প্রবা
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১৫ পিএম
দাবি আদায়ের
নামে জনদুর্ভোগ বন্ধ করুন
দেশের রাজনৈতিক
দলসমূহ এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলো প্রায়ই বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নানা ধরনের
কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি সহিংসতা-সংঘাতে
রূপ নেয়। ফলে জনদুর্ভোগ বাড়ে। কর্মসূচির মাধ্যমে অবরোধ, বিক্ষোভের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক
দলগুলোকে সুসংহত পরিকল্পনা অনুসরণ করতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের ও রাজনৈতিক
দলগুলোর মত-দ্বিমত থাকবে, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থাকবে; এমনটিই
স্বাভাবিক। কিন্তু জনগণের জন্য আন্দোলন করে জনগণকেই বেকায়দায় ফেললে তা সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা
অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনদুর্ভোগ অর্থনীতিকেও নানাভাবে
ব্যাহত করে। তাই যেকোনো কর্মসূচি ঘোষণার আগে জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনা এবং সেভাবেই কর্মসূচি
আয়োজন করা উচিত। এভাবে জনগণও রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। রাজনৈতিক
দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে আস্থা বাড়ানোর কৌশলগত দিক নেওয়াই জরুরি।
সিয়াম মাহমুদ
ঢাকা
শিক্ষাক্রমে
বদল আনতে হবে
আমাদের দেশের
হাতে গোনা বাদে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য থাকে পড়ালেখা করে চাকরি গ্রহণের মাধ্যমে
আর্থসামাজিক মুক্তি লাভ করা। অনেক বড় প্রতিযোগিতা, অনেক বড় সিলেবাস, স্বল্প সময়ের এই
যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে কোচিং সেন্টারের শরণাপন্ন হয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে পড়তে হবে আর
না হয় মুখস্থ করতে হবে। অন্য ক্ষেত্রে যারা কোচিং সেন্টারের শরণাপন্ন হতে পারে না বা
যারা অনলাইন কোচিং সেন্টার থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া পায় না; তাদের অনেকটা কম সময়ে পুরো
সিলেবাস শেষ করতে হয়। যার দরুন শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি মুখস্থবিদ্যার দিকে অগ্রসর
হতে হয় এবং পারদর্শী হতে হয়। অনেক বেশি মানসিক চাপ সহ্য করে মুখস্থ করতে হয়। এমনকি
বিশ্ববিদ্যালয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুখস্থবিদ্যার আশ্রয় নিয়েই অনেকে শিক্ষাজীবন শেষ
করেন। কিন্তু এ মুখস্থবিদ্যাই যে একসময় তার আক্ষেপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক
পরীক্ষায় ইতোমধ্যে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের বয়ানেই। মুখস্থবিদ্যার এ ঘেরাটোপ থেকে শিক্ষার্থীদের
বের করে আনতে পাঠক্রমকে ঢেলে সাজানোর বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রত্যেকের
মনোযোগ কাম্য।
আবদুল্লাহ
আল মামুন
বাঞ্ছারামপুর,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ই-টিকেটিং
ভোগান্তি বন্ধ করুন
রাজধানীতে মেট্রোরেলে
চড়তে গেলে টিকিট পদ্ধতির প্রশংসা করেন অনেকে। কিন্তু এই যাত্রীই যখন বাসে ই-টিকেটিং
সুবিধা নিতে যান তখন তাকে ক্ষুব্ধ হতে হয়। গণপরিবহনে ভাড়ানৈরাজ্য বন্ধে পরীক্ষামূলকভাবে
ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু হয়। যাত্রী যতটুকু পথ যাবেন তাকে ততটুকু পথের ভাড়াই দিতে হবে।
শুরুতে ই-টিকেটিং সার্ভিসের আওতায় কয়েকটি বাস যাত্রীসেবা দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, ঢাকার
সব গণপরিবহনে ই-টিকেটিং চালু হবে। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই ই-টিকেটিং সম্পর্কে
নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীর নির্ধারিত স্টপেজের বদলে বাড়তি স্টপেজের
টিকিট দিয়ে শুরু হয় বাড়তি ভাড়া আদায়। তা ছাড়া সফটওয়্যারে সমস্যা এবং নানা বাহানায় বিভিন্ন
সময় ভাড়ানৈরাজ্যের অভিযোগও পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে মেশিনের টিকিট না দিয়েও আদায় করা
হয় ভাড়া। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রুটে টিকিটের বাহানায় নির্ধারিত চার্টের বাইরে অতিরিক্ত
ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেছেন অনেকে। ই-টিকেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে ভাড়া আদায়ের পদ্ধতিটি
প্রশংসনীয় হলেও ক্রমেই যে ভাড়ানৈরাজ্যের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, তা বন্ধ করতেই হবে। এজন্য
সংশ্লিষ্ট আইনের সুষ্ঠু ব্যবহার ও মনিটরিং নিশ্চিতের পাশাপাশি সফটওয়্যারজনিত জটিলতাও
দ্রুত নিরসন করা জরুরি।
এসএম সায়েম
মিরপুর, ঢাকা