× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শ্রদ্ধা

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৪ পিএম

আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৫ পিএম

শ্রদ্ধা

অতীশ দীপঙ্কর

এখনকার মুন্সীগঞ্জ জেলায় অবস্থিত বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামটি তখনকার পাল সাম্রাজ্যের অধীনস্থ এক সামন্ত রাজ্য। বিত্ত আর ক্ষমতায় সুপরিচিত রাজা কল্যাণশ্রী। ৯৮২ সালে তাঁর স্ত্রী প্রভাবতীর গর্ভে জন্ম নিল ফুটফুটে শিশু। খুব সম্ভবত স্নিগ্ধতার দিকে নজর দিয়েই নাম রাখা হয়েছিল চন্দ্রগর্ভ। কিন্তু কে জানত, এই শিশুটিই চাঁদকে ছাড়িয়ে যাবে স্নিগ্ধতায়? তাঁর প্রজ্ঞা ও চিন্তা দিয়ে বদলে দেবে গোটা জনপদের জীবন? এই শিশুটির নাম একদিন পৌঁছে যাবে সুমাত্রা থেকে তিব্বত অবধি? বাংলার মাটি ও বাতাসে বেড়ে ওঠা এই কৃতী সন্তানকে পরবর্তী ইতিহাস চেনে অতীশ দীপঙ্কর নামে। হাল আমলে অতীশ দীপঙ্করের জ্ঞানস্পৃহার চিহ্ন বলতে মুন্সীগঞ্জ গ্রামে ‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’ বলে পরিচিত ওই বাড়িটি। 

জ্ঞানের জন্য অতীশ দীপঙ্কর ঘুরে বেড়িয়েছেন। প্রথমে ভারতে বৌদ্ধশাস্ত্রের ওপর পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণের পরও তুষ্ট হতে পারেননি। তখন বৌদ্ধ জ্ঞানচর্চার প্রাণকেন্দ্র ছিল নেপাল। মনস্থির করলেন সেখানেই যাবেন। তাঁর এই যাত্রা সম্পর্কে বৌদ্ধমন্দিরের যোগিনীর একটি ভবিষ্যদ্বাণী ছিল এ রকম- ‘অতীশের তিব্বতযাত্রা ধর্মচর্চার ইতিহাস বদলে দেবে; বিশেষ করে নির্দিষ্ট বৌদ্ধ উপাসকদের। অবশ্য ভারতে থাকলে তাঁর আয়ু বিরানব্বই বছর আর তিব্বত গেলে বাঁচবেন বাহাত্তর বছর।’ অতীশ তবু জ্ঞানের জন্য কঠিন যাত্রার পথ বেছে নিলেন। সম্পদ কিংবা আয়ুর থেকে জ্ঞানই তাঁর কাছে মূল্যবান। তাতে সফলও হয়েছিলেন।

জীবদ্দশায় তিনি বৌদ্ধশাস্ত্র, চিকিৎসা ও কারিগরিবিদ্যা সম্পর্কে তিব্বতি ভাষায় দুইশরও বেশি বই রচনা, অনুবাদ ও সম্পাদনা করে তিব্বতবাসীদের মাঝে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। তিব্বতবাসীরা গৌতম বুদ্ধের পরই তাঁকে স্থান দেয় এবং তাঁকে ‘জোবো ছেনপো’ বা মহাপ্রভু হিসেবে মান্য করে থাকে। তারা তাঁকে ‘অতীশ’ উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি তিব্বতে বহু প্রাচীন সংস্কৃত পুঁথি আবিষ্কার করেন এবং নিজ হাতে সেগুলোর প্রতিলিপি করে বাংলায় পাঠান। তাঁর মূল রচনাগুলো বর্তমানে বিলুপ্ত। তিনি ‘তাঞ্জুর’ নামের বিশাল তিব্বতি শাস্ত্রগ্রন্থ সংকলন করেছিলেন। এই মহাগ্রন্থে দীপঙ্করের ৭৯টি গ্রন্থের তিব্বতি অনুবাদ আছে। ১৩ বছর তিব্বতে বাস করার পর ১০৫৪ খ্রিস্টাব্দে বাহাত্তর বছর বয়সে তিব্বতের লাসা নগরীর অদূরে চেথাং বিহারে অতীশ দীপঙ্কর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন তাঁর পবিত্র দেহভস্ম চীন থেকে ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে আনীত হয় এবং সেখানে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

কাঙাল হরিনাথ

কাঙাল হরিনাথ (১৮৩৩-১৮৯৬) ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও বাউল গান রচয়িতা। তাঁর প্রকৃত নাম হরিনাথ মজুমদার। কাঙাল ফিকিরচাঁদ বা ফিকিরচাঁদ বাউল নামেও তিনি পরিচিত। ১৮৩৩ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী গ্রামে তাঁর জন্ম।

শৈশবে স্থানীয় ইংরেজি স্কুলে হরিনাথের লেখাপড়া শুরু হয় কিন্তু আর্থিক কারণে তা বেশিদূর এগোয়নি। গ্রামের সাধারণ লোকদের মাঝে শিক্ষাবিস্তারের উদ্দেশ্যে ১৮৫৫ সালে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এবং সেখানে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরের বছর তাঁর উদ্যোগে কুমারখালীতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। 

গ্রামের সাধারণ মানুষের উন্নতি এবং শোষণ-পীড়নের বিরুদ্ধে হরিনাথ ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অত্যাচারিত ও কৃষক সম্প্রদায়কে রক্ষার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকতা পেশা গ্রহণ করেন। প্রথমে লিখতেন কলকাতা থেকে প্রকাশিত ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায়। পরে ১৮৬৩ সালে নিজেই ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে পত্রিকাটি পাক্ষিক ও সবশেষে এক পয়সা মূল্যের সাপ্তাহিকে পরিণত হয়। এতে সাহিত্য, দর্শন ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধের পাশাপাশি কৃষকদের প্রতি নীলকর ও জমিদারদের শোষণ-অত্যাচারের কথা গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ হতো। ব্রিটিশ সরকার এবং স্থানীয় জমিদারদের পক্ষ থেকে বাধা এলেও তিনি নির্ভীকভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করে যান। এ কারণে পত্রিকাটি বিশেষ খ্যাতি লাভ করে। 

পত্রিকা প্রকাশের সুবিধার্থে ১৮৭৩ সালে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন। রাজশাহীর রাণী স্বর্ণকুমারী দেবীর অর্থানুকূল্যে দীর্ঘ ১৮ বছর পত্রিকা প্রকাশের পর আর্থিক এবং সরকারি আইনের কারণে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। তার কর্মময় জীবন এদেশের আদর্শ সাংবাদিকতার   বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে বিদ্যমান। তিনি সাংবাদিকতাকে সৃজনশীলতার ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

হরিনাথ ছিলেন লালন শাহ-এর শিষ্য। তিনি অধ্যাত্মবাদ প্রচারের জন্য ১৮৮০ সালে ‘কাঙাল ফিকিরচাঁদের দল’ নামে একটি বাউল দল গঠন করেন। বাউল গানের ক্ষেত্রে হরিনাথের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। সহজ ভাষা ও সহজ সুরে ভাবোদ্দীপক গানগুলো সদলে গেয়ে বেড়াতেন। গানে ‘কাঙাল’ নামে ভণিতা করতেন বলে কাঙাল শব্দটি তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। গানের পাশাপাশি গদ্য ও পদ্য রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন তিনি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ মোট ১৮টি। 

সুফিয়া কামাল

বাঙালি নারী লেখকদের ভূমিকা নিয়ে কতটুকুই বা ভাবা হয়েছে? বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে নারী লেখক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঠ এখনও ভালোভাবে তৈরি হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তর্ক ওঠে নারী কবি-লেখকদের বিষয়ের বৈচিত্র্যহীনতা কিংবা নির্মাণ কলাপ্রকৌশলের ‘সীমাবদ্ধতা’ নিয়ে। ঠিক এই এক কথাতেই যেন সব তর্ক শেষ করে দেওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিচার করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। লড়াইয়ের নানা স্তর পার   করে সুফিয়া কামালকে সাহিত্যের বিরাট অঙ্গনে পৌঁছাতে হয়েছে। কিন্তু সেখানে শুধু অংশগ্রহণই করেননি, বাংলা সাহিত্যে পাকা আসন গড়ে নিয়েছেন তিনি। সাহিত্যের মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন নারীর সম্ভাবনার কথা, দেখিয়ে গেছেন সমাজের স্তব্ধতা। তিনি জীবনভর লিখে গেছেন, একই সঙ্গে সমাজকে নারীর অনুকূল করতে কাজ করে গেছেন। 

একশ বছর আগে বাংলা সাহিত্য নিজস্ব স্বকীয়তায় এগিয়ে চলছিল। তবু তখন পুরুষের জন্য সাহিত্যচর্চা নন্দনতাত্ত্বিক বিলাসের বস্তু। অন্যদিকে নারীর সাহিত্যচর্চা তখন ছিল অস্তিত্ব আবিষ্কার, প্রকাশ ও রক্ষার মাধ্যম। পরিবার থেকেই স্থিরীকৃত ছিল নিষেধের তর্জনী। তবে সুফিয়া কামাল চেয়েছেন আত্মনির্মাণ। সেজন্যই তো তিনি সে নিষেধাজ্ঞা মানেননি। পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে নিজেকে নিয়ে যেতে চেয়েছেন বৃহতের দিকে। যে যুগে সুফিয়া কামালের আবির্ভাব, সেই যুগকে বলা চলে নারীর আধুনিকতার যুগ। এ সময় নারী লিখছেন, সম্পাদনা করছেন, এমনকি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও। ঘর কিংবা প্রতিষ্ঠান- সবখানেই নারী ক্রমেই নিজেকে গড়ে তুলছেন স্বাবলম্বী হিসেবে। তবু নারীরা সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হতে পারেননি। তাই একদিকে বাংলা সাহিত্যের মহারথীরা লেখার কারিগরি দিক, সৌন্দর্য ও ধাঁচ নিয়ে ভেবে একসার; অন্যদিকে সুফিয়া কামালকে ভাবতে হয়েছে নারীর যন্ত্রণা থেকে কীভাবে মুক্তি দেওয়া যায়।

আমাদের এ উপমহাদেশে মাতৃমূর্তি সব সময় শ্রদ্ধার। সুফিয়া কামাল নিজেকে সাংস্কৃতিক পরিসরে ‘জননী সাহসিকা’ হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। তাঁর এই মাতৃমূর্তি দেশীয় পরিসরে নতুন করে জানান দিয়েছে নারীর শক্তি, নারীর স্নেহ, নারীর ক্ষমতা। ইচ্ছেমতো পুতুল খেলার নারী সে নয়। নারীর স্নায়ু-শিরায়-রক্তপ্রবাহে আছে সাহস। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে সুফিয়া কামাল হয়ে উঠলেন সাহসী নারী ও জননীর প্রতীক। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের দিকে পিছু ফিরে তাকালে তাই জ্বলজ্বলে হয়ে ওঠেন সুফিয়া কামাল। 

জাহানারা ইমাম

বিশ শতকে নারী যখন নিজের আত্মপ্রতিষ্ঠা এবং সেই আত্মপ্রতিষ্ঠা ঘোষণার সংগ্রামে লিপ্ত, তখন এক ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসেবেই আমরা জাহানারা ইমামকে দেখি। জাহানারা ইমামের পরিচয় অনেক। সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার জ্বলজ্বলে উদাহরণ। শিক্ষাজীবনে নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছেন, লিখেছেন, পরবর্তীতে শিক্ষকতা পেশায় জড়িয়েছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখি করেছেন, মাঠে নেমেছেন নারীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। এতসবের মাঝেও দক্ষ হাতে সামলেছেন সংসার। কিন্তু ইতিহাস জাহানারা ইমামকে চিহ্নিত করেছে ‘শহীদজননী’ হিসেবে। 

মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রেরণা। দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রিয় সন্তানকে বিলিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেননি। সেই বছরই হারিয়েছেন জীবনযুদ্ধের সঙ্গী স্বামীকে। আর হারিয়েছেন নিজের প্রাণপ্রিয় সন্তান রুমিকে। কিন্তু পিছু হটেননি। যুদ্ধের সময় ক্র্যাক প্লাটুনকে কোলে-পিঠে করে  কাছে রেখেছিলেন। জাহানারা ইমামের বাড়ি হয়ে উঠেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটুকরো আশ্রয়স্থল। এক অদম্য শক্তি, হার না মানার স্পৃহা তিনি টিকিয়ে রেখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পরও। হয়ে ওঠেন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রদূত। তাঁর আদর্শিক সংগ্রাম যুগে যুগে আমাদের প্রেরণার উৎস হিসেবে থেকে যাবে। 

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা জাহানারা ইমামকে ডাকতেন মা বলে। তিনি তখন প্রকৃতই মা হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর সেই ত্যাগ থামেনি মুক্তিযুদ্ধের পরেও। এতকিছু হারানোর পরও রুখে দাঁড়িয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের ঘৃণ্য পাকিস্তানি হানাদারদের দালাল রাজাকার আলবদর আলশামসদের বিরুদ্ধে। যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে চালু হলো রাজাকারদের পুনর্বাসন, শুরু হলো হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকাণ্ড, তেমনি স্বৈরাচার জেঁকে বসল, একাত্তরের পুরোনো শকুন ফিরে এলো। আবার রুখে দাঁড়ালেন জাহানারা ইমাম। জানতেন এই পথ দ্বিতীয়বার আরও কঠিন। কিন্তু তিনি দমেননি। গড়ে তোলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’।

একটি দেশের জন্য, একটি জাতির জন্য শহীদজননী জাহানারা ইমামের ত্যাগ অবর্ণনীয়। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হলো, শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্যানসার। তবু তিনি নিজেকে থামাননি। জয়ী হয়ে চলে গেলেন অসীমের যাত্রী হয়ে। জাহানারা ইমাম এক অপ্রতিরোধ্য শক্তির নাম, বুক তাঁর বাংলাদেশের হৃদয়। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা