাবার ও পানি জলদস্যুরাও গ্রহণ করায় সেটি তার আগেই শেষ হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা