× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

সামনে নতুন ইতিহাসের হাতছানি

আবদুল মান্নান

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩ ০০:৫২ এএম

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

উপমহাদেশের বৃহত্তম ও অন্যতম প্রাচীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ ৭৫তম বছরে পদার্পণ করছে। এই দলের জন্মের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, যাঁরা দলের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন, জেল-জুলুম সয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন, তৃণমূল নেতাকর্মীÑ যাঁরা নিজের বর্তমানকে দলের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। স্মরণ করি দলের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, প্রথম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক আর স্মরণ করি এই দলটি গঠনের পেছনের সেই নেপথ্য কারিগর শেখ মুজিব, পরবর্তীকালে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ হিসেবে পাকিস্তান নামের একটি ঔপনিবেশিক দেশের শাসনামলে। নতুন দেশের প্রথম সৃষ্ট রাজনৈতিক দল। দলটি গঠনকালে শেখ মুজিব কারাগারে ছিলেন। আওয়ামী লীগের জন্মকালে দলটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে দলটিকে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র দেওয়ার জন্য নতুন নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ, যা এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের জন্ম, সেই বাঙালি তখন পাকিস্তানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। বেশির ভাগই হতদরিদ্র। চরম বৈষম্যের শিকার। যদিও পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল অবিভক্ত বাংলার বাঙালিদের। সেই বাঙালিরাই পাকিস্তান সৃষ্টির পর পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর কাছে হয়ে গেল অপাঙক্তেয়। পরিস্থিতি এমন হলো, পাকিস্তানের বড় লাট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ফরমান জারি করলেন, নতুন দেশের সবাই তাদের নিজের ভাষা বাদ দিয়ে অনেকটা বিদেশি ভাষা (মূলত ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে আসা উদ্বাস্তুদের ভাষা) উর্দুতে কথা বলতে হবে, দপ্তরে কাজ করতে হবে। এই ভাষায় কথা বলত মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ। অথচ বাংলা মাতৃভাষা ছিল ৫৪ ভাগেরও বেশি মানুষের। ঠিক তখনই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতারা অনুধাবন করলেন তাঁদের বৈধ অধিকার আদায়ের জন্য একটি সংগঠনের প্রয়োজন। জন্ম নিল আওয়ামী লীগ। ‘আওয়াম’ অর্থ জনগণ। অর্থাৎ জনগণের লীগ বা দল। অন্যদিকে জিন্নাহর মুসলিম লীগ ছিল নবাব, পীর আর ধনপতিদের দল।

উপমহাদেশে যে কটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে শুরুতে তাদের কোনোটিই রাজনৈতিক দল ছিল না। এসব সংগঠন গঠিত হয়েছিল ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য। ভারতের অন্যতম প্রাচীন ‘রাজনৈতিক’ সংগঠন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হয় ইংরেজ রাজকর্মচারী অ্যালেন অক্টোবিয়ন হিউমের উদ্যোগে ১৮৮৫ সালে। ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতাযুদ্ধ (ইংরেজদের ভাষায় সিপাহি বিদ্রোহ) শেষ হয়েছে। হতাহত হন অনেক ভারতীয় সৈনিক। ভারতের শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের দুই নাবালক সন্তানকে ইংরেজরা হত্যা করে। তাঁকে নির্বাসিত করা হয় রেঙ্গুনে। ভারতের শাসনভার ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির হাত থেকে সরাসরি ইংরেজ সম্রাটের অধীনে চলে যায়। ইংরেজ শাসকরা মনে করলেন ভারতে ভবিষ্যতে যেন স্বাধীনতার জন্য আর কোনো আন্দোলন না হয় তার জন্য ভারতের উচ্চশ্রেণির শিক্ষিত কিছু মানুষের সমর্থন তাঁদের সব সময় প্রয়োজন হবে, যাঁরা বলবেন ভারতে ইংরেজ শাসনের কোনো বিকল্প নেই। ফলে ভারতে ইংরেজ ঔপনিবেশবাদ আরও পাকাপোক্ত হবে। এই তথাকথিত উচ্চবিত্ত বা কুলীন শ্রেণিকে নিয়ে হিউম সাহেব গঠন করলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। এই কংগ্রেসের সঙ্গে সাধারণ জনগণের সম্পর্ক ছিল না।

কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অবিভক্ত বাংলার উচ্চবিত্ত মুসলমানরা মনে করলেন তারা কেন পিছিয়ে থাকবেন? ১৯০৬ সালের ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার নবাব পরিবারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন। এখানেও জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না। উদ্যোক্তাদের কেউই বাঙালি নন। নবাব পরিবারের সদস্য যারা এই মুল্লুকে এসেছিলেন কাশ্মির থেকে, ইংরেজদের কাছ থেকে জমিদারি কিনে হয়ে যান ঢাকার নবাব। এরই মধ্যে বাংলা ভাগ হয়েছে। এই সম্মেলনে প্রতিষ্ঠিত হয় সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ। অংশীজন সবাই ঢাকার উচ্চবিত্ত মুসলমান আর নবাব পরিবারের সদস্য। উদ্দেশ্য একটাই, গোষ্ঠী স্বার্থ সংরক্ষণ করা। সাধারণ জনগণ আগের মতোই ছিন্নমূল, শ্রমিক শ্রেণি ও বর্গাচাষি।

বর্তমানে মুসলিম লীগ খোদ পাকিস্তানেই বিলুপ্ত। কংগ্রেস টিকে আছে। অথচ এই দুটি দলই ভারতকে ইংরেজ শাসনমুক্ত করতে একসময় নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কংগ্রেস বা মুসলিম লীগের অনেক পরে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টিকে আছে সদর্পে। এর পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। প্রথমত, এটি একমাত্র দল, যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাঙালির স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে। যখনই বাঙালির স্বার্থের প্রসঙ্গ এসেছে দলটি কখনও কোনো ব্যক্তি বা সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি। দলটি ভেঙেছে একাধিকবার। বিভিন্ন সময় নিষিদ্ধ হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া শুধু দলটি নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হননি, বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়াও নিষিদ্ধ করেন। ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ হতে বের হয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী গঠন করেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি। মূল উদ্দেশ্য চীনের কমিউনিস্ট শাসনের প্রতিষ্ঠাতা মাও জেদংয়ের দর্শন প্রচার-প্রসার করা। ১৯৬৬ সালে ছয় দফাকে কেন্দ্র করে দলে আবার ভাঙন ধরে। দল থেকে বেরিয়ে যান দলের সভাপতি আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। এরপর দলের হাল ধরেন শেখ মুজিব।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো সামরিক শাসন জারি করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা। দুই সপ্তাহের মাথায় তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে শাসনভার গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়ুব খান। প্রথম সুযোগেই তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করেন। আটক করেন সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। ১৯৬৮ সালে দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে রুজু হয় তথাকথিত ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা। অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহিতা। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু কারামুক্ত হন। এরপর বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা আর আওয়ামী লীগ বাঙালির শেষ আশ্রয়স্থল। বাঙালি বুঝতে পারে তাদের মুক্তির আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আবারও নিষিদ্ধ হয় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। আবারও তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা। সেই মামলা থেকে তিনি মুক্ত হন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। দলটি আবারও নেতৃত্ব সংকটে পড়ে। দলের কিছু নেতা যোগ দেন জিয়ার দলে, কেউ কেউ জিয়ার উপদেষ্টা বা মন্ত্রীর পদ বাগিয়ে নেন। আওয়ামী লীগ অনেকটাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। ঠিক এ সময় দলের হাল ধরেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী, কারাগারে নিহত জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রী বেগম জোহরা তাজউদ্দীন। তিনি সঙ্গে পান দলের কিছু নিবেদিত তৃণমূল নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মী। ক্রান্তিকালে তাঁরাই সব সময় দলের হাল ধরেছেন। কিন্তু দুঃখের কথা, তৃণমূলের এই নেতাকর্মীরা সব সময়ই অবহেলিত।

আওয়ামী লীগ সব সময় সুষ্ঠু রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করেছে। ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকার জন্য দলটি কখনও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়নি। নির্বাচনে হারবে জেনেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। যেমনÑ১৯৭৯ সালে জেনারেল জিয়ার আমলে। আবার যখনই মনে করেছে কোনো নির্বাচনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, সেই নির্বাচনী তামাশার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেও পিছপা হয়নি। যেমন ঘটেছে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আমলে। আওয়ামী লীগের আরেকটি বৈশিষ্ট্য, দলটি যখনই কোনো অন্যায় দেখেছে, তখনই তারা রাজপথে নেমেছে। এটা ঠিক, এরশাদ হটাও আন্দোলন শুরু করেছিল দেশের ছাত্রসংগঠনগুলো। পরে যোগ দেয় সাংস্কৃতিককর্মী, শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু সেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয় তখন যখন আওয়ামী লীগ এ আন্দোলনে যোগ দেয়।

আওয়ামী লীগের আমলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হয়েছিল। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার আমলে সেই দেশ দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একটি মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। যে দেশের কোনো ভবিষ্যৎ কেউ দেখেনি, সেই দেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনীতির আকার ছিল নয় বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছ। হিসাব বলছে, ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হবে।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। তবে প্রাচীন এই দলটি বর্তমানে একটি রোগে আক্রান্ত, আর সেটি হচ্ছে অনুপ্রবেশকারীদের প্রাদুর্ভাব। দল থেকে এদের যদি ছেঁটে ফেলা না যায়, তাহলে আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। ৭৪ বছর শেষে পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায় বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে আওয়ামী লীগের নাম জড়িত। আওয়ামী লীগের নাম মুছে দেওয়ার অনেক চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কেউ তা পারেনি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দল থেকে সব পরগাছা উপড়ে ফেলতে হবে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। ছাঁটাই করতে হবে দল ও প্রশাসনে থাকা খোন্দকার মোশতাকদের। দলে শুদ্ধি অভিযান এখন সময়ের দাবি। এই কাজটি একমাত্র শেখ হাসিনাই করতে পারেন। কাজটি তার জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আরও একটি নতুন ইতিহাস অপেক্ষা করছে দলটির জন্য। সেই ইতিহাস রচনার ভার শেখ হাসিনার ওপর। 


  • শিক্ষাবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা