জন্মদিন
মামুন রশীদ
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৩ এএম
মামুন রশীদ
কৃষকবন্ধু শাইখ
সিরাজের ৭০তম জন্মদিনে উদাত্তভাবে শুভেচ্ছা জানাই। অনেকের হয়তো জানা নেই তার যে কাজটির
জন্য আমরা আজকের দিনটি উদযাপন করছি, সেটি বিটিভির ‘মাটি ও মানুষ’, পরে যা চ্যানেল আইয়ে
‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ হিসেবে সম্প্রচারিত হচ্ছে। দর্শক যদি অনুষ্ঠানটির প্রথম দিককার
টেল-অফ পর্যালোচনা করেন, তাহলে একটি নাম পাবেন রেজাউল সিদ্দিকী, তার নামের সঙ্গে, পাশাপাশি
তথ্য ও গবেষক হিসেবে আমার নাম আসবে। সুতরাং আজকের অত্যন্ত সফল কৃষিনায়ক, কৃষকবন্ধু
শাইখ সিরাজের সঙ্গে অনেক দিন আগে থেকে আমি সম্পৃক্ত। অতি সাধারণ, নগণ্য অবদান রেখেছিলাম
সেই আশির দশকে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে। শাইখ সিরাজ যখন গ্রামে গঞ্জে যান, কৃষকের
ঈদ আনন্দসহ যত অনুষ্ঠান করেন, তার সঙ্গে দুয়েকবার আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। দেখেছি
তিনি কীভাবে মানুষের কাছে সমাদৃত, মানুষ তার কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনে। আমি তখন দেখলাম,
সত্যিকার অর্থে আমাদের গোচরে বা অগোচরে তিনি কৃষকের বন্ধু হয়ে উঠেছেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অর্থনীতি নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করেছেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন এমন একজন মানুষ আমাকে বলেছিলেন, ‘উই মাস্ট ওয়াচ আউট শাইখ সিরাজ, উই মাস্ট মেক শিওর হোয়াটএভার হি ইজ শেয়ারিং উইথ দ্য ফার্মারস, দিজ আর অল রাইট অ্যান্ড সায়েস্টিফিক্যালি প্রুভড’, কারণ ‘টু ম্যানি পিপল আর লিসেনিং টু শাইখ সিরাজ, টু ম্যানি পিপল আর হেয়ারিং টু শাইখ সিরাজ, টু ম্যানি পিপল আর বিয়িং হেল্পড বাই শাইখ সিরাজ’। সুতরাং ও যদি ভুল পরামর্শ দিয়ে দেয় ‘হুইচ ইজ নট সায়েন্টিফিক্যালি প্রুভেন, তাহলে কিন্তু মামুন ক্ষতিকর একটা ফল হতে পারে’। এটাকে বলা হয় মেইনস্ট্রিমিং এগ্রিকালচার। কারণ উনি যা প্রচার করছেন তা রাইট কি না, কৃষকের জন্য প্রয়োজন কি না, সেটা কৃষকের জন্য সাফল্য এনে দেবে কি না, কৃষকের যখন শস্য ফলন হবে, পোকামাকড় নিধনে উনি যে প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন সেটা সঠিক কি না, সারের যে প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন সেটা রাইট কি না কিংবা বীজের যে সমাধান দিচ্ছেন সেটা রাইট কি না, এটা কিন্তু আমি শাইখ সিরাজের সঙ্গে শেয়ারও করেছি। তৃতীয়ত আরেকটি শিক্ষণীয় বিষয়, আমি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কাজের সুবাদে কথাবার্তা বলি। তারা একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার বা বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে অনক সময় আমার কাছে জানতে চান, কারও বিষয়ে সুপারিশ করব কি না বা আমি কারও নাম প্রস্তাব করতে চাই কি না। এরকম একটা বিষয়ে কয়েক বছর আগে আমার কাছে সরকারের একজন সচিব জানতে চান স্বাধীনতা পুরস্কারের বিষয়ে। আমি তখন খুব সাহসের সঙ্গে বললাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এই যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সরকারের একটা অধিদপ্তর সম্পর্কে সুপারিশ করলাম, এটা কীভাবে করতে পারলাম। কারণ কৃষি খাত নিয়ে আমার জানাশোনা ততটা না, তবে শাইখ সিরাজের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, তার অনুষ্ঠানে দেখলাম, দ্য রোল অব ব্লক সুপারভাইজার এবং এটাকে শাইখ সিরাজ তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তুলে ধরে দেদীপ্যমান করেছেনে। আইয়ুব কাদরী যখন কৃষি সচিব ছিলেন তখন আমার সুযোগ হয়েছিল ইউএসএআইডির তত্ত্বাবধানে দুয়েকটি কাজ করার। কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণসহ নানা বিষয়ে মার্কিন কয়েকটি সংস্থার অর্থায়নে স্থানীয় গবেষক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি ব্লক সুপারভাইজাররা শাইখ সিরাজকে দারুণভাবে নিজেদের মানুষ মনে করেন।
বাংলাদেশের কৃষকের
যে ইকোসিস্টেম আছে অ্যাপার্ট ফ্রম ফার্মিং, কৃষকের জীবনাচার, কৃষকের কালচার, কৃষকের
বিলিফ, তাদের ফিলোসফিÑ এসব উঠে এসেছে কৃষকের ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে। খেয়াল করে দেখেন আমরা
কি ভাবতে পেরেছিলাম কৃষকের সুখদুঃখ, হাসিকান্না নিয়ে দারুণ জনপ্রিয় একটা অনুষ্ঠান হতে
পারে, তা-ও টেলিভিশনে এবং সেই অনুষ্ঠানটি প্রচার হয় ঈদের সময়, বিনোদনে ভরপুর বিভিন্ন
অনুষ্ঠানের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে কৃষকের ঈদ আনন্দ বীরদর্পে চলছে। এখানে আর দুটি কথা বলতে
চাই। একবার সাবেক এক মার্কিন কূটনীতিক আমাকে কফি খেতে খেতে জানতে চাইলেন, ‘ডু ইউ নো
দিস গাই, মি. শাইখ সিরাজ?’ আমি বললাম, ‘ইয়েস, বাট হোয়াই, ইওর এক্সিলেন্সি’। তিনি বললেন,
‘হি ইজ ভেরি পপুলার, আই অ্যাম টোল্ড বাই ইউএস এগ্রিকালচারাল ডিপার্টমেন্ট, ইউএসডিএ।
শুড উই ইনভেস্টমেন্ট অন হিম’। আমি দুঃখিত, এটা কূটনৈতিক পরিভাষা, বিশিষ্ট মানুষের জন্য
মার্কিন সরকার আদতেই বিনিয়োগ করে থাকে। আমি সেই কূটনীতিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম,
পসিবলি ইয়েস। তিনি আরও জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ডু ইউ থিংক দ্যাট এগ্রিকালচারাল ফার্মিং কমিউনিটি
লিসেনস টু হিম?’ আমি বললাম, ইয়েস। তিনি তখন বললেন, ‘দ্যাট ইজ হোয়াই, আই ওয়াজ ব্রিফড,
আই শুড কানেক্ট উইথ হিম, সো আই অ্যাম গোয়িং টু মিট হিম সুন’। তৃতীয় এবং শেষ কথাটি,
কোভিডকালে সবাই কঠিন চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছি, আমাদের অনেকেরই কোভিড হয়েছে, সম্ভবত
তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি আমাকে একটা বই পাঠান, কোভিডকালে
লেখা, অন্তরিন অবস্থার দিনলিপি। তখন আমি ভাবলাম, আমরাও তো লকডাউন ছিলাম অথচ শাইখ সিরাজ
সে সময় কেবল বসে না থেকে এত মোটা একটা বই লিখে ফেলেছেন। এটা তো সেই সময়ের একটা দলিল।
যারাই বই লেখেন, আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। উনি যেহেতু কষ্ট করে বইটা পাঠিয়েছিলেন, কাজেই
আমি পুরো বইটা মনোযোগ দিয়ে পড়েছি।
একটা কথা বললাম
টেলিভিশনে গিয়ে, সেটা হয়তো দীর্ঘমেয়াদে স্থায়িত্ব না-ও পেতে পারে, অনেক সময় টেলিভিশনে
দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা শুনি, দেখি। কিন্তু বইয়ে সেটা করা যায় না, কারণ এটা ইতিহাসের
অংশ হয়ে থাকবে। করোনাকালে যারাই বই লিখেছেন, বই পড়েছেন, তাদের সাধুবাদ জনাই। আর অবশ্যই
শাইখ সিরাজ বিশেষ বিশেষ দিনে ফোন করেন, অনুরোধ করেন যে আপনারা আসেন, অনুষ্ঠানে কথা
বলবেন। আমি মনে করি উনি চান দেশ এগিয়ে যাক। আমাদের এত জঞ্জালের মধ্যে, এত পঙ্কিলাবর্তের
মাঝে আমরা আটকে থাকি, সে সময় যারাই শান্ত মাথায়, শান্ত দৃষ্টভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশকে
ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সচেষ্ট তাদের সবাইকে সাধুবাদ জানাই, সেই দলের মাঝে
শাইখ সিরাজও একজন।
আরেকটি ঘটনা বলি।
অনেক বছর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানতে চেয়েছিলেন, আমি শাইখ সিরাজকে
চিনি কি না? আমি বললাম, জি তাকে আমি চিনি এবং তার কাজ সম্পর্কে কিছু ধারণাও আছে। মুহিত
সাহেবকে যারা জানতেন, চিনতেন তাদের জানা আছে, যেকোনো বিষয়ে তার নিজস্ব একটা পঠনপাঠন
ছিল। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মুহিত সাহেবকে বলেছিলেন,
শাইখ সিরাজ কৃষি নিয়ে যা যা প্রচার করেন তার সবকিছু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তখন
আমি বললাম, স্যার, আপনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ডেকে ক্রসচেক করতে
পারেন। কারণ আমি মনে করি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও একটা বিষয় সম্পর্কে সবচে
ভালো না-ও জানতে পারেন। অবশ্য পরে শাইখ সিরাজকে জানতে মুহিত স্যারের মতো মানুষকে আমাদের
দরকারই হয়নি। কারণ ততদিনে শাইখ সিরাজের কাজ সম্পর্কে তিনি সম্যক ধারণা পেয়ে গেছেন।
এমনকি স্যার মনে করতেন তাকে মেইনস্ট্রিমিং করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন শাইখ সিরাজ।
একবার আমাকে হাস্যোচ্ছলে মুহিত সাহেব বলেছিলেন, তিনি
মনে করতেন, ‘হি বিলংস টু দ্য এলিট সোসাইটি’। কিন্তু শাইখ সিরাজ তাকে মাঠের মানুষের
সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়েছিলেন। এজন্য তিনি শাইখ সিরাজকে অসম্ভব পছন্দ করতেন। কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা আছে এ রকমÑ ‘আমারো ইচ্ছা ছিল যাবো ওপাড়ার ধারে, ভেতরে প্রবেশ
করি সে শক্তি ছিলো না একেবারে’। মুহিত সাহেবকে সেই ভেতরে প্রবেশ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন
শাইখ সিরাজ। গ্রামে নিয়ে যাওয়া, গ্রামের কৃষকের কাছ থেকে লাইভ শোনা, একদম ফেস টু ফেস,
গ্রাউন্ড রিয়েলিটিটা কী, কোথায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীরা দুষ্টামি করছে, দুর্নীতি করছে,
তারা সময়মতো সার কিংবা বীজ পায় কি না, এসব তিনি কৃষকের কাছ থেকে শুনতেন। এমনকি কঠিনÑ
কঠোর মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নো বুলশিট, নো ক্র্যাপ, টেক ইট অর লিভ ইট মিনিস্টার বলতাম
দুষ্টামি করে, সি অলসো লেটলি শাইখ সিরাজকে পছন্দ করা শুরু করেছিলেন। মতিয়া চৌধুরী কৃষিমন্ত্রী
থাকাকালে শাইখ সিরাজ একটা বিষয় প্রমোট করেছিলেন, কৃষিকে যতদূর সম্ভব উত্তর থেকে দক্ষিণে
নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে। শাইখ সিরাজ দেখিয়েছেন কীভাবে কচুরিপানার ওপরে ধান চাষ করা যায়।
তিনি এটাকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করেছিলেন। মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গো মাঝে মাঝে কথা বলতে
যেতাম। তিনি খুব কড়া ধরনের রাজনীতিবিদ, অত্যন্ত সফল এবং নীতিমান একজন রাজনীতিবিদ। আমরা
অনেক আলাপ করতাম। সময় সময় আমার সঙ্গে দ্বিমত করতেন, কিন্তু শেষের দিকে তিনি নিজেও সমর্থন
শুরু করেছিলেন যে, ‘কৃষি মাস্ট বি ট্রান্সপোর্টেড টু সাউথ বেঙ্গল ফ্রম নর্থ বেঙ্গল’।
আমাদের গ্রানারি অব বাংলাদেশ আবারও দক্ষিণবঙ্গই হতে পারে।
আমার মনে আছে একজন কৃষকক নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন
হয়েছিল, হরিপদ কাপালী, তিনি হরিধানের উদ্ভাবক। তাকে কিন্তু মেইনস্ট্রিমিং করেছিলেন
শাইখ সিরাজ। মানুষের কাছে তুলে ধরার কাজটা তিনি দরদ দিয়ে করেছেন। আমি অর্থনীতির ছাত্র,
আইএমএ প্রফেশনাল, প্রফেশনাল হিসেবেই অবসরে যেতে চেয়েছিলাম। আই ওয়াজ ভেরি হ্যাপি, বিদেশে
চাকরি করব, মোটা টাকা বেতন পাব, বিদেশে থাকব, সৎভাবে থাকব, কোনো অন্যায় করব না, গ্রাহককে
কষ্ট দেব না। কিন্তু আমারও যে এসবের বাইরে আরও অবদান রাখার সুযোগ আছে, আমিও যে অর্থনীতির
একজন ছাত্র হিসেবে কৃষি নিয়ে ভাবা উচিত, আমারও যে কৃষকের মুখ থেকে সরাসরি শোনা উচিত,
এ সুযোগটা কে করে দিল? শাইখ সিরাজের কাছে এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।
মনে রাখতে হবে ‘অ্যান ইন্টেলেকচুয়াল শুড বি এ পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল’। আমি কেন লিখি, আমার তো লেখার কোনো দরকার নেই। আমি কেন টিভি টকশোয় যাব। দেখুন সত্যি কথা বলতে টকশোয় গিয়ে আমার ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হয় না। কারণ, আমি টার্গেট মার্কেটকে সার্ভ করি। কিন্তু লেখাপড়ায় ‘এভাব অ্যাভারেজ’ একজন মানুষের সামাজিক দায়বোধ আছে। সেটা কিন্তু ইনডাইরেক্টলি শাইখ সিরাজরা প্রমোট করছেন। প্রফেশনালদেরও আলোচনায় নিয়ে যাওয়া। হি ডিড নট নিড টু টেক মি টু রায়পুরা, নরসিংদী। কিন্তু আমি যদি বাংলাদেশের কৃষি নিয়ে কথা বলি, সেটা কিন্তু আমার ব্যাকগ্রাউন্ড, মানে স্টেট ফ্রম দ্য মাউথ রিসার্চের অংশ হিসেবে কাজ করবে। ইয়েস আই হ্যাভ হার্ড ফ্রম দ্য রিয়েল ফার্মারস যারা বীজ সরবরাহ করে, যারা সেচ সেবা দেন, যারা সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্লক সুপারভাইজার, যারা কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ দেন, যারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ দেন, যারা এনজিও থেকে অর্থায়ন করে প্রশিকা হোক আর আরডিআরএস হোক, বিকজ অব শাইখ সিরাজ। আমি কিন্তু পুথিগত বিদ্যার বাইরে একজন নিতান্ত অর্থনীতিবিদ বা হিসাববিদ হিসেবে বাড়তি কিছু জানার সুযোগ পেলাম। এটাকে রিভার্স মেইনস্ট্রিমিং বলে। তার যে কৃষকের বাজেট, দিস ইজ এ ফ্যান্টাস্টিক ওয়ে অব মেইনস্ট্রিমিং দ্য ইস্যুজ বিং ফেসড বাই চ্যালেঞ্জড বাই দ্য মেইনস্ট্রিম ফার্মিং কমিউনিটি। জয় হোক শাইখ সিরাজের।