× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

এমপি-মন্ত্রীরা যাচ্ছেন গ্রামে জমবে রাজনীতি

ফসিহ উদ্দীন মাহতাব

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০৩ এএম

আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৪ এএম

এমপি-মন্ত্রীরা যাচ্ছেন গ্রামে জমবে রাজনীতি

সরকারি অফিস খোলা থাকছে আজ মঙ্গলবার। আজ তাদের শেষ কর্মদিবস। সবাই এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঈদ উদযাপনের। খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের মতো বেশিরভাগ মন্ত্রী-এমপিও এবার ঈদ উদযাপন করবেন নিজের এলাকায়। অনেক সচিবও তাই করবেন। আগামীকালই অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ঈদের নামাজ আদায় করতে নিজ নিজ আসনে চলে যাবেন। স্থানীয় এমপিরা অবশ্য অনেক আগে থেকেই এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। স্বভাবতই তাদের ঈদ উদযাপনের সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে উপজেলা পরিষদের ষষ্ঠ সাধারণ নির্বাচনের ডামাডোল। 

প্রসঙ্গত ঈদের কয়েকদিন পরেই প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় ধাপে ২১ এপ্রিলের মধ্যে প্রার্থীদের মনোয়নপত্র জমা দিতে হবে। এবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। নির্বাচন কমিশন সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে যথেষ্ট সময় হাতে রেখে মনোনয়নপত্র জমা দিতে। এই দুই ধাপের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ ও ২১ মে। এ ছাড়া পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা না করলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়ে রেখেছে তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ হবে। সে কারণে দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধাপের যেসব উপজেলাতে নির্বাচন হবে সেসব উপজেলাতেও তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। 

উপজেলা নির্বাচনে বড় প্রভাব পড়তে পারে

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা এলাকায় গেলেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসংক্রান্ত দেনদরবার কিংবা প্রচারাভিযানে অংশ নিতে পারবেন না। কোনো রকম হস্তক্ষেপও করতে পারবেন না। এ ছাড়া অনেক আগেই ঘোষণা এসেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী দেবে না। তবে অভিযোগ উঠেছে দলটির অনেক এমপি, মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতারা নিজেদের নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের প্রার্থী করছেন। এবার ঈদে তাই এলাকায় তাদের সরব উপস্থিতির কারণে দলীয় রাজনীতিতেও বড় প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ তাদের উপস্থিতির কারণে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রকাশ ঘটতে পারে। 

অবশ্য বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। ইতোমধ্যেই দলের বিভাগীয় বৈঠকগুলোতে এমপি-মন্ত্রীদের পক্ষপাতিত্ব না করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কেউ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করলে তাকে সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ঈদুল ফিতরের মধ্যে দিয়েই অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কার্যক্রম। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবার দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারের সঙ্গেও গণসংযোগ করবেন। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন উপজেলায় ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন টাঙাতে দেখা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনেও ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা। প্রার্থী ও সমর্থকদের পদচারণায় ইতোমধ্যেই এলাকায় তৈরি হয়েছে ভিন্ন আমেজ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই প্রথম ঈদ। তাই স্ব-স্ব এলাকায় ছুটছেন স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীরাও। নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানকালে সঙ্গত কারণেই তাদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। দলের হাইকমান্ডের নিষেধ থাকলেও তারাও চেষ্টা চালাচ্ছেন পছন্দের প্রার্থীদের নানাভাবে সামনে তুলে ধরার। সব মিলিয়ে এবারের ঈদের আমেজ বাড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। 

কে কোথায় ঈদ করবেন

প্রতিবারই সর্বসাধারণের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ও আলোচিত রাজনৈতিক নেতাদের ঈদ। কোন দলের কোন নেতা বা সরকারের কোন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি কোথায় ঈদ করবেন, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীই নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যথারীতি ঈদ উদযাপন করবেন গণভবনে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নিজের এলাকা গাজীপুরে ঈদের নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবের হোসেন চৌধুরী ঢাকাতেই ঈদের নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঢাকায় তার নির্বাচনী এলাকা তেজগাঁওয়ে ঈদ করবেন। মণিপুরিপাড়ার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করার কথা রয়েছে তার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঈদ করবেন নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম নিজের নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লাতে ঈদের নামাজ আদায় এবং শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি ঈদ উদযাপন করবেন রাজধানীতেই। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নিজ নির্বাচনী এলাকা নওগাঁতে ঈদ করবেন। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ঈদ করবেন নিজের গ্রাম মেহেরপুরে। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে ঈদের নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন নিজের নির্বাচনী এলাকা নরসিংদীতে ঈদের নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রামে ঈদের নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এলাকা ঢাকায়, নৌপরিবহনমন্ত্রী মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুরে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান পটুয়াখালীতে এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক নিজের নির্বাচনী এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় ও নেতাকর্মী এবং জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। 

টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

মন্ত্রিসভার একটি সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদের ছুটি আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিনই থাকছে। যদিও বাস্তবে সরকারি চাকরিজীবীরা ছুটি ভোগ করবেন আরও বেশি। কারণ ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন রবিবার আবার পহেলা বৈশাখের ছুটি। অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা