প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৪০ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৩ পিএম
প্রয়াত ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম দেশের বিপুলসংখ্যক ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসায় একটি চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তখন এটির নাম ছিল ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন ফর পাকিস্তান, বর্তমান নাম বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। ডা. ইব্রাহিম ঢাকার সেগুনবাগিচায় নিজের বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ সমিতির ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব করেন। ওই বাড়িতেই ডায়াবেটিস সেবার জন্য বহির্বিভাগ চালু হয়। সেখানেই প্রথম শুরু হয় ডায়াবেটিসসংক্রান্ত চিকিৎসা।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই এই প্রতিষ্ঠান অসহায়, গরিব ও দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছে। বারডেমের আওতায় আরও স্বতন্ত্র নয়টি পৃথক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো হলো : বারডেম (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াবেটিস), অ্যান্ডোক্রাইন অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডার্স রিস্যাবিলিটিশন, অ্যান্ডোক্রাইন অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডার্স, পুনর্বাসন ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকেন্দ্র, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এবং গবেষণাকেন্দ্র, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস, বারডেম নার্সিং কলেজ, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্প।
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া জমিতে এবং সরকারি আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির এই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটি তিনটি বৃহৎ ভবনে কার্যক্রম শুরু করে। পনেরো তলা বিশিষ্ট ভবনে ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হয়ে থাকে। এই চিকিৎসাকেন্দ্রে বর্তমানে রয়েছে ৫৪২টি শয্যা, এর মধ্যে ৮০টি আসন দরিদ্র রোগীদের সেবার জন্য বিনামূল্যে নির্ধারিত।
উন্নত সেবার জন্য দেশ ও দেশের বাইরেও স্বীকৃতি রয়েছে বারডেমের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮২ সালে বারডেমকে তাদের সহযোগী কেন্দ্র হিসেবে মর্যাদা দেয়। এশিয়ার মধ্যে একমাত্র হাসপাতাল বারডেম, যেটি ‘ডব্লিউএইচও কোলাবরেটিং সেন্টার ফর প্রিভেনশন, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোল অব ডায়াবেটিস’-এর স্বীকৃতি মিলেছে। এছাড়া ১৯৮৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ২০০৪ সালে ইবনে সিনা পুরস্কার পায় বারডেম।