প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩৭ পিএম
সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
বদলির আদেশ হলে সেটি যাতে বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গত এক বছরে বদলির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট ১০০ কর্মকর্তা বদলি করার পরেও তারা তাদের কর্মস্থলে যাননি এবং তদবির করে বদলি বাতিল করানোর প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ছে বলে মনে করছে অনেকে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বদলি আমাদের প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বদলি করলে বদলি হওয়া স্থানে তাকে যেতে হবে, এটাই হলো নিয়ম। এটা সর্বাত্মকভাবে অনুসরণ করব, এটাই প্রত্যাশা এবং এটি আমরা সব সময় এস্টাবলিস্ট করে থাকি। কখনও কখনও ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘আমি উদাহরণ দিতে পারি আপনাকে, আমি নিজেও একটি কেইস হ্যান্ডেল করছি। হাজব্যান্ড ও ওয়াইফ এক জায়গায় ছিল। একজনকে বদলি করে দিয়েছে। ওরা দুজনে আমার কাছে আসছে। আমাদের বদলিটা ক্যানসেল করেন! ওরা দুজনই এক জায়গায় থাকতে চাচ্ছে। আমি তখন বলেছি, না তোমার হাজব্যান্ড যেখানে পড়েছে, আমি সেখানে তোমাকে পাঠাতে পারি, তোমার হাজব্যান্ডকে আমি ক্যানসেল করব না। আমি সেটা বলে দিচ্ছি।’
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে, সেটি হলো গর্হিত কাজ। অনেক সময় আমার নিজের চাকরিজীবনে দেখেছি, বদলি করেছেন কিন্তু ওখানকার যে কর্মকর্তা, তিনি হয়তো মনে করছেন আরও কিছু দিন আমাদের সঙ্গে থাকুক, তার সার্ভিস ভালো। ভালো খারাপ দুটোই হতে পারে। তারা আরও কিছু দিন রাখতে চায়। এটি কিন্তু আমাদের প্রশাসনিক কার্টেসির একটি অংশ।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যখন সিনিয়র অফিসার কিছু দিন চায় তখন আমরা কিছু দিন রেখে দিই, কিন্তু এটা এই না যে তাকে বদলি করা যাবে না, বদলি অবশ্যই তাকে করতে হবে। সে তো স্থায়ী থাকতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা যে কাজটা করার চেষ্টা করছি, জনপ্রশাসনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, বদলির আদেশ হলে সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। যদি কোনো বিশেষ যুক্তি থাকে, কোনো পরিস্থিতি থাকে, সেটি বিবেচনা পরবর্তী সময় করা হবে, তবে এ রকম না ঢালাওভাবে। বাস্তবতা যদি থাকে, প্রয়োজন যদি থাকে, সেটি বিবেচনা করতেই হবে। এটা নিয়ে তো বিতর্ক করার কিছু নেই।’