× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রজন্মের ভাবনা

পরিবেশের সুরক্ষাই জীবনের রক্ষাকবচ

এস আলী দুর্জয়

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২৩ পিএম

পরিবেশের সুরক্ষাই জীবনের রক্ষাকবচ

সম্প্রতি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা প্রতিবেদন ও পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বে শিল্পকারখানার কর্মকাণ্ড ২৩ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সিংহভাগই এশিয়ায় অবস্থিত। জলবায়ু-সংবেদনশীল অবকাঠামো নির্মাণের তাগাদা পরিবেশবিজ্ঞানীরা প্রায় নিত্য দিচ্ছেন। বিশেষত বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধ, বৃষ্টির স্বাভাবিক চক্র, বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিকতার সুরক্ষার স্বার্থেই পরিবেশ-সংবেদনশীল অবকাঠামো জরুরি। যেকোনো অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ইট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত উপমহাদেশ ও এশিয়ার অধিকাংশ দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ইট সাশ্রয়ী ও টেকসই। ইট নির্মাণের অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি আমাদের দেশেই রয়েছে। থচ তা অনুসরণ না করে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে প্রতিনিয়ত পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ভাটার নির্গত কালো ধোঁয়া দূষিত করছে চারপাশের পরিবেশ। উজাড় হচ্ছে বনজ, ঔষধিসহ মূল্যবান বৃক্ষ। ফলে দীর্ঘস্থায়ী বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর।


একটি দেশের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে যেখানে মোট আয়তনের ২৫% বনভূমির প্রয়োজন, সেখানে জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্যসংস্থার মতে আমাদের দেশে মাত্র ১৩% বন অবশিষ্ট রয়েছে। জাতীয় বননীতি অনুযায়ী দেশের মোট স্থলভাগের অন্তত ৩৩ শতাংশ গাছ এবং অরণ্যবেষ্টিত রাখতেই হবে, না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের এ ভয়ংকর প্রভাব থেকে এ দেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা যাবে না। সারা দেশেই ইট পোড়ানোর অবস্থা কমবেশি একই রকম। ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কয়লার বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে গাছ। কয়লা কিংবা কাঠ পুড়িয়ে ইট নির্মাণের কোনো পদ্ধতিই পরিবেশবান্ধব নয়। তুলনামূলকভাবে কাঠ পুড়িয়ে ইট উৎপাদনে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। একটি গাছের বদলে দশটি গাছ লাগানোর উদ্যোগের বিষয়ে অনেকেরই মনোযোগ কম। তবে একটি গাছ কেটে দশটি গাছ লাগালেই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে বিষয়টি এমন নয়। একটি গাছকে পরিচর্যার মাধ্যমে বৃক্ষে রূপান্তরের দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার ফলও দীর্ঘমেয়াদি। তাই গাছ কেটে চারা লাগালেই মূল সমস্যার সমাধান হয় না।

ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছেন না ভাটার মালিকরা। প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে ভাটার মালিকরা প্রকাশ্যে পরিবেশের ক্ষতি করছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী নানা ছলে ও কৌশলে বৃক্ষ নিধন করছেন। ধ্বংস করছেন অরণ্য। এর নিরসন জরুরি। এ অবস্থায় পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পোড়ানো ইটের ব্যবহার কমিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ইট ব্যবহারের প্রচলন করতে হবে। ইট উৎপাদনের জন্য আধুনিক পদ্ধতি দেশেই রয়েছে। পুরোনো ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উৎপাদন পদ্ধতি থেকে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ সরে আসতে হবে। পাশাপাশি দেশে ইটভাটাসংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে।

  • শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা