প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫০ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪২ পিএম
হামদর্দ (ওয়াক্ফ) ল্যাবরেটরিজ ইউনানি এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধের জন্য ভারত উপমহাদেশের একটি বিখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। হামদর্দ পৃথিবীর বৃহত্তম ইউনানি ওষুধের প্রস্তুতকারক। হাকিম হাফিজ আবদুল মজিদ ১৯০৬ সালের ১ আগস্ট দিল্লিতে হামদর্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে এটি ওয়াকফ (অলাভজনক প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। হামদর্দ শব্দটি ফার্সি ভাষার দুটি শব্দ হাম এবং দর্দের সমন্বয়ে হামদর্দ শব্দটি গঠিত হয়েছে। হাম অর্থ সহযোগী এবং দর্দ অর্থ ব্যথা। অর্থাৎ হামদর্দ শব্দটির দ্বারা বোঝায় ব্যথার সহযোগী।
উপমহাদেশে মানুষের রোগমুক্তিতে দেশীয় ভেষজ চিকিৎসাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন হাকিম হাফিজ আব্দুল মজিদ। বর্তমানে হামদর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। উপমহাদেশে হামদর্দের প্রায় ১১৭টিরও বেশি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র রয়েছে। বগুড়াতে স্থাপিত হয়েছে হামদর্দ ইউনানি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড পণ্য প্রায় ১৫০টি। সাধারণ ও জটিল প্রায় সব রোগের চিকিৎসা হামদর্দে রয়েছে। সারা বাংলাদেশে প্রায় ২৭০টি চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে হামদর্দ তাদের এই চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
হামদর্দ হাকিম ও ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠন করেছে ক্লিনিক। যেখানে কোনো প্রকার কনসালটেন্ট ফি ছাড়াই যেকোনো রোগী চিকিৎসা নিতে পারে। হামদর্দ ২০১০ সালে ঢাকার পান্থপথে হামদর্দ পাবলিক কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। প্রতিবছর এটির অসাধারণ সাফল্য হামদর্দ পরিবারকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছে।
এ ছাড়া হামদর্দ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মেঘনা ব্রিজের কাছাকাছি জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য জমি ক্রয় করে ২০১২ সালে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিল্প প্রসারে হামদর্দের ভূমিকা অনন্য।