× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঈপ্সিত লক্ষ্যে অবিচল

ইমতিয়ার শামীম

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৭ পিএম

আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৪ পিএম

ঈপ্সিত লক্ষ্যে অবিচল

১৯৯৪ সালে প্রকাশ পায় তাঁর গল্পের বই ‘স্বনির্বাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প’। পরের বছর প্রকাশিত হয় ‘থাকা না থাকার গল্প’। এর পরের বছরেই তিনি অর্জন করেন কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার। প্রবন্ধ লিখে পরিচিত হয়ে ওঠা লেখকের পক্ষে গল্প-উপন্যাসের আঙিনায় স্থান করে নেওয়া কোনো কোনো সময় কঠিন হয়ে ওঠে।

আলস্য ভীষণ প্রিয় তাঁর, লিখিয়ে হিসেবে সুপরিচিত হয়ে ওঠার দিনগুলোতে তিনি তাই নিজের ধারাবাহিক কলামের নাম দিয়েছিলেন ‘অলস দিনের হাওয়া’। কিন্তু যত অলসতাই থাকুক, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (১৮ জানুয়ারি ১৯৫১) এখন শুধু প্রধান সারির কথাসাহিত্যিকই নন, বৃত্ত ভাঙতে ভাঙতে তিনি পরিণত হয়েছেন ধীমান প্রাজ্ঞ পথিকৃৎ ব্যক্তিত্বে। শিক্ষাজীবনে যাঁর গবেষণার বিষয় ছিল কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব, সেই মানুষটির চিন্তাচেতনা, দর্শন ও লেখালেখির অন্তর্গত বিষয়-আশয় ও প্রকরণই বর্তমানে হয়ে উঠেছে তরুণ গবেষক-চিন্তকদের আলোচনার বিষয়। 

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এই উপসংহারে পৌঁছেছেন বাঙালি ও এ-জনপদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মুক্তিসংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতার আবহে, শিক্ষাদীক্ষা ও সাহিত্যের কাছে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে জাগ্রত মানুষের প্রত্যাশার গূঢ়, অন্তর্লীন প্রেক্ষাপটে। বাঙালির দীর্ঘ অভিযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও সাক্ষী তিনি। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে প্রথম গল্প ‘বিশাল মৃত্যু’ প্রকাশের পর কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মন্তব্যে হতোদ্যম সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গল্প লেখায় ‘আপাতত ক্ষান্তি’ দিয়েছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য, পরে, ১৯৮৯ সালের দিকে, তিনি আবারও ফিরে আসেন গল্পের জগতে। ফলে বাংলা কথাসাহিত্য, বিশেষত ছোটগল্প, খুঁজে পেয়েছে বিস্ময়কর সব অবলোকনের স্রোত, বিচিত্র মানসজগতের প্রতিচিত্র ও মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামের নিবিড় ধারাপাত। সাহিত্যচর্চার একপর্যায়ে তিনি স্থির হয়েছিলেন এই ধারণায় যে, কবিতার উপজীব্য যেমন শব্দ, তেমনি গল্প, উপন্যাস ও নাটকের প্রধান উপজীব্যই হলো ভাবনা। তাঁর এ অবস্থানের সপক্ষে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ফিনেগানস ওয়েক-এর মতো শব্দপ্রধান উপন্যাসেও দেখা যাচ্ছে, সেখানে জয়েসের ভাবনাগুলো শব্দরূপ নিয়েছে মাত্র। সৈয়দ মনজুরুলের গল্প, উপন্যাসিকা কিংবা উপন্যাসেও প্রকাশ পেয়েছে এমন অবস্থান ও ধারণার। গল্প-উপন্যাসের কাহিনি, রেখাবিন্যাস, চরিত্রের নির্মাণ ও বিকাশ এবং ঘটনার পরম্পরা ও অভিঘাত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তিনি যেভাবে এগিয়ে চলেন, তাতে শেষমেশ আমরা পৌঁছাই এমন এক সত্যে যা যেন কোনো এক অলীক পৃথিবীর পূর্বাপরতা, পৌঁছাই এমন এক মিথ্যার মতো সত্যে যার উপস্থিতিই জেগে থাকার ও নতুন করে জেগে ওঠার প্রেরণায় উদ্ভাসিত।

সাহিত্যচর্চা তো দীর্ঘ এক অভিযাত্রা। সেই অভিযাত্রার শুরুতে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে আমরা দেখেছি সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে শিল্পকলার সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত ও বিকশিত হতে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের পর আপনাআপনিই চলে আসে তাঁর নাম। ১৯৭৩ সালে, তখনও তাঁর শরীর থেকে ছাত্রত্বের ঘ্রাণ দূর হয়নি, ডেইলি বাংলাদেশ অবজারভারে সদ্যপ্রয়াত শিল্পী পাবলো পিকাসোকে নিয়ে ইংরেজিতে নিবন্ধ লিখে শিল্পসমালোচনায় হাতেখড়ি ঘটে তাঁর। শিল্পকলা চর্চা ও সমালোচনার ধারায় তাঁর সেই সম্পৃক্তি এখনও অব্যাহত; পাশাপাশি তিনি মনোযোগী এখন প্রবন্ধ, গল্প আর উপন্যাসেও। অবশ্য লেখালেখির শুরু তাঁর আরও আগে- যতদূর ধারণা করি, স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘পরিক্রমা’য় লিখে। তাঁর বাবা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম ছিলেন আরবি সাহিত্যের ছাত্র ও পাঠক; বাবা ও মা দুজনেই ছিলেন শিক্ষক; বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে বলা যায়, তাঁর মায়ের আপন মামা সৈয়দ মুজতবা আলী- বিদগ্ধ সাহিত্যিক হিসেবে যিনি দুই বাংলাতেই সুপরিচিত।

