× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঈদ উৎসব : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঙ্গলিক উপমা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:৫৯ এএম

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

পবিত্র ইসলামে সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক দুটি উৎসব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। একটি হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। মহিমান্বিত এ দুটি উৎসবের মৌলিক নির্যাস হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনার স্ফুরণ। জন্মের সূচনাকাল থেকেই এই ধর্মীয় উৎসবগুলোর মাধ্যমে নান্দনিক ও মাঙ্গলিক অভিযাত্রায় কোনো বিশেষ সম্প্রদায় বা ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী নয়; বরং সমগ্র মানবসমাজ পারস্পরিক শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-বন্ধুত্বের অকৃত্রিম বন্ধনে হয়েছে নিরন্তর ঋদ্ধ। মাসব্যাপী আত্মসংযম ও সকল প্রকার পানাহার ত্যাগসহ মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য রমজান পালন পবিত্র ইবাদতরূপে সুদৃঢ়। রমজান শেষে বর্ণিল ঈদ উদযাপন ধনী-গরিব নির্বিশেষে অনুপম সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির পরিচায়ক। ঈদুল ফিতরের এই উৎসব মানবিকতার অত্যুজ্জ্বল উপমায় সকল প্রকার বিরোধ-বিচ্ছেদ সংহার করে মানবিক মূল্যবোধের যুগোপযোগী দিগন্ত উন্মোচন করে। পবিত্র কুরআনে রমজানকে আরবিতে সাওম বা সিয়াম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রোজা ইসলাম ধর্মের তৃতীয় রোকন। শান্তির বারতা নিয়ে যে ইসলামের আবির্ভাব, তার মুখ্য উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম মহান সষ্ট্রার সন্তুষ্টি অর্জনে আত্মশুদ্ধি পরিচর্যায় পরিপূর্ণ মনুষ্যত্বের বহিঃপ্রকাশ। সার্বিক দিক থেকে যে বিবেচনায় রোজার মাহাত্ম্য অতি গৌরবান্বিত; তা হলো নিজেকে পরিশুদ্ধ করার উত্তম পন্থাসমূহের অনবদ্য অনুশীলন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- 'হে ঈমানদারগণ! পূর্ববর্তী উম্মতের ন্যায় তোমাদের ওপরও রোজা ফরজ করা হয়েছে, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার' (বাকারা-১৮৩)। মূলত সুবেহ সাদিক হতে সূর্য ডোবা পর্যন্ত রোজার নিয়ত করে সকল প্রকার খাদ্য-পানীয় গ্রহণ ও অসামাজিক কর্ম ইত্যাদি হতে বিরত থাকাকে শরীয়তের পরিভাষায় রোজা বলে।

অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে- 'হুজুর (সা.) বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে একটি রোজা রাখবে তিনি তাকে দোজখের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা দূরে রাখবে' (বোখারি শরিফ)। এই রোজার মাসেই পবিত্র শবেকদর এবং মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। সর্বোপরি কঠিন ধৈর্যর মাধ্যমে ৩০ পবিত্র রোজা পালনের পর আল্লাহর পক্ষ থেকে যে মহোৎসবের নামকরণ তা হচ্ছে ঈদুল ফিতর। পরিপূর্ণভাবে নিজেকে পবিত্র রেখে ঈদ উৎসবকে ধারণ করে ধর্ম-বর্ণ-দলমত একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও বন্ধুত্বের অপার বৈশিষ্ট্যকে সমৃদ্ধকরণে সব মানবের জন্য মঙ্গল কামনায় নিবেদিত এই ঈদ শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, সব ধর্ম-জাতিগোষ্ঠীর জন্য এক মহামিলন ও আনন্দ আদান-প্রদানের সুমহান ক্ষেত্র। এটি অসাধারণ এক বিশ্বজনীন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক কল্যাণবোধ যা মানুষের সভ্য ও সংহতির সমাজ প্রতিষ্ঠায় অভিনব ভূমিকা পালন করে। এ জন্যই এটি একটি সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ হিসেবে সর্বত্রই বিবেচিত। এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য, নামাজ-ইবাদত-সিজদা ইত্যাদি ফেরেশতা-জিনসহ অন্যান্য মাখলুকাতও সম্পন্ন করে থাকে। কিন্তু রোজা একমাত্র মানবজাতির জন্যই স্বতন্ত্র ইবাদত, যা ঈমানের অঙ্গ হিসেবে ফরজ বা অবশ্যই পালনীয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত রাসুলাল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহতায়ালা বলেছেন, সিয়াম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য। কিন্তু সিয়াম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি সিয়াম পালনকারী; যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, তার শপথ! অবশ্যই সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চেয়েও সুগন্ধি। সিয়াম পালনকারীর জন্য রয়েছে দুটি খুশি, যা তাকে খুশি করে। যখন যে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন সাওমের বিনিময়ে আনন্দিত হবে (সহিহ বুখারি : ১৯০৪, সহিহ মুসলিম : ১১৫১)। এই মাসে রোজা পালন, ইফতার-সেহরি গ্রহণ, জাকাত-ফিতরা প্রদান ইত্যাদি কর্মকাণ্ড শুধু নিজের উৎকর্ষ অর্জনের জন্য নয়, বিভিন্ন মাত্রিকতায় নিজস্ব সম্প্রদায় ছাড়াও অন্য সম্প্রদায়ের বা ভিন্ন মতামতের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিশ্বজনীন মানবতাবাদকে ধারণ করার এক অবর্ণনীয় সুবর্ণ সৃষ্টির মাস। 'মানুষ মানুষের জন্য'- এই মহা মানববাণীকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে অন্যের পানাহারসহ নানাবিধ কষ্টের উপলব্ধি এক নতুন মাত্রায় মানবজাতিকে প্রতিষ্ঠিত করে, যা সমাজের পারস্পরিক আপস-ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্বের সেতুবন্ধকে পরিপূর্ণভাবে প্রাণিত করে। বিশ্বের সব মুসলমান সম্যক অবগত আছেন যে, পবিত্র কুরআনের প্রথম ও শেষ আয়াত নাজিল হয় যথাক্রমে ৬১০ ও ৬৩২ সালে এবং দীর্ঘ ২৩ বছরের পরিক্রমায় এর পরিপূর্ণতা দৃশ্যমান হয়। অবাধ, মুক্ত বিশ্বাস ও যথার্থ জীবন-দর্শন প্রতিপালনে হাজার বছরের সংস্কার এবং ধর্মান্ধতার বৃত্ত ভেঙে পবিত্র কুরআন মানবজগৎকে করেছে অপরিমেয় আলোকবর্তিকায় উদ্ভাসিত। জাগতিক পরজাগতিক সব চিরায়ত সত্যকে প্রকাশ করে মহান প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ ও তার সন্তুষ্টি অর্জনে মানবিক গুণে পরিশুদ্ধ হওয়ার অমিয় বারতা পবিত্র কুরআন প্রত্যেক ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব মতপার্থক্যের অবসানে সফল ভূমিকা পালন করে আসছে। অজ্ঞতাকে মহাপাপ হিসেবে অভিহিত করে সমগ্র মানবসমাজকে জ্ঞান ও মুক্তবুদ্ধির পথে ধাবিত হওয়ার অসাধারণ অনুপ্রেরণা এই মহাগ্রন্থ। পবিত্র কুরআনের প্রথম আয়াত নাজিলের ২৩তম বছরে নাজিল হয় সুরা বাকারা। এর ২৮১ আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা দিচ্ছেন- “তোমরা সেই দিন সম্পর্কে সচেতন হও, যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর কাছে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তারপর প্রত্যেককেই তার কর্মফল পুরোপুরি প্রদান করা হবে। কারো ওপর কোনো অন্যায় করা হবে না।” করোনা অতিমারি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ায় সফলতার শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশ্বস্বীকৃত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলে মরণাস্ত্র উৎপাদন-বিতরণে বাণিজ্যিকীকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যতিব্যস্ত কথিত উন্নয়ন বিশ্বের বেপরোয়া অসম প্রতিয়োগিতায় উদ্ভূত খাদ্য-জ্বালানি ও অন্যান্য মানবিক বিপর্যয়ে পর্যুদস্ত সমগ্র মানবসমাজ। মানবিকতা-সহনশীলতা-দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও সম্পর্কের বন্ধনকে অধিকতর দৃঢ় করার নবতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে লাল-সবুজ পতাকার স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। বৈশ্বিক উষ্ণতা-ক্ষমতাধর রাষ্ট্রসমূহের অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা-বিশ্ব অর্থব্যবস্থার অসংযত নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি উন্নত-উন্নয়নশীল দেশসমূহে জীবনজীবিকায় বৈরী পরিস্থিতি তৈরি করছে। এরই সুযোগে অন্ধকারের পরাজিত শক্তি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের মোড়কে অগ্নিসন্ত্রাসসহ নানাবিধ অপকৌশলে নতুন নতুন দুর্ঘটনা-নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় জনজীবনকে বিপন্ন করে তুলছে-এই অভিযোগ আছে। জন-অধ্যুষিত বাংলাদেশ অপরিকল্পিত নগরায়ণের অভিশাপে একদিকে ভীষণ বিপদগ্রস্ত, অন্যদিকে অতিসম্প্রতি আগুনের লেলিহান শিখা সর্বস্ব ধ্বংস করে অসহায় মাঝারি-ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট বিপুলসংখ্যক পরিবারকে নিঃস্ব করছে। বাংলাদেশ শুধু নয়, মুসলিম দেশগুলোসহ প্রায় পুরো বিশ্ব নববর্ষ উদযাপন-ঈদ-বিভিন্ন পূজাপার্বণ-খ্রিস্টীয় বড়দিন উদযাপনসহ শিশু-কিশোর-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব ধর্মাবলম্বীর মধ্যে অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনায় ঋদ্ধ হওয়ার অনুপম দৃষ্টান্ত সুপ্রতিষ্ঠিত। এ সময়ে পবিত্র রমজান শেষে ঈদের আগমন বার্তা এবং উদযাপনের নানা আয়োজন-রীতিনীতি-সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্যিক-কৃষ্টির ধারাবাহিক অধ্যায়কে নতুন মাত্রায় প্রতিভাত করার বিপরীতে ঘৃণ্য অপরাধীচক্রের কারসাজিতে ভয়াবহরূপ পরিগ্রহ করছে। আমরা প্রতিনিয়ত লক্ষ করছি; হীনস্বার্থবাদীরা কদাচার-পাপাচার মিথ্যাচার- প্রতারণার মাধ্যমে পবিত্র ইসলামকে কলুষিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অন্ধকারের অশুভ শক্তির বিনাশ সাধনে সত্য-শুভ-কল্যাণ ও মঙ্গলময়ী শক্তির উন্মেষ এবং ঐক্যবদ্ধতা অতীব জরুরি। ভোগেই সার্থকতা নয়, মানুষকে সেবাদানের মধ্যে পবিত্র ঈদের মহিমায় আমরা যেন ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে মনুষ্যত্ব-মানবিকতাকে ধারণ করার অঙ্গীকারই হোক নৈমিত্তিক প্রার্থনা। মোতাহের হোসেন চৌধুরী রচিত 'সংস্কৃতি-কথা' অনুসারে 'ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার, আর কালচার শিক্ষিত, মার্জিত লোকের ধর্ম। কালচার মানে উন্নততর জীবনচেতনা-সৌন্দর্য, আনন্দ ও প্রেম সম্বন্ধে অবহিতি। সাধারণ লোকেরা ধর্মের মারফতেই তা পেয়ে থাকে। তাই তাদের ধর্ম থেকে বঞ্চিত করা আর কালচার থেকে বঞ্চিত করা এক কথা।' এভাবেই ধর্মের বিশ্বজনীনতা মানবিকতাকেই গুরুত্বসহকারে গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যেক ধর্মের উৎসবগুলোয় নতুন প্রাণসঞ্চারে আস্থা ও বিশ্বাসের পথকে সুপ্রশস্ত করার জন্যই অন্যান্য উৎসবের মতো ঈদ উৎসবও অনন্য সাধারণ। বিষয়টি অধিকতর উপভোগ্য করার লক্ষ্যে বঞ্চিত-নিপীড়িত-দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ধর্ম-বর্ণ বিবেচনায় না এনে সামগ্রিক সম্পৃক্ত করাই হোক অসাম্প্রদায়িকতার মানদণ্ড। ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র এই তিনটি ক্ষেত্রে ধর্মের ভূমিকাকে ব্যক্তির স্বাভাবিক ধর্মাশ্রয়ী মানসিক ও সামাজিক গঠন দ্বারা সীমাবদ্ধ না রেখে তো অবারিত করে পার্থিব এবং অপার্থিব ভাবধারায় মানুষের আবেগপ্রসূত কর্মকাণ্ডকে যেন সবার কল্যাণে একীভূত করা যায়; সে উদ্দেশ্যেই ব্যক্তিক-পারিবারিক- সামাজিক-রাষ্ট্রীয় কর্মযজ্ঞকে পরিচালিত করাই হবে আধুনিক অসাম্প্রদায়িক ধর্ম বিশ্বাসের অনিবার্য অবস্থান। ধর্মের অপব্যবহারকে সমাজ বা রাজনীতিতে নিরোধ করার লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা, ধর্মীয়ব্যবস্থাসহ ইত্যকার বিষয়সমূহকে গণতান্ত্রিক উদারনৈতিক আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ভাবধারায় প্রবাহমান করতে হবে। তা হলেই ঈদ উৎসব হবে সর্বজনীন সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। ঈদ উৎসবের মহান শিক্ষা হচ্ছে মনের সব কালিমা ও পাপের গ্লানি দূর করে লোভ-লালসা সংহারে ব্রতী হওয়া। অন্ধকার-অসূচি- বিদ্বেষ-বিভেদ-কূপমণ্ডুকতা-সাম্প্রদায়িকতাসহ অশুভ ও অসুন্দর নির্বাসন দিয়ে উন্নত-সুন্দর ও সৃজনশীলতার চর্চায় শুদ্ধতম পরিক্রমায় দেশ-জাতি- মানবকল্যাণে নিজেকে নিবেদন করা। নিজের পরিবার-সমাজকে আলোকিত এবং একই প্রেক্ষাপটে অন্যকে উৎসাহিত করে ইহ ও পরকালীন মঙ্গল কামনায় যথার্থ অর্থে জীবনধারাকে শক্তিমান করার মধ্যেই ঈদ উৎসবের সার্থকতা। সবার প্রতি ঈদের আন্তরিক-অকৃত্রিম শুভেচ্ছা।

  • শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা