ভূরাজনীতি
ড. দেলোয়ার হোসেন
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৪২ এএম
ড. দেলোয়ার হোসেন
৯ সেপ্টেম্বর
ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ভাইরাল হওয়ার প্রাতিষ্ঠানিক কূটনৈতিক তাৎপর্য হয়তো নেই। কিন্তু এই ছবির অন্তর্নিহিত
তাৎপর্য রয়েছে, যা মেরুকরণের বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব
বাড়ার বিষয়টি আরও ভালোভাবে স্পষ্ট করে তোলে। বিশেষত, কূটনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সাফল্য
এবং এক্ষেত্রে আমাদের কূটনীতির মূলনীতির কার্যকারিতাও নানাভাবে বোঝা যায়। জি-২০ সম্মেলনে
প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন কূটনৈতিক ঘটনা। এই সম্মেলনে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মানবজাতির মঙ্গল কামনায় ‘এক পৃথিবী’ অধিবেশনে
চার দফা এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশনে
পাঁচ দফা সুপারিশ পেশ করেন। কূটনৈতিক বক্তব্য উপস্থাপনে নিজের কৌশলী অবস্থান তিনি এই
সুপারিশের মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন যা বৈশ্বিক মেরুকরণের সমীকরণে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক
বার্তা পৌছে দিয়েছে। শেখ হাসিনা তার ‘এক পৃথিবী’ অধিবেশনের
ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি, করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে যেমন
আলোচনা করেছেন তেমনি কৌশলগতভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পালটা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ
করেন। রাশিয়ার নাম স্পষ্টভাবে উচ্চারণ না করেও বক্তব্যে এমন জটিল ভূরাজনৈতিক প্রসঙ্গ
উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে বিশ্বের কাছে। নিঃসন্দেহে
বলা যায়, জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিক।
জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের
বিষয়টি রয়েছে অবশ্যই। বাংলাদেশকে এখন আর নব্বইয়ের দশকের হিসেবে যাচাই করলে হবে না।
যুদ্ধপরবর্তী সময়ের বাংলাদেশ আর ২০২৩-এর বাংলাদেশ এক নয়। স্বাধীনতার পর নানা প্রতিবন্ধকতার
মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষত, আমাদের
কূটনীতিকরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। ঘাটতি ও প্রতিবন্ধকতা
থাকা সত্ত্বেও তারা কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে বেগবান রেখেছেন। জি-২০ এর সভাপতি ভারতের সঙ্গে
ইতোমধ্যে আমাদের সম্পর্কের চমৎকার বোঝাপড়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ২০২১-২২ সালে বাংলাদেশ
আবির্ভূত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হিসেব। মহামারি সত্ত্বেও
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০১৯ সালের ৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২১ সালে ১৪ শতাংশ
হারে বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির
একটি ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভারতের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তা
ছাড়া বিগত দশ বছরে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত
হয়েছে যার বহিঃপ্রকাশ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ। শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক
দেশ ভারত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও ৯টি দেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে আমন্ত্রণ
জানিয়েছে এবং ৯টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুধু বাংলাদেশকেই আমন্ত্রণ জানানো
হয়।
বিগত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক
গুরুত্ব বেড়েছে। বিশেষত, রাজ্যশাসনে স্থিতিশীলতা অর্জনের মাধ্যমে আমরা দক্ষিণ এশিয়া
অঞ্চলে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছি। এটা আমাদের দাবি এমনটি নয়। বরং অস্ট্রেলিয়াসহ
অনেক দেশের কৌশলবিদ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলছে, বাংলাদেশ
একটি উদীয়মান আঞ্চলিক শক্তি। অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের
উত্থানকে ভারত গুরুত্ব দিয়েছে। এই উত্থানকে গুরুত্ব দিয়েছে বলেই ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার
এই মঞ্চে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দুটো
বিষয় আমাদের সামনে তুলে ধরে। প্রথমত, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। দ্বিপক্ষীয়
ওই বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে, যা নরেন্দ্র মোদি নিজে টুইট করে জানিয়েছিলেন। তাই
বাংলাদেশকে সহযোগী শক্তি হিসেবে ভারত যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তা স্পষ্ট। দ্বিতীয়ত,
জি-২০ সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান কিংবা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ আমাদের কূটনৈতিক
অঙ্গনকে নানাভাবে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয়, জি-২০ সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের সামনে বাংলাদেশের
বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে
ধরার সুযোগ দিয়েছে। আমাদের সম্পর্কে যেসব রাষ্ট্রের স্পষ্ট ধারণা ছিল না তারাও এবার
আমাদের বক্তব্য শুনতে পেরেছে এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টিও
অবধারিতভাবে চলে আসে। আলোচনার শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের
সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের মতো চমৎকার বিষয়ের কথা লেখার শুরুতেই উল্লেখ
করেছি। সেই প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সেলফি ভাইরাল হওয়ার মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয়
সম্পর্কের নানা দিক আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। বিগত এক মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের দুটো সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি প্রতিরক্ষা সংলাপ, অন্যটি নিরাপত্তা
সংলাপ। দুটো সংলাপই আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে নীতি রয়েছে তা
দুই দেশই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বজায় রেখে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জি-২০ সম্মেলনে
বাংলাদেশের গুরুত্বের বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে এবং বাইডেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ দুই
দেশের পারস্পরিক সংযুক্ত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে উচ্ছ্বাস
দিয়ে প্রশংসা জানিয়েছে। তখন প্রতিদিনের বাংলাদেশে একটি লেখায় এই শুভেচ্ছার গুরুত্ব
নিয়ে লিখেছিলাম। ওই শুভেচ্ছাবার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্থান
এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিয়েছিলÑ যার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য
অনেক। সে কথাও ওই লেখায় বিশ্লেষণ করেছিলাম। অবশ্য ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মঞ্চে প্রথমবার
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নানা মহলে আশঙ্কাও জাগিয়ে তোলে। বাংলাদেশ কি ভূরাজনৈতিক শক্তিবলয়ের
ক্ষেত্র হয়ে উঠবে? আমি মনে করি, এমন আশঙ্কার কোনো ভিত্তি নেই। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব,
কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’Ñ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির এই মূলনীতির কাঠামো অনুসারে বৃহৎ
শক্তিগুলোর সঙ্গে আমাদের শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বিশেষত, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে
বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি আমাদের কূটনৈতিক সাফল্যেরই বহিঃপ্রকাশ।
জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভূরাজনৈতিক কারণে অংশগ্রহণ করেননি।
এমনকি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও অংশ নেননি। তবে এই দুই দেশের সঙ্গেও আমাদের কৌশলগত
সম্পর্ক রয়েছে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময় নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় সফর করেছেন।
আন্তরিক পরিবেশেই সফর সম্পন্ন করেছেন তিনি। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি
রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গেও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারছে।
জি-২০ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে কূটনীতি পরিচালনায় বাংলাদেশের
অবস্থান আরও স্পষ্টভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার
ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ কী ভূমিকা রাখতে পারবে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের
বিশেষ ভূমিকা যে রয়েছে তা-ও উপস্থাপন করার সুযোগ মিলেছে। জি-২০ সম্মেলনে অর্থনীতি,
জলবায়ু ও পরিবেশগত বিষয়ের বেশি গুরুত্ব ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ
করে ভূরাজনৈতিক একটি বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের
বাস্তবতা, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে ঘিরে মাল্টিপোলার বিশ্বের প্রতিযোগিতা, চীনের প্রভাব
বিস্তারকারী প্রকল্পের উত্থানÑ এসব বিষয়কে মাথায় রেখে ভারত ও পশ্চিমা বিশ্ব নতুন অবকাঠামো
নির্মাণ ও ভূরাজনৈতিক কর্মসূচি গড়ে তোলার বিষয়ে ভাবছে। আর এই উদ্যোগে উন্নয়নশীল এই
অঞ্চলের চাহিদা কীভাবে পূরণ করা যায় তা-ও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায়,
বাংলাদেশের এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ঢাকা সফর করছেন। তিন দশক পর ফরাসি কোনো প্রেসিডেন্টের সফরকে ঘিরে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে। তবে কূটনীতিকরা এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব বহুমুখী করার সুযোগ দেখছেন। ছোট রাষ্ট্র হলেও পশ্চিমা বিশ্ব যে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে; এই সফর আমাদের তা বুঝিয়েছে। এই অঞ্চলে ফ্রান্সের তেমন প্রভাব না থাকলেও ফ্রান্সের কূটনৈতিক সমর্থন আদায় করতে পারলে আমাদেরই লাভ। কারণ ফ্রান্স জাতিসংঘের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের একটি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ফ্রান্স ভূরাজনৈতিক নানা বিষয়ে কাজ করছে, যা আমাদের জন্য ইতিবাচক। তাদের কূটনৈতিক সমর্থন আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। আমাদের প্রত্যাশা, রোহিঙ্গা ইস্যুও এই সফরে আলোচিত হবে এবং গুরুত্ব পাবে। জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ফ্রান্স এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং তাদের কূটনৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্য এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি বন্ধুরা বাংলাদেশ সফর করছেÑ এটি ইতিবাচক নিঃসন্দেহে। ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ছে আমাদের। তবে আমাদের কূটনৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করতে হবে। কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক স্বার্থসংক্রান্ত আলাপ-আলোচনার সুযোগ থাকা মানে অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক বিষয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হওয়া।