প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৯ পিএম
‘নৈরাজ্য আর পরাধীনতার বিরুদ্ধে মুক্তির প্রত্যয়’- স্লোগানে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর যাত্রা। ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর বিপ্লবী কথাসাহিত্যিক সত্যেন সেন এ সাংস্কৃতিক সংগঠনটি গঠন করেন। তিনিই এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। শুরু থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত আছেন, প্রগতিশীল সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক, গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী সংগ্রামীগণ। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লাহ কায়সারসহ একঝাঁক তরুণ; আরও ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু, মোস্তফা ওয়াহিদ প্রমুখ।
জন্মলগ্ন থেকে উদীচীর সদস্যরা গণতান্ত্রিক, মৌলবাদবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। ’৬৮, ’৬৯, ’৭০-এর সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের ধারবাহিকতায় ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ২০১৩ সালে সংঠনটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক লাভ করে।
‘এ যুগের চারণ মোরা, মানুষের গান শুনিয়ে যাই, যেখানে মতের বিভেদ, মিলনেরই মন্ত্র শোনাই’- সংগঠনটির মূলমন্ত্র। এই স্লোগান সামনে রেখে দেশব্যাপী উদীচীর রয়েছে তিন শতাধিক শাখা। এ ছাড়া দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সে ছয়টি শাখা রয়েছে। উদীচীর অধীনে সংগীত, মঞ্চনাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, চারুকলা, চলচ্চিত্র ও সাহিত্য বিষয়ে কাজ হয়। বর্তমানে ৯১ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংসদের তত্ত্বাবধানে সারা দেশে উদীচীর কর্মসূচি পালিত হয়। বর্তমানে উদীচীর সদস্য সংখ্যা ১৫,০০০-এরও বেশি।
উদীচী ২০টিরও বেশি নাটক মঞ্চস্থ করেছে, যার অধিকাংশই পথনাটক। এর প্রধান মঞ্চ প্রযোজনার মধ্যে রয়েছে নরক গুলজার, মিছিল, ধলা গেরামের নাম, অভিশপ্ত নাগরী, চিরকুমার সভা, বিবাহ উৎসব, শুভ্র তিমির এবং চিলেকোঠার সেপাই। পথনাটকের মধ্যে রয়েছে আরও মানুষ চাই, দিন বদলের পালা, রাজা রাজা খেল, মাদারীর খেল, তেভাগার পালা, রাজাকারের প্যাঁচালী, স্বাধীনতার সংগ্রাম, ইতিহাস কথা কও, তাঁতাল, সংগ্রামই সুন্দর ইত্যাদি। এর মধ্যে ‘ইতিহাস কথা কও’ গীতি আলেখ্যটি বাংলাদেশের ‘হাটে মাঠে ঘাটে শত সহস্রবার পরিবেশিত হয়েছে।
সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।