উপন্যাস খুব কম লিখেছেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, তাঁর অবাধ বিচরণের ক্ষেত্র আসলে ছোটগল্পই। এই ক্ষেত্রে তাঁর নিবিড় সাযুজ্য দেখি শক্তিমান কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে লিখলেও হাসানের মতো তিনিও নিজের স্থানটিকে শক্তিশালী করেছেন মূলত ছোটগল্পের ওপর দাঁড়িয়ে। 

কিন্তু কোত্থেকে গল্পের জোগান পান সৈয়দ মনজুরুল? কীভাবে তিনি সাঁতরান আর কূল খুঁজে পান গল্পের নদী ও তরঙ্গে- যা তাঁকে শক্তিমান করে তুলেছে? এ নিয়ে নিজের গল্পসকল-এর ভূমিকায় তিনি সামান্য যে কয়েকটি বাক্য লিখেছেন, তার গভীরতা-অতলতা নিঃসন্দেহে প্রাসঙ্গিক ও অতুলনীয়। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বল শহরে ঘুরেছি মানুষের জীবনের নানা গল্পের সন্ধানে, চোখ খোলা রেখেছি সেসব গল্পের পেছনের রঙগুলোকে চিনে নিতে এবং কান পেতে দিয়েছি তাদের ভাষার ধ্বনিময় অথবা নীরব অঞ্চলে যেখানে শব্দ-নৈঃশব্দ্যের দ্বৈরথে তৈরি হয় প্রতিদিনের আখ্যানগুলো। আমার গল্পের বিষয়ের জোগান দিয়েছে আমার অভিজ্ঞতা, আমাদের সংবাদপত্র, জানাশোনা মানুষজন, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আমার কথোপকথন। গল্প সবখানে আছে, এবং কোনো গল্পই হারিয়ে যায় না। এক মানুষের গল্প জায়গা নেয় অন্য মানুষের গল্পে, সমষ্টির স্মৃতিতে।’ এই কথাগুলোই তাঁর গল্প পড়ার ও তা নিয়ে ভাবার দরজা খুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট; যথেষ্ট তাঁর গল্পের অন্তঃশিলায় প্রবহমান দর্শনকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। 

প্রসঙ্গত, সৈয়দ মনজুরুলের প্রথম বই ‘নন্দনতত্ত্ব’ বের হয় ১৯৮৬ সালে। এরপর ১৯৯২ সালে তাঁর যে বইটি ছাপা হয়, সেটিও ছিল প্রবন্ধের। ১৯৯৪ সালে প্রকাশ পায় তাঁর গল্পের বই ‘স্বনির্বাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প’। পরের বছর প্রকাশিত হয় ‘থাকা না থাকার গল্প’। এর পরের বছরেই তিনি অর্জন করেন কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার। প্রবন্ধ লিখে পরিচিত হয়ে ওঠা লেখকের পক্ষে গল্প-উপন্যাসের আঙিনায় স্থান করে নেওয়া কোনো কোনো সময় কঠিন হয়ে ওঠে। অবলোকনের চোখ, চিন্তাভাবনার ধরন ও তা প্রকাশের ভঙ্গিমা এমন লেখকদের গদ্যের আদলকেই অন্যরকম করে ফেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। কিন্তু সৈয়দ মনজুরুলের গল্পের ক্ষেত্রে সে রকম ঘটেনি। কেননা গল্পকে তিনি সঞ্চয় করতে শিখেছিলেন শৈশব থেকেই; শৈশবে পাওয়া গল্পকথক দিদা ও হাবীবের কাছ থেকে তিনি এই ধারণাও অর্জন করেছিলেন যে, গল্প কখনও মরে না আর গল্পবলিয়ে হিসেবে প্রত্যেক গল্পকারই গল্পে কোনো না কোনোভাবে উপস্থিত থাকেন এবং তাঁর অধিকারও থাকে গল্পটিকে প্রতিষ্ঠিত করার।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্পে তাই কথক, চরিত্র ও প্রকৃতি কখনও কখনও একাকার হয়ে যায়, আবদ্ধ থাকে না কোনো নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে। সাহিত্য সমালোচকদের অনেকে তাই তাঁর গল্পকে শ্রেণিবদ্ধ করে থাকেন উপনিবেশোত্তর উত্তরাধুনিকতার বৃত্তে। তবে অনেকে যেমন মনে করেন- তাঁর গল্প বিশ্বসাহিত্য বা পশ্চিমা আঙ্গিক ও আধার প্রভাবিত, তা বোধ করি যথাযথ নয়। যদিও আশির দশকে বলতে গেলে একক একাগ্রতা ও নিষ্ঠা নিয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক, সাহিত্য, ফিকশন ও নন-ফিকশনকে পরিচিত করিয়ে দিয়েছেন এবং এভাবে হয়ে উঠেছেন এদেশে বিশ্বসাহিত্যের দূত; আবার পাঠককে বিশ্বসাহিত্যের আস্বাদ দিতে দিতে তিনি নিজেও ঋদ্ধ হয়েছেন, সমৃদ্ধ করেছেন নিজের সাহিত্যচিন্তা ও গল্প লেখার স্টাইলকে। কিন্তু গল্পের ভূগোল, কাহিনি ও চরিত্র তাঁর লেখার রীতিকে স্বকীয়তা দিয়েছে, তাঁকে আলাদা করে তুলেছে তাঁর দর্শন; বিশ্বসাহিত্যের যেসব বৈশিষ্ট্য বাংলা গদ্যকে ক্লিশে ও কৃত্রিম করে ফেলে, তাকে তিনি বর্জন করতে পেরেছেন দক্ষতার সঙ্গে।

লেখার অপেক্ষা রাখে না, কথাসাহিত্যের বৃত্ত ছাপিয়ে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এখন উদ্ভাসিত আমাদের প্রাজ্ঞ পথিকৃৎ হিসেবে। দীর্ঘ প্রস্তুতির ফসল তিনি এবং তাঁর এই প্রস্তুতি কেবল ছোটগল্পকে ঘিরে নয়- বরং জীবনযাপনকে ঘিরে, জীবনচর্চাকে ঘিরে, সৃজনশীলতার সাধনাকে ঘিরে। তাঁর জীবনসাধনাই বলি আর জ্ঞানসাধনা ও সাহিত্যের সাধনাই বলি, কোনোটিই রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না; আবার এই অবিচ্ছিন্নতার পরিসর সম্পর্কেও তিনি এত সচেতন ও নিবিষ্ট ছিলেন যে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন তাঁকে কখনও গ্রাস করতে পারেনি। ১৯৬৬ সালে, তাঁর এসএসসি পাসের বছরে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১২ মার্চ সিলেট গিয়েছিলেন জনসভা করতে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সেদিন তাঁর তারুণ্যের সূচনালগ্নেই পরিচিত হন স্বাধীন বাংলাদেশের বীজমন্ত্র ছয় দফার সঙ্গে, দেখেন বঙ্গবন্ধুকে, শোনেন তাঁর বজ্র কণ্ঠস্বর। ছাত্ররাজনীতিতেও সম্পৃক্ত হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু যাত্রী হয়েছিলেন আরও দূর গন্তব্যের। তবে অতীতকেও মনে রাখেন তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে; তাই তাঁকে অসংকোচে লিখতে দেখি, রাজনীতি নিয়ে তাঁর সবচেয়ে তৃষাতুর দিনগুলোতে, ছাত্রত্বের দিনগুলোতে তিনি পছন্দ ও শ্রদ্ধা করতেন ছাত্রনেতা আ ফ ম মাহবুবুল হককে। যাঁর নিশ্চিত বিজয় থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে, ট্র্যাজিক পরিণতি যাঁর আর পিছু ছাড়েনি কোনোদিন, সশ্রদ্ধ চিত্তে সৈয়দ মনজুরুল তাঁকে মনে রেখেছেন। অকপটে লিখেছেন তিনি, স্মিতমুখে বিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার গুণটি খুব বেশি পেয়েছেন মাহবুবুল হকের কাছ থেকে। মঞ্চের খুব কাছে বসে সাতই মার্চের ভাষণ শুনেছিলেন ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম; কেননা বিদেশি কূটনীতিক ও সাংবাদিকদের দোভাষী হিসেবে সেখানে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন আ ফ ম মাহবুবুল হক। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আরও এক ইস্পাতদৃঢ় নেতা তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কেও সৈয়দ মনজুরুলকে উৎসুক করে তুলেছিলেন তিনি। 

ঈপ্সিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে, একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক হয়ে উঠতে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত হননি সৈয়দ মনজুরুল। সৃজনশীলতার সংগ্রামে নিমগ্ন এই মানুষটি এমন অনেক কিছুই উপেক্ষা করেছেন দৃঢ়তার সঙ্গে, যেসবের জন্য লালায়িত এই সময়ের বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী-শিক্ষক-লেখক। শুধু বাংলা একাডেমি কিংবা শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কিংবা মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাবও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন, নিমগ্ন থেকেছেন নিজের একটি ঘর, সৃষ্টিমুখর ঘর গড়ে তোলার কাজে।

বাংলাদেশ ও বাংলা কথাসাহিত্যে, সংশয় নেই, সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের আসন আগামী দিনগুলোয় আরও সুসংহত হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা