× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঢাকায় সুখপাখির খোঁজে

আব্দুল বায়েস

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩ ০১:১০ এএম

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

এক.

সিনেমার নামটি মনে নেই, তবে গানটির প্রথম কলি আবছা মনে আছে– ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা পুরাইছে সিনেমাটির কোনো এক দৃশ্যে নায়ক-নায়িকা ঢাকায় এসে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে সাততলার ওপরে ঘর বানাবেন, রেশমি চুরি কিনবেন ইত্যাদি ইত্যাদি নেচে-গেয়ে তোলপাড় ঠিক তাই একসময় ঢাকায়, গানের কলিতেই বলি, ‘আশা ছিল, ভালোবাসা ছিল আজ আশা নেই ভালোবাসা নেই...তখনকার ঢাকা অনেকটাই ছিল ফাঁকা নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন তার শৈশবে ঢাকা দেখেছিলেন অপেক্ষাকৃত শান্ত ছোট যেখানে জীবন ছিল মধুর ধীর শ্রুতি আছে, সম্ভবত ১৯৯৯ সালে অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, তিনি কাউকে ঢাকা শহরে এমনকি ফিটফাট গুলশান বা বারিধারায়ও থাকতে সুপারিশ করবেন না তিনি প্রকৃতই কথাটা বলেছিলেন কি-না নিশ্চিত নই, তবে বলে থাকলে কারণটি অনুমেয় বায়ুদূষণে ঢাকা এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সিসার স্তর এখানে সুপারিশকৃত স্তরের পাঁচগুণ বেশি

অথচ ৫০ বছর আগে, অর্থাৎ স্বাধীনতার শুভলগ্নে, ঢাকা ছিল গাছগাছালিতে ভরা ছিমছাম এক শহর কার্জন হলসংলগ্ন দোয়েল চত্বর থেকে তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর হয়ে মহাখালী পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বড় বড় গাছের পল্লবিত শাখার ছায়া পথিককে প্রশান্তি দিত খাল ছিল কয়েকটি, সহনীয় মাত্রায় নালা-নর্দমা, বুড়িগঙ্গায় পরিষ্কার পানির প্রবাহ ওই সময় ১৬ লাখ মানুষের শহরটিতে রিকশা অনেক কম থাকলেও সাইকেল ছিল অনেক বাস বলতেমুড়ির টিন নবাবী আমলের ঘোড়ার গাড়ি আর অক্সিজেনের প্রবাহ ছিল অবারিত তা ছাড়া আফসান চৌধুরীর বর্ণনায়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র মাত্র পাঁচ টাকায় দিনাতিপাত করতে পারত এক টাকার বাস টিকিটে প্রায় সব জায়গায় যাওয়া-আসা, এক প্যাকেট স্টার সিগারেট দেড় টাকা, এক প্যাকেট বিরিয়ানি এক টাকা, এক কাপ চা ৫০ পয়সা বাকি টাকায় বাসায় ফেরা এবং এর মধ্যে রাজনীতি স্বপ্ন দিয়ে উদরপূর্তি’ (আফসান চৌধুরী, সত্তরের ঢাকা)


দুই.

গেল ৫০ বছরে বাংলাদেশে ঘটেছে অভাবনীয় পরিবর্তন পরিবর্তন এসেছে রাজধানী ঢাকাতেও ঢাকা এখন পৃথিবীর দ্রুততম গড়ে ওঠা মেগা সিটি; জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁইছুঁই প্রতিবছর সংখ্যা বাড়ছে প্রায় শতাংশ প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বাস গাছ কেটে, নালা-নদী-খাল দখলে নিয়ে প্রবৃদ্ধির প্রমত্ত জোয়ারে গা ভাসাচ্ছে ঢাকা রুডইয়ার্ড কিপলিং কলকাতা শহরকেভয়ংকর রাত্রির শহরহিসেবে বর্ণনা করেছিলেন বর্তমান ঢাকা শহরকে তিনি কীভাবে দেখতেন তা অজানা হলেও অকল্পনীয় নয়

কথায় বলে, ‘মুখে মুখে শেখ ফরিদ, বগলে ইট বোটম আপ প্ল্যানিং মুখে মুখে, কিন্তু তলে তলে টপডাউন পদ্ধতিতে প্রশাসন চলছে অনাদিকাল থেকে যেমনি অল রোডস লিড টু রোম, বাংলাদেশে ঠিক তেমনি অল রোডস লিড টু ঢাকা বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদ মাইকেল লিপটনের ভাষায়, ‘আরবান বায়াস ডেভেলপমেন্ট প্রতিদিন না কি ২০০০ মানুষ ঢাকায় আসে সুখের সন্ধানে কুড়িল বস্তির এক মহিলার কথায়, ‘ঢাকা ভালো লাগে না, তবে স্বপ্ন আছে গ্রামে গিয়া এক খণ্ড জমি কিনবামঢাকা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; দক্ষিণ এশিয়ার বড় শহরগুলোর একটি, পূর্ব-দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় বিশ্বব্যাংক বলছে, মেগাসিটিগুলোর মধ্যে দেড় কোটি মানুষসমেত ঢাকার বিশেষত্ব হচ্ছে দ্রুততম বর্ধনশীল ১৯৯০ ২০০৫ সালের মধ্যে শহরের আকৃতি দ্বিগুণ থেকে ১২ মিলিয়ন; ২০২৫ সালের মধ্যে দুই কোটিরও বেশি মানুষ নিয়ে ঢাকা মেক্সিকো, বেইজিং কিংবা সাংহাইয়ের চেয়ে বড় হবে সবই সুখবর যেন ওই গানটির কথার মতো, ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা পুরাইছে, আরে লাল লাল নীল নীল বাতি দেইখ্যা নয়ন জুরাইছে…’


তিন.

তবে এখন ওই গান কেউ গায় বলে মনে হয় না ওভার ক্রাউডেডঢাকার বেলায়, সব ভালো ভালো নয়Ñ এমন কিছু যেন বলতে চাইলেন আহমদ আহসান (পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সংক্ষেপে পিআরআই) ঢাকা নিয়ে রয়েছে তার তথ্যভিত্তিক তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ তিনি বলছেন, এখনকার ঢাকা শুধু জনবহুল নয়, ব্যয়বহুলও বটে বাংলাদেশে মোট নগরবাসীর এক-তৃতীয়াংশের বসত ঢাকায়, অন্যান্য বড় শহর মিলিয়ে চার ভাগের ভাগীদার গেল ১০ বছরে ঢাকার জনসংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি ঢাকা অতিরিক্তভাবে বাড়ায় বাংলাদেশ জিডিপির এক-দশমাংশ হারাচ্ছে ঢাকায় সম্পদ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অতিমাত্রায় কেন্দ্রীকরণে ২০১৭ সালে মাথাপিছু আয় জিডিপি সম্ভাব্যতার চেয়ে ১১ শতাংশ কম হয়েছে মূলত একই কারণে ২০১৯ সালে জিডিপি ৩৫ বিলিয়ন ডলার কম হয় আর ঢাকার আকৃতি সবচেয়ে অনুকূল অবস্থা অতিক্রান্ত হওয়ায় বাংলাদেশ হারাচ্ছে তার জিডিপির থেকে ১০ শতাংশ ঢাকার এইঅতিবৃদ্ধিসার্বিক নগর দারিদ্র্য হ্রাসের হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে শ্লথ করেছে যেখানে গ্রামীণ দারিদ্র্য কমেছে সন্তোষজনক হারে ট্র্যাফিকজটে জিডিপির প্রায় শতাংশ হারায় পরিবেশজনিত কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ধরলে ব্যয় আরও বিশাল এবং তা ঢাকার অতি জনাকীর্ণতার কারণে


চার.

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পুঞ্জীভুবনের পেছনে প্রায়ই কাজ করে দক্ষ বাজার শক্তি, রিটার্নস টু স্কেল, এগলোমারেসন অর্থনীতি, স্থানীয়করণ নগরায়ণ; সব মিলে সৃষ্টি করে নগর, কেন্দ্র শহর নিঃসন্দেহে এসব উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও সীমার বাইরে অর্থনৈতিক কেন্দ্রীকরণের কুফল যে আছে তা দিবালোকের মতোই সত্য তত্ত্ব বলে, শহরের একটা চূড়ান্ত আকৃতি থাকে তারপর ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধির মতো, উৎপাদন মাত্রার অর্থনৈতিক অসুবিধা এবং নেতিবাচক বহিঃস্থ প্রভাবে খরচ বাড়ে যেমনÑ গাদাগাদি অবস্থা এবং দূষণের খরচ ফলে স্কেল এগলোমারেসনের সুবিধা টপকে অসুবিধা জায়গা দখল করে সম্ভবত কারণেই শহরগুলো সীমাহীনভাবে বাড়তে পারে না তা ছাড়া প্রাইমেটের (সবচেয়ে বড় শহর) অতি বৃদ্ধি অন্যান্য শহরের বৃদ্ধির ভিত্তি দুর্বল করতে পারে আর অতিমাত্রায় শহর বিস্তৃতির ব্যাখ্যা সবার জানাÑ বাজারের ব্যর্থতার সুযোগে ভারী বিনিয়োগ, স্থির খরচ এক্সটারনেলেটিজ, নেটওয়ার্ক প্রভাব এবং গুণার মিরডেলের বৃত্তাকারে ক্রমবর্ধমান সংগঠন ইত্যাদি ইকোনমিজ অব স্কেল পাইয়ে দিতে অবদান রাখে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কারণটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়রাজনৈতিক অভিজাত শ্রেণি প্রাইমেট শহর/অঞ্চল পছন্দ করে ‘ঈশ্বর বাস করেন ওই ভদ্রপল্লীতে’ (মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ) তবে ব্যক্তি পর্যায়ে যা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত, সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে তা নাও হতে পারে এবং সে জন্যই সংশোধনক্ষম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বস্তুত বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে দুর্বল নীতি ইকোনমিক জিওগ্রাফির বিষয়ে বিচার-বিভ্রাটের কারণে

সাধারণত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ডিসকোর্সে অর্থনৈতিক ভূবিজ্ঞানের তথা ইকোনমিক জিওগ্রাফির জোরালো কোনো জায়গা থাকে না, যদিও আন্তর্জাতিক বৈষম্য কিংবা বিনিয়োগের বেলায় ভূবিদ্যার প্রসঙ্গ আসে অর্থনৈতিক ভূবিদ্যা মানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সম্পদ, উৎপাদনের উপকরণের অবস্থান নিয়ে অধ্যয়ন আহমদ আহসান ঢাকা শহরের অতি জনাকীর্ণতা এবং এর পরিণাম নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনার সূত্রপাত ঘটালেন; জনবহুল ঢাকা কীভাবে ব্যয়বহুল হলো, সে আলোচনায় অর্থনৈতিক ভূবিদ্যার কথা তুলে ধরলেন আমরা জানি, উৎপাদনশীলতার প্রধান চালক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তি, ফার্ম কিংবা খাতে সম্পদের বরাদ্দ অর্থনৈতিক ভূবিদ্যা জানতে চায় কোথায়, কেন কীভাবে এই বিন্যাস ঘটে আর এই বণ্টন পুনরায় বণ্টন প্রক্রিয়ায় উপাদানের চলমানতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, যা কি না প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে আমাদের চিন্তা-চেতনায় অথচ ভূবিদ্যাভিত্তিক বিশ্লেষণ প্রবৃদ্ধির উৎস, অভ্যন্তরীণ বহির্বাণিজ্যের, জাতীয়, আঞ্চলিক নগর উন্নয়নের বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি দান করে

ইকোনমিক জিওগ্রাফি বিষয়ক দুটি প্রসঙ্গ উল্লেখ না করলেই নয় এক. দরিদ্র জেলাগুলোর দারিদ্র্যের প্রকোপ অপেক্ষাকৃত বেশি; দুই. প্রবৃদ্ধির জন্য টেকসই শহর উন্নয়ন জরুরি, বিশেষত এর গুণগত মান মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশের চিন্তা হওয়া উচিত মানসম্মত নগর, শুধুই নগর নয় যেন বলতে না হয়, ফিরিয়ে দাও সে অরণ্য, লহ এই নগর যেমন উড়োজাহাজে বসে রাতের বেলায় জানালায় উঁকি মেরে দেখি বাংলাদেশ অন্ধকারে ডুবে আছে হ্যারিকেনের মতো মিট মিট আলোতে কিছু শহর আর একমাত্র ঢাকাতেই আলোর হাতছানি ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড বা অন্য কোথাও প্লেন ঢুকলে দেখা যায় আলোর ঝলকানি বিস্তৃত শহর থেকে শহরে ঢাকা ১৬ কোটি মানুষের দেশে সবচেয়ে বড় শহর; ধারণ করে মোট জনসংখ্যা দুই কোটি (প্রায় এক-তৃতীয়াংশ) এই দেশে ১০ লাখের ওপর মানুষ নিয়ে আছে মাত্র চারটি শহর, অথচ এমন শহর ভিয়েতনামে , ইন্দোনেশিয়ায় ১৪, ভারতে ৫৪, চীনে ১০২, এমনকি পাকিস্তানেও ১৪টি বুঝতে বাকি থাকে না যে বাংলাদেশে নগর বলতে একমাত্র ঢাকাই


পাঁচ.

বিষয়টি মোটেও ঠিক নয়, বলছেন গবেষকরা দেশের অন্যান্য শহর অঞ্চল উন্নয়নে মনোযোগী হওয়া বিশেষত চিটাগাং বাণিজ্যিক শহরকে প্রাধান্য দেওয়া, গণসেবা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নীত করা প্রয়োজন শহর-সরকারকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে শক্তিশালী করা, শহরের কৃতিত্ব পরিমাপ, তথ্য গবেষণা বৃদ্ধিকল্পে আরও বিনিয়োগ ইত্যাদি শুধু সময়ের দাবি বাংলাদেশের ৩৪০টা শহর পৌরসভার পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনা ঢাকায় থেকে ৩৫টি উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কখনও সম্ভব ছিল না, আজও নেই এসব সরকারি দপ্তর ঢাকায় ভিড় না বাড়িয়ে বিকেন্দ্রীকরণের ছাতায় ঢাকার বাইরে অন্যান্য শহরে স্থানান্তর করা উচিত মোটকথা, ঢাকা সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না মুখ দেখে শরীর চেনা যায় না বহু আগে বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পল সেমুয়েলসন তারইকোনমিক্সবইয়ের সূচনায় ফ্যালাসি অব কম্পোজিশনের উদাহরণ টানতে গিয়ে প্রায় একই কথা বলেছেনশরীরের একটা অংশ পুরো অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না তার পরওআশায় আশায় তবু এই আমি থাকি, যদি আসে কোনো দিন সেই সুখ পাখি বলে ছুটছে মানুষ ঢাকায় বাস করতে তবে সেই সুখ পাখির জন্য চাই পরিকল্পিত নগর বিস্তৃতি উন্নয়ন যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি, তত দ্রুতই মঙ্গল


  • অর্থনীতিবিদ  সাবেক উপাচার্যজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা