× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আমাদের গর্ব ছায়ানট

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৩ পিএম

আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪২ পিএম

আমাদের গর্ব ছায়ানট

১৯৬১ সাল ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্য বিশ্বের নানান দেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল। রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকী বাংলাদেশেও উদযাপিত হবে- এটাই স্বাভাবিক। উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, ডক্টর গোবিন্দচন্দ্র দেব, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীসহ ঢাকার আরও অনেক সংস্কৃতিকর্মী। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের মনোভাব ছিল এ আয়োজনের প্রতিকূলে। তারা রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উৎসব আয়োজনের ওপর কড়াকড়ি বিধিনিষেধ আরোপ করে। বাঙালির প্রধান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে এমন আয়োজনের ওপর এই বিধিনিষেধ সহ্য করবে না- এ প্রত্যাশিতই ছিল। সংস্কৃতিকর্মীরা বিপুল উৎসাহে শুরু করে জন্মশতবর্ষ আয়োজনের প্রস্তুতি এবং আয়োজন সাফল্যের সঙ্গে উদযাপিত হয়।

এর কিছুদিন পর গাজীপুরে পিকনিকের আয়োজন হয়। সেখানে মিলিত হন সুফিয়া কামাল, মোখলেসুর রহমান, সায়েরা আহমদ, শামসুন্নাহার রহমান, আহমেদুর রহমান, ওয়াহিদুল হক, সাঈদুল হাসান, ফরিদা হাসান, সন্জীদা খাতুন, মীজানুর রহমান, সাইফউদ্দীন আহমেদ মানিক প্রমুখ। সেখানে একটি সংগঠন তৈরির প্রস্তাব আসে এবং সাঈদুল হাসান সংঠনটির নাম প্রস্তাব করেন ‘ছায়ানট’। সুফিয়া কামাল সভাপতি, জহুর হোসেন চৌধুরী, সাঈদুল হাসান সহ-সভাপতি এবং ফরিদা হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়। সহ-সম্পাদক হন সাইফউদ্দীন আহমেদ মানিক, মিজানুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ পদে মোখলেসুর রহমান ও সদস্য হলেন কামাল লোহানী, ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন, আহমেদুর রহমান প্রমুখ।

ছায়ানটের প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় ১৯৬১ সালে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সেদিন নবীন-প্রবীণ একঝাঁক শিল্পী পরিবেশন করেন পুরোনো বাংলা গান। এরপর ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমির বারান্দায় সন্জীদা খাতুনের উদ্যোগে সংগীতশিক্ষা শুরু হয়। ওই ক্লাসে বজলুল করিম তবলা, মতি মিয়া বেহালা ও সেতার এবং সোহরাব হোসেন নজরুল গীতি এবং সনজীদা খাতুন ও ফরিদা মালিক যথারীতি রবীন্দ্রসংগীত শেখাতেন। স্থানান্তরিত হয়ে ইংলিশ প্রিপারেটরি স্কুল (বর্তমান উদয়ন বিদ্যালয়ের পুরোনো অস্থায়ী গৃহ), আজিমপুর কিন্ডারগার্টেন (বর্তমান অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়) এবং কলাবাগানের লেক সার্কাস হাই স্কুলে সংগীত ক্লাস পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে পহেলা বৈশাখ, ১৩৭০ বঙ্গাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ছায়ানট সংগীত বিদ্যালয়। ওস্তাদ আয়েত আলী খান এটির উদ্বোধন করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৯ সালে এক বিঘা জমি বরাদ্দ দেয়। ধানমন্ডিতে নির্মিত ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের নক্শা প্রণয়ন করেছেন প্রখ্যাত স্থপতি বশিরুল হক। 

বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করা ছাড়াও এই সংগঠন বাদ্যযন্ত্র, সংগীত, নৃত্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সংগীত বিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ রমনার বটমূলে ছায়ানটের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

গোড়ার দিকে সংগীতকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম শুরু হলেও সংগীত শিক্ষাদান কার্যক্রমের সুবাদে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সংগীতপ্রেমীরা জড়ো হন। ফলে স্থাপনাটি হয়ে ওঠে চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, নাট্যশিল্পী, চলচ্চিত্রকর্মী, বিজ্ঞানী, সমাজকর্মীদের মিলনমঞ্চ। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে সর্বস্তরে এখন ছায়ানটের খ্যাতি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা