× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি

ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া

ইমতিয়ার শামীম

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ১২:৫৬ পিএম

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

নতুন যে ভিসানীতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, সেটির উদ্দেশ্য দৃশ্যত বাংলাদেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা। কিন্তু এটি কি শেষ পর্যন্ত কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে? বোধহয় না। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও বেশ কয়েকটি দেশে এই নীতি প্রয়োগ করেছে। তফাৎ বলতে এই যে, সেগুলোয় এই নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে নির্বাচনের পরে; আর বাংলাদেশে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে নির্বাচনের আগেই। তবে ওইসব দেশে এই নীতি প্রয়োগের ফলে তেমন কোনো উনিশ-বিশ ঘটেছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশে প্রতিবছরই অসংখ্য মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেন। যাদের বেশির ভাগই প্রত্যাখ্যাত হন। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলার ক্ষেত্রে যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকে, যাদের সরাসরি কিংবা নেপথ্য ভূমিকা থাকে, তাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এদের চিহ্নিত করবে, দায়ী করবেÑতা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যদি নীতি ঘোষণার সময় এটিও সুস্পষ্ট করতেন, তাহলে বিষয়টি নিঃসন্দেহে স্বচ্ছ হতো। তবে তার পরও একটা কথা থেকে যায়, কয়লা ধুলে নাকি ময়লা যায় না। অতএব এমন হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে, নির্বাচনী দুর্বৃত্তায়নে যুক্ত মানুষগুলো বড়জোর তাদের গন্তব্য পাল্টাবেÑ যুক্তরাষ্ট্রের বদলে অন্য কোনো দেশে মুদ্রা পাচার করবে, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য অন্য কোনো দেশে পাঠাবে। এ নীতির ফলে তাই কানাডা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপীয় দেশগুলোয় স্থানান্তর ও মুদ্রা পাচারের মাত্রা ঘনীভূত হওয়া বোধকরি অস্বাভাবিক নয়।

আরও একটি বিষয় আছে। অতীতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংকটে, বিশেষত নির্বাচনী রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দাতা দেশগুলো নানা পরামর্শ ও উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেসব উদ্যোগ ও পরামর্শ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। ১৯৯৪ সালে নির্বাচনসংক্রান্ত অচলাবস্থা দূর করার জন্য কমনওয়েলথ মহাসচিবের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গভর্নর স্যার নিনিয়ান স্টেফান। আবার ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে একই উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। এই দুই দূরবর্তী সময়ের মাঝখানে ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে আগস্টের শুরুতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই তার সঙ্গে আলোচনার সময় কয়েক দফা ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচনে যে দলই জিতুক না কেন, ক্ষমতা হস্তান্তর শান্তিপূর্ণভাবে হবে এবং তাদের পদক্ষেপে সমঝোতামূলক দফাগুলোর প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু নির্বাচনের সময় থেকেই তখন যে উন্মত্ত সহিংসতা শুরু হয়, তাতে সেই ঐকমত্য মুহূর্তে ধসে পড়ে। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘নতুন ভিসানীতি’ প্রেসক্রিপশনটি নিঃসন্দেহে ওইসব উদ্যোগ থেকে আলাদা। কিন্তু যত আলাদাই হোক না কেন, এটির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এই সংশয়ের একটি উল্লেখযোগ্য ভিত্তি অবশ্য আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নয়; বরং এ দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সাম্প্রতিক গতিপ্রবণতা। সেই গতিপ্রবণতার নিরিখে বলা যায়, এই পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে জো বাইডেনের ‘মূল্যবোধভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি’ কিংবা ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ উপলক্ষ মাত্র; অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন আরও পদক্ষেপ নিতে দেখা যেতে পারে। যার উদ্দেশ্য দুই দেশের সম্পর্কের গতিপ্রবণতাকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিয়ে আসা, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য স্বস্তিকর ও অনুকূল করে তোলা। কিন্তু এ নিয়ে একটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছানো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত সহজ হবে না। কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন, প্রায়শই বলা হয় এবং বাস্তবতও তাই যে, অনন্য এক উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় না হোক, গতিশীল এক নিবিড় আবর্তন তৈরি করেছে। আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কজাত এই দুই বলয় বাংলাদেশের জন্য এরই মধ্যে বেশ শক্তিশালী ও ইতিবাচক ব্যূহ হয়ে উঠেছে। এই দুই স্রোতধারার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও যদি নিজের একটি অবস্থান নিশ্চিত করতে চায়, তা হলে চীনের আগে ভারতই তার বড় একটি প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠতে পারে।

প্রশ্ন উঠতে পারে, কার্যকারিতার ক্ষেত্রে সমূহ দুর্বলতা থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্র কেন নতুন একটি ভিসানীতি ঘোষণার পদক্ষেপ নিতে গেল। এর উত্তর সোজা ভাষায় বলতে গেলে এই যে, নির্বাচনে না হোকÑ দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা গভীর থেকে গভীরতর প্রভাব ফেলবে। সেটিই আসলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য। একটি দেশ কাকে ভিসা দেবে, কোন প্রক্রিয়ায় দেবে, অন্য কোনো দেশের এসব নিয়ে কথা তোলার পরিসর নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ বলতেও পারছে না। কিন্তু চাপ অনুভব করছে। চাপ অনুভব করানো হচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্র এটিই চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে, বাংলাদেশ বুঝে নিক, নতুন ভিসানীতি এসেছেÑঅদূর ভবিষ্যতে আরও একাধিক পদক্ষেপ আসতে পারে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ভয়ের সংস্কৃতির কথা বলে থাকেন। এই ভয়ের সংস্কৃতি কেবল স্বৈরশাসক কিংবা ফ্যাসিবাদী সরকারই তৈরি ও চর্চা করে নাÑ সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিও করে থাকে। বাংলাদেশের জন্য নতুন একটি ভিসানীতি ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সেই কাজটিই করছেÑ চাইছে ভয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে। যাতে বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের যে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, এ দেশের জনগণও সেটিই ধারণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন শাসন-ত্রাসন আজকের নয়। পছন্দ ও সুবিধার তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেলে দেশটি যে নৃশংসতম পদক্ষেপ নিতেও কুণ্ঠিত হয় না, তার একাধিক উদাহরণ রয়েছে। পানামা কিংবা ইরাকের ঘটনা সে রকমই দুটি ঘটনা। পানামার সামরিক জান্তা ম্যানুয়েল নরিয়েগা এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গুপ্তচরই ছিলেন। তাকে সামরিক শাসক হিসেবে পানামার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান বলতে গেলে ষোলো আনা। যে বছর বাংলাদেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক জান্তা হিসেবে আবির্ভূত হলেন, নরিয়েগাও সেই বছর পানামার রাষ্ট্রক্ষমতা কব্জা করেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। প্রতিপক্ষ দমনের অনেক অনন্য নজির সৃষ্টি করেন তিনি, কোনোরকম ট্যা-ফুঁ করার সুযোগ ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক সমালোচক হুগো স্পেডাফোরাকে হত্যার পর বেশ বড় ধরনের সড়গড় হয়ে গেল, জনতার রোষ আর দমন করতে পারলেন না নরিয়েগা। অতএব আমেরিকাও ভোল পাল্টে ফেলল, নরিয়েগার ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিল। ‘অপারেশন জাস্ট কজ’ চালিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়Ñ যেটি কি-না ছিল ভিয়েতনামের পর বিদেশের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। নরিয়েগা ভ্যাটিকান অ্যাম্বাসিতে পালিয়ে যান। কিন্তু বাধ্য হন আত্মসমর্পণ করতে। ১৯৯০ সালের ৬ জানুয়ারি ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে গ্রেপ্তার করে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন বা হত্যা-নিপীড়ন নয়Ñ নরিয়েগার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ আনে মাদক পাচারের এবং পানামা খাল অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিনিদের জন্য নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টির। যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন তিনি। পরে ২০১৭ সালে পানামায় মৃত্যু ঘটে তার।

কাজেই যুক্তরাষ্ট্র যে ভবিষ্যতে আরও কত নতুন নীতি নিয়ে আসবে, সেটা এখনই বলা মুশকিল। তবে আপাতত যেটি এসেছে, সেটির তাৎপর্যও একেবারে কম নয়। গত ২৪ মে বুধবার এই নীতি ঘোষণার পর সরকারের তরফ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এটিকে সরাসরি স্বাগত জানাননি। বলেছিলেন, ‘নতুন মার্কিননীতি বরং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। নীতিটি ভালো, এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’ তবে সরকারের খাদ্যমন্ত্রী শ্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার গত ২৮ মে রবিবার নওগাঁয় এক আলোচনা সভায় যে মন্তব্য করেছেন, তা থেকে সুস্পষ্টÑ এ নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রীকে সেখানে বলতে শোনা গেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য লজ্জার হলেও বিএনপি এতে খুশি হয়েছে। তারা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে না।’ অন্যদিকে বৃহস্পতিবার নতুন এই ভিসানীতিকে সরাসরি স্বাগত জানিয়েছিল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। যদিও পরে প্রতিদিনের বাংলাদেশের কাছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে শোনা গেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই বিধিনিষেধ দেশের জন্য মর্যাদার নয়। কিন্তু তা আসায় বিএনপির আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রমাণ হয়েছে।’ অর্থাৎ নতুন এই ভিসানীতি সম্পর্কে দেশের সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দলগুলোর আনুষ্ঠানিক ভাষ্য যা-ই হোক না কেন, এসব আনুষ্ঠানিক ভাষ্য জেনে আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে যতই ‘সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করুক না কেন, চাপা অস্বস্তিও ঠিক গোপন থাকছে না, নানাভাবে বেরিয়ে আসছে। কিন্তু রাজনৈতিক দূরত্বকে ঝেড়ে ফেলে অভিন্ন অবস্থানও নিতে পারছে না। আর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যও আসলে তাইÑ এ নীতির মধ্যে দিয়ে এমন এক বাতাবরণ তৈরি করা, যাতে কি সরকার কি বেসরকারÑ উভয়েই যেন তাদের ফাঁদেই পড়ে থাকে।

অতএব, ওই যে কথায় বলেÑ ‘কারও ঘর পোড়ে, কেউ আলু পোড়া খায়’Ñ দেশের দশা এখন তেমন। নিজেদের ‘লজ্জা’ ও ‘অমর্যাদা’কে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সতর্ক বার্তা’কে এরই মধ্যে কি সরকারি দল, কি বিরোধী দল উভয়েই হজম করে ফেলে উল্টো নতুন এক রাজনৈতিক হাতিয়ার করে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা এখন বলছেন, ‘যারা নির্বাচন বন্ধ করতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে, তাদের জন্য এটি একটি চরম বার্তা।’ অন্যদিকে বিএনপির নেতারা বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ক্ষমতাসীনদের ভোটচুরির বিরুদ্ধে বড় বার্তা।’

কিন্তু ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়ানোর এমন উৎসব যতদিন না বন্ধ হবে, ততদিন বিদেশি শক্তিশালী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা দূর হবে না, তাদের ভয়ের সংস্কৃতির আগ্রাসী বিচ্ছুরণ থেকেও মানুষের মুক্তি ঘটবে না।


  • কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা