× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রেক্ষাপট

বিপজ্জনক মহাসড়ক

মুসাহিদ উদ্দিন আহমদ

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ১০:৫২ এএম

অলঙ্করন : প্রবা

অলঙ্করন : প্রবা

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস হয়। এ ছাড়া সড়ক- মহাসড়কে অব্যাহত দুর্ঘটনায় বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুরোধে প্রধানমন্ত্রী ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। চালক ও সহকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, দূরপাল্লার বাসযাত্রায় বিকল্প চালক রাখা ও পাঁচ ঘণ্টা পরপর চালক পরিবর্তন করা, চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক করা, চালকদের জন্য মহাসড়কে বিশ্রামাগার নির্মাণ এবং সিগন্যাল মেনে যানবাহন চালানোর ওপর কড়াকড়ি আরোপ- এমন ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১৯টি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করা এবং মহানগরীতে মালিক ও দি চালকদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন না করে সড়কে শৃঙ্খলা এনে দুর্ঘটনা রোধে কমিটি প্রণীত সুপারিশযুক্ত প্রতিবেদনে আশু করণীয় ৫০টি, স্বল্পমেয়াদি ৩২টি এবং দীর্ঘমেয়াদি ২৯টি প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

আধুনিক, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং প্রযুক্তিনির্ভর সড়ক পরিবহন ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ অনুসমর্থনকারী হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহত মানুষের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ও সুপারিশের বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়নি। সড়ক দুতিনার পরপরই চালক ও হেলপারকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা অল্পদিনের মধ্যে ধরাও পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতেও শোনা যায়। কিন্তু সেসব মামলার তদন্তের ফলাফল বা দোষী সাব্যস্ত হলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির খবর অজানা থেকে যায়। দেশের হাইওয়েগুলোতে রয়েছে বেশকিছু বিপজ্জনক বাঁক। এসব স্থানে নিরাপদে গাড়ি চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় দৃশ্যমান দূরত্ব কম থাকে। তাই দ্রুত গতিসম্পন্ন গাড়ি একটি অপরটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীতমুখী গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দেয়। যানবাহনে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেওয়ার বিধিনিষেধ মানেন না গাড়ির চালক। এসব অনিয়ম, অব্যবস্থা, আইন মেনে না চলার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। সড়কের ওপর হাটবাজার বসানো যাবে না। বাড়াতে হবে হাইওয়ে পুলিশের কর্মদক্ষতা ও নজরদারি। অপেশাদার চালক যেন কোনোভাবে গণপরিবহন চালাতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থের বিনিময়ে ভুয়া লাইসেন্স প্রদানকারী বিআরটিএর অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। সারা দেশে ৫ লাখ ফিটনেসবিহীন ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে আইনানুগ শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিশেষ বিধিনিষেধ থাকা দরকার। দেশের বর্তমান বাস্তবতায় সহজলভ্যতা এমন দ্রুততম সময়ে যানজটের শহরাভ্যন্তরে গমনাগমনের জন্য নতুন প্রজন্মের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার অপরিহার্য হলে হাইওয়েতে তা মোটেই নিরাপদ নয়। মহাসড়কের কিছু কিছু জায়গায় দুর্ঘটনায় আহতদের ট্রমা সেন্টার খোলা হলেও তা স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়ায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা গুরুতর আহতদের পুরো চিকিৎসা প্রদান করতে সেখানে শুধু অর্থপেডিক ছাড়াও হার্ট, লাং, কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ বিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সের উপস্থিতির প্রয়োজন পড়ে, যা বর্তমান ট্রমা সেন্টারগুলোতে নেই। কাজেই ট্রমা সেন্টারকে দেশের বড় বড় হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত করে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যাত্রীদের জীবনরক্ষার কাজে লাগানো যেতে পারে।


  • অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা