× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে...

মানসী সাহা

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ০০:২১ এএম

আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:২৮ পিএম

থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে...

শুধু ভ্রমণে সীমাবদ্ধ না থেকে, ভ্রমণকে একটা সামাজিক সচেতনতার হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করার স্বপ্ন ছিল অনেক দিনের। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ নামক ভ্রমণকন্যার এক বিশেষ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সমগ্র দেশে বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের মধ্যে বয়ঃসন্ধি ও পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং আত্মরক্ষার কৌশল নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া।

মেয়েরা দেখবে, জানবে, শিখবে, ঘুরবে। মেয়েরা একজন মানুষ হিসেবে এ কাজগুলো করবে- তা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এ ব্যাপারটা স্বাভাবিকতার রূপ পরিগ্রহ করেনি। শুধু আনন্দ করার জন্য সময় বের করার সুযোগটুকুও কেন যেন মেয়েরা পায় না। একা যাওয়ায় বাধা, অপরিচিতের সঙ্গে যাওয়াতেও বাধা। এই অনেক বাধার ভেতর পরস্পর অপরিচিত কন্যাদের একত্র করার পরিকল্পনা নিয়ে আজ থেকে বছর ছয় আগে যাত্রা শুরু করে ভ্রমণকন্যার। মেডিক্যাল কলেজের দুই বন্ধু মানসী সাহা, মানে আমি আর সাকিয়া হক উদ্যোগ নিই এ আনন্দযাত্রার। 

২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর। ঢাকা মেডিক্যালে শেষ বর্ষে পড়ুয়া দুই বন্ধু, যাদের ভ্রমণে বন্ধুবান্ধব বা পরিবার থেকে বারবার শুনতে হচ্ছে ‘না’। বাসার বারণ আর পড়াশোনার চাপে হাঁপিয়ে ওঠা সময় থেকে একটু শ্বাস নেওয়ার ফুসরত ছিল না। সেই সময়ে, এই হাঁপিয়ে ওঠা থেকে বেরিয়ে পড়তেই যাত্রা শুরু মেয়েদের জন্য এই ভ্রমণ সংগঠনটির। যাত্রার শুরুতে ছিল উনিশ জন মেয়ে নিয়ে নরসিংদী ভ্রমণ। দ্বিতীয় যাত্রা মৈনাক ঘাট, সংখ্যা ৫১। এরপর এক এক করে অর্ধশত ভ্রমণ ইভেন্ট শেষ করে ভ্রমণকন্যা। তবে শুধু ভ্রমণে সীমাবদ্ধ নয় ভ্রমণকন্যা, এর সঙ্গে মেয়েদের জন্য নানারকম পদক্ষেপ নেওয়া হয় । তারই কিছু গল্প এখানে রইল-

ভ্রমণ

মায়েদের-মেয়েদের নিয়ে ভ্রমণকন্যা এখন অবধি ভ্রমণ-ইভেন্ট করেছে ১৬৬টি। তাতে প্রায় চার হাজারের বেশি নারী ঘুরেছে দেশ-বিদেশ। দেখেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটার সূর্যোদয়, সুন্দরবনে হরিণের পাল, সেন্টমার্টিনের তারাভরা আকাশ, সিলেটের চা বাগান, উত্তরবঙ্গের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা, বান্দরবানের পাহাড়, ভুটানের টাইগার নেস্ট, সিকিমের বরফ এমন আরও অনেক কিছু। 

প্রতি মাসেই ভ্রমণকন্যার ট্যুর থাকে। বর্ষায় হাওর বা ঝরনা, শীতে সুন্দরবন, আম-লিচুর মৌসুমে উত্তরবঙ্গ। পুরাকীর্তি দেখতে টাঙ্গাইল, পানাম, ময়মনসিংহ, চা বাগান দেখতে সিলেট-শ্রীমঙ্গল, সমুদ্র দেখতে কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন। ক্যাম্প করতে যাওয়া হয় নিঝুমদ্বীপ। দেশকে দেখে পা দিব বর্ডার পেরিয়ে হিমালয়কন্যা নেপাল, সুখের দেশ ভুটান, প্রতিবেশী ভারত। হোক না দূরের- যাব মালদ্বীপ, দুবাই, ইন্দোনেশিয়া। ভ্রমণ আমাদের থামবে না। 

নারীর চোখে বাংলাদেশ

শুধু ভ্রমণে সীমাবদ্ধ না থেকে, ভ্রমণকে একটা সামাজিক সচেতনতার হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করার স্বপ্ন ছিল অনেক দিনের। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ নামক ভ্রমণকন্যার এক বিশেষ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সমগ্র দেশে বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের মধ্যে বয়ঃসন্ধি ও পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং আত্মরক্ষার কৌশল নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া। শুধু তাই নয়, প্রতি জেলাতে অন্তত একটি স্কুলে মেয়েদের সঙ্গে খাদ্য-পুষ্টি, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও আত্মরক্ষার কৌশলের ওপর ওয়ার্কশপ করা। দীর্ঘ দুই বছরে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে (ডা. সাকিয়া হক ও ডা. মানসী সাহা) স্কুটিতে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করে স্পর্শ করেন আরেকটি মাইলফলক। দেশের আনাচে-কানাচে প্রায় ৩২ হাজার মেয়ের সঙ্গে সচেতনতামূলক কার্যক্রমসমূহ পরিচালনা করা হয়।

নারীর চোখে বাংলাদেশ প্রজেক্টে মানসী সাহা আর সাকিয়া হক দুটো মোটরসাইকেল আর সংগঠনের মেয়েদের নিয়ে সড়কপথে ভ্রমণ করেছেন ৬৪ জেলা। প্রত্যেক জেলায় একটা করে স্কুলে মেয়েশিশুদের সঙ্গে অনুষ্ঠান করা হয়েছে। তাদের জন্য আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জানানো, বাল্যবিয়ে রোধে সচেতন করা নিয়ে কথা বলা হয়। দুই বছর এক মাসে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, শিবগঞ্জ থেকে থানচি দুই চাকার বাইকে ঘুরে ঘুরে সচেতন করা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। 

মহামারিপরবর্তী এই প্রকল্পের আরও সুসংগঠিত এবং সম্প্রসারিত রূপ হলো Gender Equity and Empowerment Programme (GEEP) সচেতনতামূলক প্রজেক্টটি বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রতিটি মেয়ের পাশাপাশি প্রতিটি ছেলের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে এই প্রকল্পের যাত্রা। Gender Equity and Empowerment Programme – GEEP : সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১-এ প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ৬৪ জেলার শিক্ষা অফিসারবৃন্দ।

এই প্রকল্পের বর্ধিত কার্যক্রমের সঙ্গে আমরা নতুন বিষয় হিসেবে আরও কিছু কার্যক্রম; যেমন- ভালো স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ, বাল্যবিয়ে, মাদক, সড়ক নিরাপত্তা। প্রকল্পটি পাঁচ বছরব্যাপী কর্মসূচি পরিচালনা করবে, যার আওতায় সারা দেশে প্রায় ৫শটি বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ছেলে-মেয়ে যে কেউই যোগ দিতে পারেন আমাদের সঙ্গে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকেই। 

Travel Girls Inn (ভ্রমণকন্যার ঘর)

ব্যস্ত শহর, জাদুর শহর, প্রাণের শহর, যানজটের শহর এ রকম আরও অনেক ভালো-মন্দ নামে ডাকা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে জনঘনত্বের মেগাসিটি রাজধানী ঢাকাকে। রাজধানী বলেই হয়তো স্থানের তুলনায় এখানে জনসংখ্যার আধিক্য। ঘুরতে, চাকরির পরীক্ষা দিতে, হাসপাতালে, অফিসের কাজে ইত্যাদি নানা প্রয়োজনে প্রতিনিয়তই অসংখ্য মানুষ ভিড় জমায় এই গঙ্গাবুড়ির শহরে। অথচ এই শহরে অস্থায়ীভাবে এক রাত থাকার জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় থাকার একটা নিরাপদ জায়গা। আর মেয়েদের জন্য সেই চিন্তা দ্বিগুণ। রাজধানীর হোটেলগুলোও ব্যয়বহুল। স্বল্প ব্যয়ে যেগুলো আছে, সেখানে থাকাটাও খুব একটা সুখকর এবং স্বস্তিদায়ক নয়। ঢাকায় এই ক্ষণস্থায়ী মেয়ে আগন্তুকদের জন্যই ভ্রমণকন্যার ঘর।

শুধু ঢাকা শহরে চারটি শাখা, পর্যটনের কক্সবাজার, পঞ্চগড়, নরসিংদীতে রয়েছে ভ্রমণকন্যার ঘরের শাখা। 

খুবই স্বল্প খরচে এখানে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। একদিনের জন্য থাকার খরচ পড়বে মাত্র পাঁচশ টাকা এবং যদি ছাত্রী হয় সেক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখালে তাকে গুনতে হবে মাত্র তিনশ পঞ্চাশ টাকা। ভ্রমণকন্যার ঘরে এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় ১৬০ জন অতিথি হয়ে এসেছেন।

শিক্ষণ

যানজটের নগরী ঢাকা থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও সাইকেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যান। ই-কমার্সের এই যুগে পণ্য ডেলিভারি থেকে শুরু করে সহজে চলাচলের জন্য তরুণ-তরুণীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় এই সাইকেল। এই ভাবনা থেকেই ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশের আরেক প্রকল্প ‘শিক্ষণ’। শিক্ষণ থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ জন নারী সাইকেল শিখেছেন।

সামনে স্কুটি চালানো শিখানোরও প্লান আছে বৈকি!

ডিজিটাল বাংলাদেশে কম্পিউটারের মাইক্রোসফট, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেলের মতো প্রাথমিক জ্ঞান থাকা বর্তমানে আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষণে ইতোমধ্যে ২৫০ জন ছেলেমেয়েকে এই কম্পিউটার স্কিলগুলোর ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে স্কুটি ও গাড়ি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করারও পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশের মেয়েদের ট্র্যাকিং আর মাউন্টেনিয়ারিংয়ের ওপর আগ্রহ তৈরি করতে খুব সম্প্রতি হাতে নেওয়া হয়েছে বেসিক স্কিল ওয়ার্কসশপ।

Destination Madness 

সময়ের সঙ্গে অন্য সবকিছুর পাশাপাশি বিয়ের রীতিতেও চলে নানা রদবদল। ক্যাসেট প্লেয়ার কিংবা ডিজে পার্টি ছাড়িয়ে ভ্রমণপ্রেমী কেউ কেউ আজকাল প্রকৃতির সান্নিধ্যে প্রিয় মানুষকে নিয়ে নতুন জীবনের পথচলা শুরু করছে। এই পথচলাকে সুন্দর ও মধুর করে তুলতেই ভ্রমণকন্যার সাশ্রয়ী বাজেটে পছন্দমতো জায়গায় বিয়ে, হলুদ, জন্মদিনের মতো এ রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ পর্যন্ত আমরা পাহাড়, চা বাগান মিলিয়ে ৬টি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। লীলাবালি কী দিয়ে সাজবে বা নয়া দামানকে কী বিছিয়ে দেব- সে দায়িত্বটা আমাদের ওপর!

প্রজেক্ট ক্লিন ট্রাভেল

যে দেশ আমাদের ভ্রমণের জন্য এত সুন্দর সুন্দর স্থান উপহার দিয়েছে, সেই দেশের প্রতি আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পর চোখে পরে যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল, ওয়ান টাইম প্লেট, গ্লাস, পলিথিনসহ আরও নানাবিধ ময়লা- যা মানুষ ভ্রমণ করতে গিয়ে এসব ছুড়ে ফেলে আসে সেই প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝেই।

এসব দেখে আমরা ব্যথিত হই এবং ঠিক করি বড় পরিসরে না হলেও সাধ্যমতো পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করব। এই চিন্তা থেকেই প্রতিটি ট্যুরে শুরু করি এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ময়লা আবর্জনাগুলো কুড়িয়ে নিয়ে সেগুলো যথাযথভাবে ধ্বংস করার ব্যবস্থা করি। আমরা বিশ্বাস করি, ভ্রমণের সময় এই কাজ পালনের মাধ্যমে আমরা দেশের প্রতি সামান্য হলেও দায়িত্বশীল আচরণ প্রকাশ করতে পারছি। 

বেহুলা 

সুনামগঞ্জের হাওরে নেমেছে ভ্রমণকন্যার ভেলা ‘বেহুলা’। সত্যিকারের ভেলা নয়। বরং আয়েশি নৌকা। বর্ষাকালে নদী, খালবিল, হাওর, ফসলের ক্ষেত পানিতে একাকার হয়ে যায়। কালো নদীর জল, মাথার ওপরে নীল আকাশ আর পুবালি বাতাসের সঙ্গে নৌকার ইঞ্জিনের শব্দ মিলে যেন এক পরাবাস্তব জগতের সৃষ্টি হয়। সুরের মতন কানে বাজতে থাকে। দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি আর একঘেয়েমি কাটাতে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এ ছাড়া আর কী দরকার! 

আচ্ছা, আমার গল্পটি ফুরাল। তাও বলে যাই কিছু কথা। আমাদের পথচলার শুরু থেকেই দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ও প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হই। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দেশে-বিদেশে বিশেষভাবে পুরস্কৃত হই। অন্যতম : The Diana Award 2020; Acumen Fellowship 2021; Youth Excellence Award 2019; ChangeMakerXchange China, Hangzhou, China in 2019; Global Program for women leadership 2019 in New Delhi, India; Joy Bangla Youth Award 2018; ZafigoX Award in Malaysia 2018; Zonta Centennial Recognition Award; ভোরের কাগজ নারী সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা