× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মুক্তনীল, মঞ্চনাটকের উন্মুক্ত আকাশ

লোপা মমতাজ

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ০১:৩১ এএম

আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৩ পিএম

মুক্তনীল, মঞ্চনাটকের উন্মুক্ত আকাশ

বাতিঘরের বাতি অনেকেই। এর কেন্দ্রে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে অন্যতম আলোকবর্তিকার নাম সঞ্জয় সরকার ওরফে মুক্তনীল। ৪০ বছরের টগবগে যুবক এই মুক্তনীল নিভৃতেই ছিলেন, কাজ করেছেন আপনমনে, নিরলস। ধীরে ধীরে মঞ্চামোদীদের হৃদয় জয় করে এখন নগরের মঞ্চনাটকের আলোচনায় সরব।

মুক্তনীল। তার জন্ম নাটোরের দীঘাপতিয়ায়। বাংলা মঞ্চনাটকের এই সময়ে প্রতিনিধিত্ব করছে যে কটি নাট্য সংগঠন, তার মধ্যে বাতিঘর অন্যতম। বাতিঘরের নাম এলেই আসে মুক্তনীল। মুক্তনীলের নাম উচ্চারিত হলেই হয় বাতিঘরের নাম। ১৯৯৭ সাল, ‘বাতিঘর’টার শুরু তখনই। নাটোরের দীঘাপতিয়ায়।

দর্শক হিসেবে মুক্তনীলের এক একটা প্রযোজনা যতবার দেখেছি ততবার অবাক হয়েছি, ফলে একদিন তার কাছেই জানতে চাইলাম- এমন প্রতিবাদী নাটক মঞ্চায়নের সাহস আপনি কোত্থেকে পেয়েছেন? লাজুক ছেলেটি ধীরে ধীরে বলতে থাকল মঞ্চনাটকের সঙ্গে তার জড়িয়ে পড়ার গল্পসকল।

বাবার চাকরিসূত্রে ঢাকায় চলে আসা। তার ভাষ্যমতে, ‘থিয়েটারের একটা পোকা ছিল মাথায়। খেলাঘর, চাঁদের হাট বা অন্যান্য সাংস্কৃতিক শিশু সংগঠন ছিল, এদের দেখে দেখেই হয়তো আমার মধ্যে বীজের অঙ্কুরোদ্গম হয়েছিল। আমার পরিবারেই একটা সাংস্কৃতিক আবহ ছিল। বাবা যাত্রাপালা করতেন। বড় ভাই সাংস্কৃতিক আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। আমাদের গ্রামাঞ্চলে একসময় থানা বা গ্রাম পর্যায়ে স্টেজ বানিয়ে ১৬ ডিসেম্বর নাটক হতো। এগুলো দেখতাম। আমাদের অংশগ্রহণেরও সুযোগ হতো। তারপর সম্ভবত নাইনটি সিক্সে জামিল আহমেদ এলেন। আমাদের ওখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হতো। তার মধ্যে ‘যোগী’র গান ছিল অন্যতম। যোগীর গানে কাজ করতে জামিল স্যার গেলেন। ওয়াহিদা মল্লিক জলি গেলেন। এদের মতো লোকজন যখন ওখানে গেলেন তখন মনে হলো, আমরা এখানে এটাকে যত সস্তা মনে করছি, তত সস্তা হলে তো ঢাকা থেকে লোকজন আসত না। এই বিষয় ঢাকায় মনে হয় অনেক কদর, যেহেতু শহরের লোকজন আসছে। এভাবে দেখার চোখটার একটু পরিবর্তন হলো। তারপর ঢাকায় এলাম। বিভিন্ন শো দেখতে গেলাম। মহিলা সমিতি। গাইড হাউস মঞ্চে। ভাবলাম, এরা হয়তো আমাকে নিতে পারে। ঢাকায় আমার প্রথম দেখা এসএম সোলায়মানের কোর্ট মার্শাল। নাটকটি দেখে আমার মনে হলো থিয়েটারটা আসলে করতে হবে।’

নাটোরের দীঘাপতিয়ার এই মুক্তনীল, মুক্তমনের স্রোতধারায় হব আলোকিত মানুষ- এ রকম স্বপ্ন নিয়ে ১১ জুন, ২০১১ সালে, আক্ষরিক অর্থে একটি থিয়েটার সংগঠন বাতিঘর রচনা করেন। একঝাঁক স্বপ্নময় তরুণ-তরুণী মিলে বাতিঘরের অগ্রযাত্রা। ২০২২-এ বাতিঘর ১২ বছরে পর্দাপণ করল।

কথা বলতে বলতে এই অভিমানী তরুণ নিজেকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘আমি মানে আমাদের বাতিঘরের নাটকগুলো, এই নাটক যে বা যিনি দেখবেন সে বা তিনিই আমাকে দেখবেন; দেখবেন আমার দলের সব কলাকুশলীর স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। নাটকের মধ্য দিয়েই আমি আমার সময়ের অসাম্য, অসঙ্গতি ও বেদনা ধরতে চেয়েছি। অনেকের মতোই প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজতে চেয়েছি। এর বেশি আর কী বলার আছে! মুক্তনীলের এই বলার মধ্য দিয়েই এ সময়ের নাটক ও নাট্যযাত্রার মর্ম অনুধাবন করি।

মলয় ভৌমিকের রচনায় ‘গরু’ নামের একটি পথনাটক দিয়ে প্রথম নাট্যযাত্রা করেছিল বাতিঘর। কালের যাত্রায় বাতিঘর এই ১১ বছরে পাঁচটি মঞ্চনাটকের সফল মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে তাদের আলো ছড়াতে পেরেছে সগৌরবে।

বাতিঘরের বাতি অনেকেই। এর কেন্দ্রে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে অন্যতম আলোকবর্তিকার নাম সঞ্জয় সরকার ওরফে মুক্তনীল। ৪০ বছরের টগবগে যুবক এই মুক্তনীল নিভৃতেই ছিলেন, কাজ করেছেন আপনমনে, নিরলস। ধীরে ধীরে মঞ্চমোদীদের হৃদয় জয় করে এখন নগরের মঞ্চনাটকের আলোচনায় সরব। ২০২২-এ এসে তাদের উত্থান নগরের নাট্যজগতে সৃষ্টি করেছে বিস্ময়। যদিও তারা ভেতর থেকে ক্রমে বেড়ে উঠছিল ১১ বছর ধরে। মঞ্চে এসছিল প্রথমে বাকার বকুলের রচনা ও নির্দেশনায় ‘ঊর্ণাজাল’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে। এরপর রিজিয়া রহমানের উপন্যাস অবলম্বনে মুক্তনীলের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় মঞ্চে আসে একটি অলিখিত উপাখ্যান, র‌্যাডক্লিফ লাইন, হিমুর কল্পিত ডায়েরি ও মাঙ্কি ট্রায়াল।

একটার পর একটা নাটক মঞ্চায়নে হলের সব টিকিট এক দিন, দুই দিন আগেই বিক্রি হয়ে যায়; এমন ঘটনা ও নজির বর্তমানে খুবই কম। দর্শকের হৃদয় দারুণভাবে সাড়া দিয়েছে বাতিঘরের নাটক। হলভর্তি দর্শক, নিস্তব্ধ নীরবতা, একটি আসনও শূন্য না থাকা, মুখের ওপর যথাসময়ে যথার্থ কথাটা বলে দিতে পারার কারণেই হয়তো এমন উত্থান। পরপর চারটি নাটকেরই রচয়িতা ও নির্দেশক মুক্তনীল। তার সাড়াজাগানো কাজের মধ্যে এই চারটি নাটকে হলভর্তি দর্শক। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, এমন দৃশ্যের স্মারক আমরা অনেকেই। মাত্র পাঁচটি নাটক নিয়ে বাতিঘর আজ মঞ্চনাটকের কেন্দ্রে আলো ছড়াচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগেও তারা ছিল কেন্দ্রের বাইরে। যেন কোনো তাড়া নেই, আলোড়ন নেই একমাত্র সৃষ্টির তাড়নাই ছিল তাদের তাড়া। একমাত্র শিল্পযাত্রাই ছিল তাদের অগ্রযাত্রার প্রাণপাথেয়। ১১ বছরের তপস্যার ফল আজ বাতিঘর সবার কাছে সুবিদিত, সুপরিচিত। অনেকটা প্রেরণারও উৎস।

জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক রিজিয়া রহমানের উপন্যাস উপজীব্য করে ‘অলিখিত উপাখ্যান’ বাতিঘরের দ্বিতীয় প্রযোজনা। কথাসাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ডায়েরির পাতায় লেখা হয়েছিল ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবীর বীরত্বগাথা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এক অনালোচিত চরিত্র রহিমউল্লাহ। সুন্দরবনের মোরেলগঞ্জে অত্যাচারী বেনিয়াদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিলেন প্রতিরোধ। চাষিদের দিয়ে জোর করে জঙ্গল কেটে আবাদ করানোর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল তার কণ্ঠস্বর। সেই প্রতিবাদের পরিণতিতে প্রাণ হারাতে হয় সাহসী এই বিপ্লবীকে। অনালোচিত চরিত্র রহিমউল্লাহ যেন এই সময়ের গণমানুষেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও জঙ্গল কেটে সাফ হচ্ছে, কোনো আদিবাসী ভূমি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে। এসব প্রান্তিক মানুষের কথাই যেন উঠে এসেছে এ উপাখ্যানে। অলিখিত উপাখ্যান উপন্যাসকে গবেষণার ভিত্তিতে নাট্যরূপ দিয়েছেন মুক্তনীল। নাট্যরূপ দেওয়ার পাশাপাশি নাটকটির নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

র‌্যাডক্লিফ লাইন ও হিমুর কল্পিত ডায়েরি মুক্তনীলের রচনা ও নির্দেশনায় তুমুল সাড়া জাগিয়েছে আমাদের এই নগরের নাট্য আন্দোলনে। তবে এ কথা বললে বেশি বলা হবে না যে, মুক্তনীলের স্ক্রিপ্ট ও নির্দেশনায় মাঙ্কি ট্রায়াল মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে এই আলোড়ন আরও বেগবান হয়েছে। মাঙ্কি ট্রায়ালেরর কাহিনি রচনা করেছেন জেরোম লরেন্স ও এডউইন লিন। অনুবাদ, স্ক্রিপ্ট ও নির্দেশনা দিয়েছেন বাতিঘরের অন্যতম আলোকবর্তিকা মুক্তনীল। সংলাপ, মঞ্চ পরিকল্পনা, আলোর মিশ্রণ, সংগীত নিরূপণ, কাহিনির বিস্তার ও অভিনয় দিয়ে এমন এক অনিবার্য মঞ্চ উপস্থাপন আমাদের আপন করে নিয়েছে মাঙ্কি ট্রায়াল। এর প্রতিফলন দেখতে পাই প্রতিটি মঞ্চায়নে উপচে পড়া দর্শকসমাগমে।

১৯২৫ সালে আমেরিকার হিলসবোরো শহরে একটি পাবলিক স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষক বার্ট্রাম কেইটস, যিনি তৎকালীন বাটলার আইন উপেক্ষা করে ছাত্রদের সৃষ্টিবাদ ও ডারউইনের বিবর্তনবাদ পড়ানোর অভিযোগে দণ্ডিত হন। এতে তৎকালীন প্রতিক্রিয়াশীল ও ধর্মান্ধরা ক্রোধে ফেটে পড়ে। রাষ্ট্রয় আইন লঙ্ঘনের দায়ে জেলখানায় বন্দি করা হয় বিজ্ঞান শিক্ষক বার্ট্রাম কেইটসকে। বাটলার আইন এমন এক রাষ্ট্রীয় আইন, যেখানে পাবলিক স্কুলে ধর্মীয় সৃষ্টিবাদের পরিবর্তে বিজ্ঞানের বিবর্তনবাদ শেখানো নিষিদ্ধ করে। ঘটনা আদালতে গড়ায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ধর্মবিশ্বাসী ম্যাথিউ হ্যারিসন ব্রাডি এবং আসামিপক্ষের প্রগতিশীল আইনজীবী হেনরি ড্রামন্ড এ মামলাটি লড়তে আসেন। বিচার প্রক্রিয়াটি বিবর্তনের সত্যতা নিয়ে একটি জাতীয় বিতর্কের সৃষ্টি করে, যা বৈজ্ঞানিক প্রমাণকে জনসাধারণের সামনে আনতে সাহায্য করেছিল। মামলাটি তৎকালে গণমাধ্যমে তুমুল আলোচিত হয় এবং বিশ্বজুড়ে নজর কাড়ে। যে কাহিনি আজও পৃথিবীর দেশে দেশে কূপমণ্ডূকতার জন্ম দিয়ে চলেছে। অন্ধবিশ্বাস আর বিজ্ঞানের পরীক্ষিত অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে এমন এক নাটকীয় গল্প বলা হয়েছে, যা ২০২২ সালে মুন্সীগঞ্জের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের কাহিনির সঙ্গেও মিলে যায়। এমন একটি কাহিনিকে মঞ্চে সফলভাবে উপস্থাপনের সাহস বাতিঘরকে দিয়েছে অন্যরকম উচ্চতা। যার কৃতিত্বের কেন্দ্রে রয়েছেন মুক্তনীল এবং অবশ্যই এর কলাকুশলীরা।

এবার আসি মুক্তনীলের র‌্যাডক্লিফ লাইন নাটকে। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে, দুই দেশের দুই সীমান্তরক্ষী মানে সেনার কাহিনি, যা নিয়মের খাঁচায় বন্দি মানুষের ভেতর মানবিকতার জন্ম দেয়। মিথ্যা অহমিকা আর আদিম যুগ থেকে এখন পর্যন্ত জাতিতে জাতিতে পারস্পরিক দ্বন্দ্বে জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে মানবতা আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। মাত্র তিনটি চরিত্র মঞ্চে। একটি গরু, যে মাঝেমধ্যে সীমান্তরেখা ছোঁয়। আর দুই দেশের দুই সেনা তা নিয়ে গোলাগুলি করে। শেষ পর্যন্ত ওরা দুজনই মানুষ। ওদেরও রয়েছে সন্তানসন্ততি। দেশভাগের যন্ত্রণা। এমন একটি কাহিনি মুক্তনীল বর্ণনা করেছেন, যার কোনো খুঁত খুঁজে পাওয়ার আগে চোখ ভিজে যায় মর্মন্তুদ বেদনায়। তাই বোধহয় বাতিঘরের নাটক এখন দর্শকের কাছে এত ঘনিষ্ঠ।

হিমুর কল্পিত ডায়েরি। নামের প্রথমেই দর্শক হোঁচট খান। কারণ জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট একটি চরিত্রের নাম হিমু। কিন্তু এই হিমু যে সেই হিমু নন। ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজার ধসে সহস্রাধিক পোশাকশ্রমিক নিহত হন। সেখানে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার একজন হিমু নওশাদ হোসেন হিমু, যে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে ১৫ দিন ধরে এমন কঠিন দায়িত্ব পালন করে উদ্ধার করেছিলেন আহত ও মৃতদের। এই হিমুর মানসিক সুস্থতার কোনো দায়ভার কেউ নেয়নি। এসব হত্যার বিচার না হতে দেখা উদ্ধারকর্মী হিমু প্রতিবাদের স্মারক হয়ে নিজেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর প্রধান কারণ ছিল বিচার না হওয়ার ক্ষোভ। তাজরীনের আগুনে দগ্ধ মৃত মানুষের, নিমতলীর আগুনে নিহত মানুষের, নুসরাতের আগুনের মতো মৃত্যু বেছে নিয়ে আমাদের চোখের মণির ভেতর আঙুল দিয়ে দেখাতে চেয়ে আত্মহত্যা করেন হিমু। এই কাহিনি একজন অভিনেতাকে দিয়ে মঞ্চে কীভাবে মুক্তনীল জলের মতো পরিষ্কার করে দেখাতে পারেন, সে কথা আমাদের জানা হয় নাটকটি দেখার পর, হয়তো তার কিছু অজানাও থেকে যায়, যদিও আমরা বাঁচি পরস্পর!

ফলে মুক্তনীল মানে সময়, মুক্তনীল মানে সাহস, মুক্তনীল মানে সংবেদনশীলতা। মানে একজন মানুষ, যে মানুষের ভ্রমটাকে শিল্পতরীতে উঠিয়ে পাল তুলে দেখাতে চায় এবং পারে। এড়িয়ে যাওয়া মানে পেরিয়ে যাওয়া নয়। মুক্তনীল তার কাজে এ কথাটাই সম্ভবত হৃদয়, মন ও মননশীলতা দিয়ে আমাদেরক বলতে চেয়েছেন, তাকে একটি চন্দ্রবিন্দু দিয়েই অভিবাদন করি।

মুক্তনীলকে অভিবাদন। অভিবাদন বাতিঘরের সব কুশীলবকে। জয় হোক নাটকের, বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা