পাঠক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ১৩:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ১৩:৪৩ পিএম
অলঙ্করন : প্রবা
খাদ্যে ভেজাল,
সবাই সচেতন হোন
অসৎ উদ্দেশ্য
হাসিলে খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মেশানোই ভেজাল। অতিমুনাফার জন্য
সাধারণত খাদ্যে ভেজাল মেশানো হয়। খাদ্য ভেজালকরণ উপাদানগুলো মানবদেহের নানা ক্ষতির
কারণ। বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যমিশ্রিত খাবার ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। মাছ, মাংস,
ফল ও দুধে ফরমালিন প্রয়োগের ফলে ক্যানসার, হাঁপানি ও চর্মরোগ হয়। শিশু ও গর্ভবতী মায়ের
জন্য এর ক্ষতিকর প্রভাব মারাত্মক। ফরমালিনের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক যে ক্যানসারের বিস্তারে
সক্ষম তা প্রমাণিত। এর ফলে পাকস্থলীতে প্রদাহ, লিভারের ক্ষতি, অস্থিমজ্জা জমে যায়।
ভেজাল প্রতিরোধে
বাংলাদেশে অনেক আইন আছে। ভেজাল পণ্য উৎপাদন রোধে বিশুদ্ধ খাদ্য আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের
বিধান আছে। ভেজাল দূর করতে প্রয়োজন আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
সুস্থ থাকার জন্য ভেজালমুক্ত খাবারের বিকল্প নেই। সবার জন্য ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত
করতে হবে।
মো. আরাফাত
রহমান
সহকারী কর্মকর্তা,
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
বৃক্ষবলয় কমায়
জানমালের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় থেকে
মানুষের জানমাল রক্ষায় জোরালো ভূমিকা রাখে বৃক্ষরাজি। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর
অক্সিজেনের জোগানদান কিংবা প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বৃক্ষই আমাদের পরম
বন্ধু। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বইপুস্তক আর বিজ্ঞাপনে বৃক্ষপ্রেম লক্ষ করা গেলেও বাস্তবে
তার দেখা মেলে না। সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রার বিধ্বংসী আচরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে,
আমরা আমাদের পরিবেশের কতটুকু ক্ষতিসাধন করেছি। কী পরিমাণে অত্যাচার চালিয়েছি তথা চালাচ্ছি
প্রকৃতির ওপর। বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে বায়ুমণ্ডলে বাড়ছে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ।
ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রাও। তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে যে বৃক্ষনিধন বিষয়টি অনেক
বড় ভূমিকা পালন করছে, তা হয়তো বুঝতে পারছি না। কবে সচেতন হব আমরা? কবে বন্ধ হবে আমাদের
বৃক্ষনিধন মহোৎসব? আদৌ কি সম্ভব হবে বৃক্ষনিধন মহোৎসব রোধ করা?
জিহাদ হোসেন
রাহাত
শিক্ষার্থী, লক্ষ্মীপুর
সরকারি কলেজ
মানসিক শান্তি
বজায় থাকুক
মানবজীবন এক বিচিত্র
অঙ্গন। যেখানে আছে সুখদুঃখ, হাসিকান্না, আনন্দ-বেদনা। মানুষ তার প্রতিটি কর্মের মূলে
রাখে কিছু লক্ষ্য; যা প্রায় সময়ই সফলতায় রূপ নিতে পারে না। ফলে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি।
অন্যদিকে পরিবার ও সমাজ সেই ব্যর্থতাকে পুনর্জন্ম দেয় বারবার। আমরা সবাই চাই উন্নতির
চরম শিখরে অবস্থান করতে, যা আদৌ সম্ভব নয়। সবাই উন্নতির চরম শেখরে অবস্থান করলে সমাজের
অন্যসব কর্ম কে বা কারা সম্পাদন করবে? এমন কোনো মানুষ নেই যার জীবনে কোনো দিন ব্যর্থতা
আসেনি। ব্যর্থতা পুঁজি করেই সামনে অগ্রসর হতে হয়। ব্যর্থতা থেকে হতাশা যেন না আসে এজন্য
পরিবার ও সমাজের উচিত ব্যর্থ মানুষকে বেশি সময় দেওয়া। সে যেন একাকিত্ব অনুভব না করে
এমন পরিবেশ তৈরি করা। তাকে বুঝতে দিতে হবে যে, ব্যর্থতা আসতেই পারে, তাতে জীবন থেমে
যায় না। সেই সঙ্গে মানুষটি যাতে জীবনের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে
নিতে পারে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তার প্রতি কোনো চাপ যেন না পড়ে, সেদিকে গভীর মনোযোগ
দিতে হবে। এতে সমাজ থেকে দূর হবে আত্মহত্যা নামক ঘৃণিত অপরাধ।
ইমন হাওলাদার
শিক্ষার্থী, ঢাকা
কলেজ