× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চিঠিপত্র

প্রবা

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১২ পিএম

চিঠিপত্র

মোংলা সেতু : স্বপ্ন কেন অধরা

 

মোংলা-বাগেরহাট জেলার সর্ব দক্ষিনে উপকুলীয় সুন্দরবনবেষ্টিত উপজেলা। এখানে দেশের একটি বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরের কর্মকান্ড চলমান। চিংড়ি, সাদামাছ তথা জলকেন্দ্রিক জীবন জীবিকাই এখানকার মানুষের প্রধান উপজীব্য। বন্দরবেষ্টিত পশুর নদী পূর্ব দিকে বাক নিয়ে মংলা উপজেলাকে দ্বিখন্ডিত করেছে। মূল প্রশাসনিক অবকাঠামো ও দপ্তর সমুহ পশুর নদীর দক্ষিনে মুল  ‍ভূখন্ডের বাইরে দ্বীপ-ভূমিতে অবস্থিত। অন্যদিকে মংলা বন্দর, ও ইপিজেড অর্থ্যাৎ রফতানি প্রক্রিয়ার সকল কর্মযজ্ঞ নদীর এ পারে দ্বিগরাজ নামক স্থান জুড়ে বিস্তৃত। পশুর নদীর দক্ষিনে উপজেলা প্রশাসন ও জনবসতি আর নদীর উত্তরে মংলা বন্দরের কর্মযজ্ঞ। বেশীর ভাগ শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা নদীর দক্ষিনে দ্বীপখন্ড থেকে সকালে ট্রলার পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে আসেন এবং দিন শেষে আবার ট্রলার পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরেন। ট্রলার পাড়ি দেয়ার সময় অনেকেই জোয়ারের উত্তাল ঢেউয়ে আতংকে থাকেন। মাঝে একটি ভাসমান সেতুর আশ্বাসবানী শোনা গেলেও এটি এখন অনেকটাই দীর্ঘশ্বাস। সারাদেশ যেখানে সেতু নির্মানের মহাযজ্ঞে সেখানে মোংলাবাসীর এ স্বপ্ন কেন অধরা?

 

মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান

মোংলা, বাগেরহাট

 

 

 

 

দেশের মেধা দেশে ফিরুক

 

মেধা পাচার ব্যাপারটি বর্তমানে ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখনকার বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা বিদেশ যেতে চায়। বাবা-মায়েরা নিজেরাও সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্য এবং স্থায়ী করার জন্য বিদেশ পাঠাতে উদগ্রীব। বর্তমানে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের সাহায্যে যোগ্যতাসম্পন্ন যে কেউ বিদেশে আবেদন করতে পারছে। অতীতে দেখা যেত, প্রকৌশল বিদ্যায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বেশিসংখ্যক বিদেশে গেলেও বর্তমানে যেকোন বিষয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরাও সুযোগ পাচ্ছে। গত বছর একটি দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যমূলক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বছরে গড়ে ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নেয়ার জন্য বিদেশ গমন করছেন। এই বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের দেশে ফিরে চাকরির নিশ্চয়তা আছে, তারা দেশে ফিরে এলেও, অনেকক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হিসেবে তাও হয় না।  অধিকাংশ ফিরে না আসা শিক্ষার্থীরা কাক্ষিত দেশে স্থায়ী হচ্ছেন। বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখা দরকার, কেন শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরতে অনিচ্ছুক বা দেশত্যাগে তাদের এত উৎসাহ? একজন শিক্ষার্থীর পিছনে খরচ হয় সরকারের অনেক অর্থ। সেই টাকায় দেশের সকল মানুষের যোগসূত্র আছে। তাই দেশের মেধা দেশে কাজে লাগানোর জন্য সরকারকে আরোও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে নচেৎ দেশের আরোও অধিক উন্নতি বাঁধাগ্রস্ত হবে।

 

প্রীতি রাহা, সদর, ময়মনসিংহ

 

 

 

চালু হোক ঈশ্বরদী বিমানবন্দর

 

নাটোরের লালপুর উপজেলার ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নে অবস্থিত ঈশ্বরদী বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটির জন্য মোট ৪৩৬ দশমিক ৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা জমির ১৪৫ দশমিক ৯১ একর বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দখলে রয়েছে। দীর্ঘদিন বিমানবন্দরটি চালু না থাকায় প্রায় অকেজো হয়ে পরেছে রানওয়ে, টার্মিনাল বিল্ডিং, অফিসারদের আবাসিক এলাকা এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের রাস্তা।

ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্থাপনের পরপরই ১৯৪০-১৯৪৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইশ্বরদী বিমানবন্দর স্থাপিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি হিজলি বেজ এলাকা নামে পরিচিত ছিল। গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরটি লোকসানের অযুহাতে ১৯৮৭ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৯৪ সালে বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করলেও আবারও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করলেও ২০১৪ সালের ২৯ মে আবারো বন্ধ হয়ে যায়। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের কারণে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের রয়েছে সম্ভাবনা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প ও ইপিজেড ঘিরে সেখানে রয়েছে কয়েকশত বিদেশি নাগরিক বসবাস। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হলেও পাওয়া যায়না ভালো কোনো পরিবহন। সড়কপথে যাতায়াতে সময়ক্ষেপণ ও ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে। তাই প্রতিশ্রুতির বেঁড়াজালে বন্দী করে না রেখে দ্রুত সংস্কার করে বিমানবন্দরটি চালু করা প্রয়োজন।

 

শেখ রিফাদ মাহমুদ

কানাইখালী, নাটোর

 

 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা