প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২৮ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৮ পিএম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৫৯ সালে কুমিল্লা জেলার কোর্টবাড়িতে আখতার হামিদ খান বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বর্তমানে এটি একটি বোর্ডস অব গভর্নরস দ্বারা পরিচালিত হয়। মূলত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এ বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রশাসনিকভাবে বার্ড স্থানীয় সরকার, সমবায় মন্ত্রণালয় ও পল্লী উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন মহাপরিচালক।
প্রশিক্ষণ, গবেষণা, প্রকল্প এবং প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে বার্ড তাদের প্রতিষ্ঠানকে ৯টি অনুষদে বিভক্ত করেছে। প্রতিটি অনুষদে একজন পরিচালক থাকেন। শুধু তাই নয়, প্রতিটি অনুষদ সার্ভিস বিভাগ ও একাডেমি বিভাগ- এই দুভাগে বিভক্ত। পল্লী প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, পল্লী শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান ও জনসংখ্যাতত্ত্ব এবং কৃষি ও পরিবেশ একাডেমি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। পরিকল্পনা ও প্রকল্প তৈরির জন্য আর্থসামাজিক তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বার্ড গবেষণা পরিচালনা করে। সেজন্য বার্ডে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অনুষদও গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, নীতিনির্ধারকদের থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে তারা গবেষণার ফলাফল নির্ধারণ করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকে।
বার্ড প্রতিষ্ঠা হয়েছে উন্নতর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো, উৎপাদনের জন্য সমন্বয়মূলক প্রকল্প তৈরির উদ্দেশ্যে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষ, গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় পরিষদ এবং সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। এভাবেই ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ সমবায়ের একটি অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। বিকেন্দ্রীকৃত ও সমন্বিত পল্লী প্রশাসনের মডেল হিসেবে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বার্ড জনগণ ও সরকারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো জোগানোর কাজ করে যাছে। বিকেন্দ্রীকৃত প্রশাসন ব্যবস্থা চালুর জন্য প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতেও নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার মাধ্যমে পল্লী এলাকার বিরাজমান সমস্যার বাস্তব ও কার্যকর সমাধান বের করতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে। পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৬ সালে বার্ড স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করে।
বার্ড গবেষণার ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক প্রকল্প নিয়ে কাজ করে। ফলে এটি হয়ে উঠেছে প্রায়োগিক গবেষণা কেন্দ্র।