প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৪০ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪০ পিএম
আইন ও সালিশ কেন্দ্র, সংক্ষেপে আসক। মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা প্রদানকারী একটি বেসরকারি সংগঠন। যার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৬ সালে। প্রাথমিক পর্যায়ে আসক ঢাকা শহরের সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র নারী, কর্মজীবী শিশু এবং শ্রমিকদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করত। এরপর গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কর্মকৌশল দিয়ে আসছে। এই কর্মকৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, সালিশ ও মামলার মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও মানবাধিকার গবেষণা, জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলার সাহায্যে আইন ও নীতি সংস্কারের প্রয়াস এবং গণমাধ্যম ও নিজস্ব প্রকাশনার মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য প্রদান।
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার, বিচারের অপেক্ষায় কারাবাস, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতন, বস্তি উচ্ছেদ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া আসক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করে থাকে।
আসক জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা এবং প্রচারাভিযানের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে গুরুত্ব অর্জন করেছে। তৃণমূল পর্যায়ে অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ১০টি জেলার ৪০টি ইউনিয়নে মানবাধিকার ও সামাজিক এবং লিঙ্গভিত্তিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় আইনি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি আসক ২০০৮ ও ২০০৯ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে।
১২টি পূর্ণকালীন এবং ২১টি খণ্ডকালীন ড্রপ-ইন সেন্টারের মাধ্যমে শ্রমজীবী শিশুদের মৌলিক শিক্ষা প্রদান করে আসক। শিশুদের অভিভাবক, নিয়োগদাতা এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আসক শিশুর অধিকার রক্ষা এবং শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করে।
আসক ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ কর্তৃক বিশেষ পরামর্শক সংস্থায় উন্নীত হয়। বিশেষ পরামর্শক সংস্থা হিসেবে আসক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল, জাতিসংঘের চুক্তি কমিটি, জাতিসংঘের বিশেষ কার্যক্রম ইত্যাদির পক্ষে কাজ করে। এ ছাড়া অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, কমনওয়েলথ সচিবালয়, জার্মানিস্থ বাংলাদেশ ফোরাম ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে আসক।
বিভিন্ন দাতা সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রাথমিক অর্থসংস্থানের উৎস। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ এবং প্রকাশনার মাধ্যমেও আসকের আয় হয়।