প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫১ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪ ১৬:১৫ পিএম
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আব্দুল্লাহর কাছাকাছি টহল দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। ছবি : সংগৃহীত
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর কাছাকাছি জায়গায় টহল দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর (ইইউ ন্যাভফর অ্যাটালান্টা) জাহাজ ও হেলিকপ্টার। সামাজমাধ্যম এক্সে নিজেদের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে ইইউর নৌবাহিনীর জোটটি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ১২টা ১৮ মিনিটে পোস্টটি করা হয়েছে।
পোস্টটিতে আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও ও তিনটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এসব কিছু থেকে এমভি আব্দুল্লাহাকে ঘিরে তাদের টহলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভিডিওটিতে ইইউর নৌবাহিনীর জাহাজটির অদূরে একটি জাহাজ দেখা যাচ্ছে। যার আশপাশে একটি হেলিকপ্টার উড়ছে।
শেয়ার করা একটি ছবিতে এমভি আব্দুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত এসআর শিপিংয়ের লোগো ‘এসআর’ দেখা যাচ্ছে। এর একটু দূরে ওপরে ইইউ নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছে।
ইইউ ন্যাভফোর আটলান্টার টুইটে লেখা হয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত আটলান্টা অপারেশনের অধিভুক্ত এলাকায় অনেকগুলো জলদস্যু আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ হয়েছে। যার মধ্যে এমভি আব্দুল্লাহ এখনও জলদস্যুদের দখলে রয়েছে। অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধজাহাজগুলো সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে টুইটটিতে।
রয়টার্সের তথ্যমতে, সোমালিয়ার জলদস্যুরা ২০১১ সালে সবচেয়ে বেশি জাহাজ ছিনতাই করেছিল। ছিনতাইয়ের এসব ঘটনায় ওই বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৭০০ কোটি ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ অর্থের মধ্যে শত শত ডলারের মুক্তিপণও রয়েছে।
১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলের (কেএসএরএম) সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লাইন্সের মালিকানাধীন ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ নামক পণ্যবাহী জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর একই গ্রুপের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেই জাহাজের নাম এমভি জাহান মণি। বড় অঙ্কের মুক্তিপণের বিনিময়ে ১০০ দিনের মাথায় মুক্তি পান ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী।