× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

জ্যোতির্ময় তোমারই হোক জয়

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১১:০৭ এএম

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

মুক্তির মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকীর শুভলগ্নে বিশ্বকবি রবিঠাকুরের ‘রূপ-নারানের কূলে’ কবিতার কয়েকটি পঙ্‌ক্তি উচ্চারণে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিবেদন ও কিংবদন্তি বিশ্বনেতার মহাকাব্যিক মনীষার সামান্য কিছু উপস্থাপন করতে চাই। ‘রূপ-নারানের কূলে জেগে উঠিলাম।/জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়।/রক্তের অক্ষরে দেখিলাম আপনার রূপ-/চিনিলাম আপনারে আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়।/সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম-সে কখনো করে না বঞ্চনা।/শেষ দেখা আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন-/সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে,/মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ ক’রে দিতে।’ উল্লিখিত কথামালার মৌলিক নির্যাস যেন বঙ্গবন্ধুর অসামান্য জীবনচরিত পরিশুদ্ধ মহিমায় চিত্রিত করেছে। আজীবন অসত্য-অন্যায়-নিপীড়ন-নির্যাতন-বঞ্চনার কশাঘাতে জর্জরিত এক মহান নেতার বিশ্বজয় আদিগন্ত সূর্যের মতোই সত্যের কাঠিন্যে অত্যুজ্জ্বল। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নয়নমনি এই শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ কর্ণধার।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বিশ্বনন্দিত ক্ষণজন্মা চিরঞ্জীব মহাপুরুষ উপমহাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় জন্মদিন। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রক্তস্নাত এ পবিত্র স্বাধীন মাতৃভূমি। বাংলা নামক ধরিত্রীর জনপদে রোপিত হলো গোপিত সম্ভাবনার নিরঞ্জন দ্যোতক। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিমানস, আদর্শিক-রাজনৈতিক নেতৃত্বের গভীরে প্রোথিত ছিল বিশাল মহিমা ও মহানুভব চিন্তা-চেতনার নিরঞ্জন বিচয়ন। বঙ্গবন্ধুর সার্থকতা তিনি শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেননি, জাতি-রাষ্ট্রের অর্থবহ প্রতিষ্ঠার রূপকল্প বাস্তবায়নের পথনির্দেশনা নির্মাণ করেছেন। তাঁরই আলোকবর্তিকায় বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র জাতির আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে অদম্য অগ্রগতিতে অবিচল নিষ্ঠা-আন্তরিকতায় দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর আকাশচুম্বী ঐতিহ্যিক সামাজিক-রাজনৈতিক অভিযাত্রায় (১৯৩৪-১৯৭৫) সপ্তম শ্রেণি থেকে প্রতিটি দিনক্ষণ জীবনপ্রবাহের এক একটি অধ্যায়ের নবতর সংস্করণ। ‘বেরিবেরি’ ও ‘গ্লুকোমা’ নামক হৃদ-চক্ষু রোগে আক্রান্ত বঙ্গবন্ধু শৈশবকাল থেকেই স্বদেশি আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে নেতাজি সুভাষ বসুর আদর্শিক চেতনায় প্রক্ষিপ্ত হলেন। গৃহশিক্ষক কাজী আবদুল হামিদ এমএসসির সান্নিধ্যে গরিব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাকল্পে ‘মুসলিম সেবা সমিতি’র কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হলেন এবং অকপটে সহপাঠীদের নিয়ে মুষ্টি চাল সংগ্রহ করতেন। ফুটবল, ভলিবল, হকি খেলায় পারদর্শিতা প্রদর্শনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয় খেলোয়াড়। পাশাপাশি প্রিয় পিতার মতোই আনন্দবাজার, বসুমতী, আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী ও সওগাত পত্রিকার নিয়মিত পাঠক ছিলেন। পরে ১৯৩৮ সালে গোপালগঞ্জে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা ও শ্রমমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর আগমন কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু নির্ভীক রাজনীতিকের উপচীয়মান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ঋদ্ধ হলেন। সূচনায় যেন জয় করলেন নিজেকে এবং ব্রতী হলেন দেশমাতৃকার মুক্তির স্বপ্নে বিভোর আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপনে বৈদগ্ধ চারণ। মিঞা মুজিবুর রহমান রচিত ‘জাতির জনকের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা’ গ্রন্থে ১৯৭০ সাল থেকে ২০ বছর বাংলাদেশে বসবাসকারী জেমস জে নোভাক রচিত ‘বাংলাদশে রিফ্লেকশনস অন ওয়াটার’ পুস্তকের উদ্ধৃতি প্রণিধানযোগ্য : ‘শেখ মুজিব রাজনৈতিক পরিবেশে এক ধরনের তাৎক্ষণিতা নিয়ে আসেন। সূক্ষ্ম কূটচাল অথবা খাপছাড়া পদক্ষেপ নিয়ে তিনি জনগণকে ক্লান্ত করতেন না। সরকারি পদের প্রতি তাঁর কোনো মোহ ছিল না। তাঁর উত্থানের সময় থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরুর দিনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা পর্যন্ত সবাই জানত এবং বুঝত তিনি স্বাধীনতার পক্ষেই কথা বলেছেন।’

১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত প্রতিটি সাল বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসে অচ্ছেদ্য অধ্যায়ের সাক্ষ্য বহন করে। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান, রাজনৈতিক সংগ্রাম, ধার্মিক-অসাম্প্রদায়িক দল গঠনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’-এর পরিবর্তে শুধু ‘আওয়ামী লীগ’ নামকরণ, কোয়ালিশন সরকারের শিল্প-বাণিজ্য-শ্রম-দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ-এইড দপ্তরের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ, দীর্ঘ সময় কারাবরণ, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ-সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ-সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি গঠন, ঐতিহাসিক ছয় দফা উপস্থাপন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি ও ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতা ঘোষণা, বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠন, নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদান ও ২ লাখ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নে স্বাধীনতা অর্জনের একটি যুগান্তকারী পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটে। শুরু হয় অর্থনৈতিক মুক্তির অর্থবহ স্বাধীনতা সংগ্রামের দ্বিতীয় পর্ব। বঙ্গবন্ধুর জীবন-সমাজ-রাষ্ট্র-শিক্ষা-উন্নয়ন দর্শনের ন্যায়ালয় ছিল বাংলার মাটি-মানুষের ন্যায্য সুদৃঢ়তা। হৃদয় নিংড়ানো বাঙালি জাতিসত্তাই ছিল এর নয়নাভিরাম ভিত্তি।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বীয় নেতৃত্বে সদ্যস্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্তার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত লালসবুজ পতাকার স্বাধীন বাংলাদেশকে মুক্ত মাতৃভূমির পর্যায়ে অধিষ্ঠিত করলেন। ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী রাষ্ট্রপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তাঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চিরভাস্বর চেতনার মূলমন্ত্র ছিল শোষণমুক্ত জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এরই আলোকে ১৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পরিপূর্ণ অক্ষুণ্ন রেখে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। পর দিন রমনা রেসকোর্স ময়দানকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামকরণের ঘোষণা দেন এবং সরকারি আদেশে মদ, জুয়া, হাউজিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেন। ১৮ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে হাইকোর্ট অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে হাইকোর্ট গঠন করেন। দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ২১ জানুয়ারি ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেন। ২৪ জানুয়ারি পাক সামরিক জান্তাদের সহযোগী হয়ে এ দেশে যারা মানুষ হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধকর্মে জড়িত বা দালালি করেছে, তাদের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন।

অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মৌলিক অনুষঙ্গ বাঙালি জাতীয়তাবাদ-গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে জাতীয় আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অবিস্মরণীয় করার প্রয়াস অব্যাহত রাখেন। স্বাধীনতা অর্থবহ করার লক্ষ্যে দেশ পুনর্গঠনে নতুন এক জাগরণের সূচনা করেন। ১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই বিতরণের ঘোষণা দেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতির উদ্দেশে বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘শোষণমুক্ত সোনার বাংলা কায়েমই আমাদের লক্ষ্য’। বঙ্গবন্ধুর ৫৩তম জন্মদিন অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনন্দিত নেতা শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় আসেন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৫ বছরের জন্য শান্তি, সহযোগিতা ও মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২৬ মার্চ দেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন এবং সব ব্যাংক, বীমা ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা প্রদত্ত হয়।

ধর্ম-বর্ণ, উচ্চ-মধ্যবিত্ত-দরিদ্র, নারী-পুরুষ-অঞ্চল নির্বিশেষে বিভাজিত জনগোষ্ঠীর খণ্ডিত বিরোধ-বিচ্ছেদ নির্বাণে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান আজ বিশ্বখ্যাত। বঙ্গবন্ধুর নির্বিকল্প নতুন আদর্শের নবতর নিলয় হয়েছে বাঙালির আজন্ম লালিত গন্তব্য। সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়, ‘যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কণ্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস, টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।’ ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে সব ক্ষেত্রে দেশ বিশ্বপরিমণ্ডলে উন্নয়নের রোল মডেল খ্যাতি অর্জন করেছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যা কিছুই চলমান; বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক-কূটনৈতিক শিক্ষা-ধর্ম-দর্শনের প্রতিফলনই হলো দেশের অগ্রযাত্রা।অগ্রযাত্রার পথ আরও চওড়া করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণে নিষ্ট থাকতেই হবে আওয়ামীলীগকে।  কেউ যাতে কদাচারের  ছায়ার বিস্তার ঘটাতে  না পারে এ ব্যাপারেও সজাগ-সতর্ক ও ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাকতে হবে নির্মোহ।  অন্যায়কারী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রতিবন্ধকতা-বাধা তৈরিতে অন্ধকারের পরাজিত শক্তির সব অশুভ তৎপরতা রুখে দিয়ে বাংলাদেশ অপরাজিত থাকবেই- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এই প্রত্যাশা।

  • শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা