× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ অভিন্ন

আবদুল মান্নান

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ২১:৩৭ পিএম

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

আজ বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। গভীর শ্রদ্ধায় প্রথমেই স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের যাঁদের আমরা হারিয়েছি, তাঁদের সবাইকে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন দুরূহ। তাঁর রাজনৈতিক ও কর্মময় অধ্যায়ের পরিসর অনেক বিস্তৃত। এরই কিছু অধ্যায় আজ আলোচনা করি। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা বিদেশি সংবাদমাধ্যমেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তাই বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও খবর সংগ্রহের জন্য পূর্ব পাকিস্তানে আসেন। তবে তাঁদের এই মনোযোগের আরেকটি কারণ আছে। পাকিস্তানের সামরিক শাসক এক বেতার বার্তায় ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের সময়কাল নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ যে এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারিয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জানান, এই দুর্যোগে অন্তত ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নির্বাচনের সময় পেছানোর বিষয়ে যে গুঞ্জন উঠেছিল তা বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে উড়িয়ে দিলেন। তিনি জানালেন, ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকা বাদে অন্যান্য এলাকায় নির্ধারিত দিনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ততদিনে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। তাঁর কথা দেশের মানুষ এবং প্রাদেশিক সরকার অকপটে মেনে নেয়। শুধু তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য বিশ্বরাজনীতির অনেকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারও উপেক্ষা করতে পারেনি। কিন্তু ইয়াহিয়া খান বেইজিং সফরের আগে ঢাকা সফর করলেও ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকা পরিদর্শনের প্রয়োজন বোধ করেননি। 'বাংলাদেশের' মানুষ বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি।

বাংলাদেশই বলতে হবে। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর, বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তান নাম বদলে বাংলাদেশ নামকরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর এই রাজনৈতিক সময়ে ইতিহাস যেন বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করছিল। ইতিহাস পুনর্নির্মাণই নয়, তিনি নতুন ইতিহাস তৈরি করছিলেন। সেজন্যই বাংলার মানুষ ভালোবেসে তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিল। ১৯৬৬ সালে তাঁর ছয় দফা দাবি থেকে ইতিহাস নির্মাণের পদযাত্রা শুরু হয়। সত্তুরের ওই নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেই ধারাবাহিকতার প্রমাণ রাখবেন বলে ঘোষণা দেন। পাঞ্জাব নিয়ন্ত্রণাধীন পাকিস্তানের অপশাসনের বিরুদ্ধে এই নির্বাচন হবে একটি বড় জবাব- এমন বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিচল। ১৯৭০ সালের মার্চে ইয়াহিয়া খান একতরফা বক্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের নির্দেশনা দেন (এলএফও) । সংবিধান প্রণয়নের জন্য ১২০ দিন বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চেতনার বিষয়টিও স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন। অর্থাৎ সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে ধর্মের ভিত্তিতে। তিনি তাঁর বক্তব্যে এ কথাও স্পষ্ট করেন, পাকিস্তানের দুই অংশের অর্থনৈতিক বরাদ্দের তুলনামূলক চিত্রকে রাজনৈতিক স্লোগানে পরিণত করা যাবে না। শুধু তা-ই নয়, সংবিধান প্রণয়নের পর যদি রাষ্ট্রপতি সংবিধান বাতিল করার প্রয়োজন বোধ করেন সেই এখতিয়ার তাঁর থাকবে এবং কোনো অভিযোগ উত্থাপন করা যাবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথম থেকেই ইয়াহিয়ার ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে এসেছেন। তাঁর দেওয়া ছয় দফার ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়ন হবে বলে জানান। ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে- বঙ্গবন্ধুর এই দাবি আওয়ামী লীগেরও নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক নী ইশতেহারে উল্লেখ ব মহল থেকে সত্তরের নির্বাচনকে একপেশে একটি নির্বাচন হিসেবে দাবি করা হলেও বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে সরেননি। মুজিব ততদিনে শুধু আওয়ামী লীগ প্রধান নন, তিনি হয়ে উঠেছেন একজন রাষ্ট্রনায়ক। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কেউ তাঁর মতো রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠতে পারেনি। নির্বাচন হলো। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের গল্প পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাঙালির হাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা যাক, তা কখনও চয়নি। শুরু হলো নানা টালবাহানা। অতঃপর ২৫-২৬ মার্চ রাতে বাঙালি নিধনের কর্মসূচি 'ওপারেশন সার্চলাইট'। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধুকে তার বাসগৃহ থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু আদৌ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন কি না, এ বিষয়ে আমাদের দেশে নানা জন নানা কথা বলে। অথচ ওই সময় আর্জেন্টিনা, কানাডা কিংবা নরওয়ের মতো দূরবর্তী রাষ্ট্রের পত্রিকায় স্পষ্ট লেখা হয়, 'শেখ মুজিবকে নিজ বাসগৃহ থেকে গ্রেপ্তার করার আগে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।' ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রধান সংবাদমাধ্যম এবিসি, সিবিএস ও এনবিসিও এই খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছিল। ডেভিড লোসাক তাঁর 'পাকিস্তান ক্রাইসিস' বইয়ে লেখেন, ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকার নামতেই পাকিস্তান বেতারকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর শোনা গেল। বেতার বার্তার তরঙ্গায়িত শব্দ থেকে আন্দাজ করা যায়, তাঁর এই বক্তব্য আগে রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ নামে অভিহিত করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তদানীন্তন পিআরও মেজর সিদ্দিক সালিকের লেখা 'উইটনেস টু সারেন্ডার' বইয়ে লোসাকের এই তথ্যের সপক্ষে মতামত পাওয়া যাবে। ১৯৮৮ সালে মুসা সাদিক ও রেজাউর রহমানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান স্বীকার করেন, গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন- এমন কথা তিনি নিজে শুনেছেন (শামসুল আরেফীন সম্পাদিত স্বাধীনতা সংগ্রামের দুর্লভ দলিল বইটি থেকে)। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা যখন বাংলার মানুষ শুনতে পায় ততক্ষণে 'অপারেশন সার্চলাইট' নামক বাঙালি নিধনযজ্ঞের কার্যক্রমটি অর্ধেক সম্পন্ন হয়ে গেছে। পাঞ্জাবের ক্ষমতালোভী কয়েকজনের সিদ্ধান্তে এক রাতের ব্যবধানে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারায়। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর ২৬ মার্চ ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সি হোয়াইট হাউসে সিভিল ওয়ার ইন পাকিস্তান' নামের একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, 'আজ বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে বক্তব্য দেওয়ার পর ওই অঞ্চলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে।' পাকিস্তানের ডন, ভারতের অমৃতবাজার পত্রিকা, সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমসেও পূর্ব পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল, তার ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে নতুন রাষ্ট্রটিতে প্রাণসঞ্চারের বদলে বৈষম্যের অপছায়াই প্রথম থেকে জিইয়ে রেখেছিল। হিন্দু জমিদার ও শাসকদের থেকে মুক্তি পেয়ে মুসলমানদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য বহু বাঙালিকেও আত্মত্যাগ করতে হয়েছিল। নতুন রাষ্ট্র তাদের মতামত প্রাধান্য দেবে এমন আকাঙ্ক্ষা দ্রুতই ভেঙে পড়ে। পশ্চিম পাকিস্তান বিশেষত পাঞ্জাবে অধিষ্ঠিত শাসকরা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বৈষম্যের দাগ মোটা করছিলেন। ১৯৪৭-এর পর পাট ও চা উৎপাদনের ৮০ শতাংশ পূর্ব পাকিস্তানে উৎপাদন হলেও তা থেকে অর্জিত বৈদেশিক আয় দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করা হচ্ছিল। তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য করাচির বদলে রাওয়ালপিন্ডিকে পাকিস্তানের রাজধানী করা হয়। হঠাৎ করেই রাওয়ালপিন্ডির কাছে ইসলামাবাদ নামে নতুন একটি নগর নির্মাণ করে তাকে রাজধানী করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের রপ্তানি আয় দিয়েই শহরটির উন্নয়ন করা হয়েছিল। ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান রাষ্ট্রের সংবিধান ঘোষণার দিন ধার্য করা হলেও শাসকরা চাননি তা হোক। কারণ সংবিধান প্রণয়ন করা হলে এতদিন পাকিস্তানের সামরিক- বেসামরিক আমলাদের ভোগদখল করা ক্ষমতা বিসর্জন দিয়ে জনগণের সেবা করতে হবে। এভাবেই নতুন রাষ্ট্রে সামরিক শাসনের কালো অধ্যায় শুরু হয়। রাতে সরকার গঠন করে দিনেই সরকার বিলুপ্ত ঘোষণার মতো ঘটনাও এভাবেই সম্ভব হয়েছিল। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১৬৯ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে যা আগে বলেছি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান ও মতামতকে ভুল প্রমাণ করে এটি ছিল এক ঐতিহাসিক জয়। ভুট্টো ৮৮টি আসনে জয়লাভ করেছিলেন। তিনি এক অদ্ভুত প্রস্তাব দিলেন। তিনি বললেন, পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে সংসদ পরিচালিত হবে। ক্ষমতা হস্তান্তরে তাদের এই দেনদরবার পাকিস্তান রাষ্ট্রের সংহতির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়। তবে ক্ষমতালোভী শাসকরা এ নিয়ে অত ভাবিত ছিলেন না। তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গোপনে ষড়যন্ত্র করছিল। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ক্রমেই পেছানো হচ্ছিল। ১ মার্চ এক বেতার বার্তায় ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার ঘোষণা দিলে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সম্ভবত তারা বুঝতে পারেনি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ও বঙ্গবন্ধুকে এমন হুমকি দিয়ে দমানো সম্ভব হবে না। এদিকে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতার নির্দেশনার অপেক্ষায় গোটা দেশ। বঙ্গবন্ধু ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এক ছাত্র মিছিলের পর সমাবেশে জানালেন, যা বলার সব ৭ মার্চের ভাষণে জানাবেন। ওই সময় একমাত্র বঙ্গবন্ধুই দিব্যদৃষ্টি পেয়েছিলেন। স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তবে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন তাঁর পূরণ হয়নি পঁচাত্তরে কতিপয় স্বাধীনতাবিরোধীর অপতৎপরতায়। সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছিল, দেশের এই জীর্ণদশা কাটাতে অন্তত ১০০ বছর লাগবে। কিন্তু সে পর্যবেক্ষণও আজ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। একটি রাষ্ট্রের জন্মলগ্নে বঙ্গবন্ধুর দিব্যদৃষ্টিতে জন্ম হয় একটি দেশের। তিনি জন্ম নিয়েছেন বলেই জন্ম হয়েছে একটি স্বাধীন দেশের। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ অভিন্ন। বাংলা আর বাঙালির জয় হোক। জয় বাংলা।

 

  • অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা