× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

স্বাধীনতার মাস

‘অমর-কবিতাখানি’ ও বিদ্যমান বাংলাদেশ

আব্দুল বায়েস

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪ ১০:৩৯ এএম

আব্দুল বায়েস

আব্দুল বায়েস

‘...কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?/ গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি’ : ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ (কবি নির্মলেন্দু গ‍ুণ)।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া পুরো ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেয়। বিশেষত তাঁর ভাষণের শেষ অংশে বাঙালিদের উদ্দীপ্ত ও উজ্জীবিতকরণে তিনি দুটি বাক্য ব্যবহার করেছিলেনÑ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার মর্মার্থ মরমে মরমে আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি কি না, সেটা বিরাট এক প্রশ্ন হিসেবে অন্তত বোদ্ধা মহলের মনে জাগরূক। উপরন্তু বলে রাখা দরকার যে, এই উপলব্ধিটুকু করতে না পারলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি প্রথমেই মুক্তিসংগ্রামের কথা বলেছেন, যে সংগ্রামের অর্থ দাঁড়ায় মূলত পাকিস্তানিদের কাছ থেকে পাওয়া সব ধরনের অত্যাচার-অনাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন, বৈষম্য থেকে সার্বিক মুক্তি লাভ করা। অন্তর্নিহিতে এটা হলো আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তি। নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ এবং এই ভাষণ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে ওঠে। মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে পাকিস্তানে বাঙালিদের ২৩ বছরের বঞ্চনা ও নির্যাতনের পুরো ইতিহাস তুলে ধরেন। 


দুই

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রাথমিক অবস্থার একটা সংক্ষিপ্তসার এ রকমরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে টালমাটাল পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সংকট, জনসংখ্যা সমস্যা, তীব্র খাদ্য ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার প্রকট অভাব ইত্যাদি। সম্ভবত এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব হেনরি কিসিঞ্জারের বাংলাদেশকে নিয়ে কটূক্তিসূচক তকমা–‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। অন্যদিকে এবং প্রায় একই সময়ে উন্নয়ন গবেষক জে পারকিনসন ও ইউস্ট ফাল্যান্ডের সাড়াজাগানো বই (‘বাংলাদেশ : এ টেস্ট কেস ফর ডেভেলপমেন্ট’) বলল, বাংলাদেশ যদি উন্নয়নের মুখ দেখে তাহলে পৃথিবীর কোনো দেশই উন্নয়নের বাইরে থাকবে না (অবশ্য, তারা ২০০৭ সালে বাংলাদেশে এসে তাদের ভবিষ্যৎবাণীর ভুল স্বীকার করে এটাও বলে গেছেন যে, টেকসই উন্নয়ন বাংলাদেশের হাতের নাগালে, যদিও নিশ্চিত নয়)।

তবে আর্থসামাজিক অবস্থার সুড়ঙ্গের শেষপ্রান্তে বাতি না থাকলেও, বাতি কিন্তু টিম টিম করে জ্বলছিল অন্য এক জায়গায়। সমাজবিজ্ঞানী কেএএস মুর্শিদ বলছেন, ‘কিন্তু একই সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে হয়, সেই খারাপ সময়ের ভালো দিক ছিল ব্যাপক বিতর্ক, মতান্তর এবং সংগ্রাম আলাপ করা, ভিন্নমত দেওয়া অথবা সরকার কিংবা দাতাদের নীতি অথবা অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করাসংক্ষেপে বৃদ্ধি পাওয়া এবং বিকশিত হওয়া।’

তিন

তারপরের ইতিহাস অন্য রকম। অনেক বাধাবিপত্তি, খুনখারাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং মহাদুর্যোগ করোনা পেরিয়ে বাংলাদেশে এখন পদ্মা ও যমুনা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে দীর্ঘ সেতুÑপ্রথমটি বিশ্বব্যাংককে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, ভৌত এবং মানব অবকাঠামো গড়ে উঠছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, অপেক্ষমাণ স্মার্ট বাংলাদেশ, ঢাকা শহরে মেট্রোরেল আর এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল, মাথাপিছু বার্ষিক আয় প্রায় ৩০০০ ডলার, প্রত্যাশিত জীবন বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত নারীসমাজের ৩৫-৩৮ শতাংশ, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ, পোশাক শিল্প এবং রেমিট্যান্স ম্যাজিক ইত্যাদি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে বর্তমানে ‘শাবাশ বাংলাদেশ’।

বিভিন্ন অধ্যয়ন থেকে ধার করে জানতে পারি, ১৯৭১-২০২৩ সময়কালে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের চিত্তাকর্ষক চিত্রÑ দেশটির সম্ভাবনা, সাফল্য এবং সীমাবদ্ধতার ক্ষেত্রগুলোপাখির চোখে পর্যবেক্ষণএ বার্ডস আই ভিউবলে দেয় যে সহায়কী পরিবেশ সাপেক্ষে কৃষি উন্নয়ন এবং নিম্নগামী প্রজনন, হা পরবর্তীকালের প্রশংসনীয় উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করেছিল। এবং বলাবাহুল্য, এক ঝলকে মনে হবে বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্পটা যেন জিরো থেকে হিরোহওয়ারসুতরাং বাংলাদেশের গুপ্ত বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন একজন পর্যবেক্ষকের কাছে প্রথম দিককার বাস্তবতায় সামান্য উন্নতিসারপ্রাইজ’, ‘প্যারাডক্স’ কিংবামিরাকেলহিসেবে ঠাহর হওয়াটাই স্বাভাবিক

কবি সুকান্তের কথায় ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’ কিংবা ‘ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো’–রফিক আজাদের এমনতর হুংকার তৎকালীন খাদ্য সংকটের দিকে আঙুল তোলে। কিন্তু তা হলেও কী হবে বাংলাদেশ যে দমবার দেশ নয়। খাদ্যনিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবুজ বিপ্লব এবং তার সঙ্গে সহায়কী নীতিমালা, উপকরণ ও উৎপাদন বাজারের সংস্কার এবং এর পেছনে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন একসময়ের অসম্ভব খাদ্যনিরাপত্তাকে সম্ভব করে তুলেছে–স্বাধীনতার অব্যবহৃত পরে খাদ্য উৎপাদন এক কোটি টন থেকে এখন সাড়ে চার কোটি টনের ওপর। আগে খাদ্য আমদানি করা হতো মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য; এখন স্বল্প পরিমাণে আমদানি মৌসুমভিত্তিক বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য। সবুজ বিপ্লব গ্রামীণ মজুরি, খাদ্যের দাম ও ভোগ, দারিদ্র্য, সরকারি বাজেট এবং লেনদেনের ভারসাম্যে ভূয়সী প্রভাব রেখেছে

বলা চলে মোটাদাগে স্বাধীনতার সংগ্রাম–ভৌগোলিক অর্থে সফল হয়েছে। ২৬ মার্চ ১৯৭০ স্বাধিকার আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার প্রয়াস রুখে দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ পরাধীন থেকে স্বাধীন হয়ে বিভিন্ন আর্থসামাজিক নির্দেশকে পাকিস্তান নামক দেশটিকে পিছু ফেলে সামনের দিকে ধাবমান। এমনকি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, বাংলাদেশ কিছু কিছু সামাজিক নির্দেশকে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে টপকে গেছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় রোল মডেল বলে খ্যাত।

চার

তবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক শৃঙ্খল থেকে বাংলাদেশের মানুষ কতটা মুক্ত; সে নিয়ে প্রচুর বিতর্ক ও বিভ্রান্তির অবকাশ আছে। কারণ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষাংশে থাকা ওই কথাটা- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’। সব দেশই একসময় স্বাধীন হয়, কিন্তু ওই দেশের মানুষের ‘মুক্তি’ নিশ্চিত করে না। সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার নিম্নগামী, যা প্রশংসনীয় কিন্তু নিন্দনীয় এই যে সমাজের আয় ও সম্পদবৈষম্য প্রকট ঊর্ধ্বগামী। খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠান বিবিএসের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ বলছে, আয়বৈষম্য মাত্রা তির্যক ঊর্ধ্বগামী; আয় সম্পর্কিত গিনি সহগের মান ২০২২ সালে শূন্য দশমিক ৪৯৯, যা ২০১৬ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৪৮২ এবং ২০১০ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৪৫৮। সুতরাং সমালোচকরা বলতেই পারেন যে, বিগত দিনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল নিচের দিকে চুইয়ে পড়েনি, ওপরের দিকে উঠেছে; আয়ের দিক থেকে ওপরের ১০ শতাংশের হিস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিচের ৪০ শতাংশের হিস্যা হ্রাস পেয়েছে। যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু গর্জে উঠেছিলেন, আমাদের আফসোস, সেই বৈষম্য বাংলাদেশে ডালাপালা গজিয়ে মহিরুপ ধারণ করেছে।

এখন চারদিকে দুর্নীতির দুর্গন্ধ এতই প্রকট যে, শুধু নাক ঢেকে স্বস্তি পাওয়া দুষ্কর, পুরো শরীর ঢেকে মাথায় মুড়ি দিয়ে হাঁটতে হয়। কেবলমাত্র দুর্নীতির কারণে নাকি প্রতিবছর জিডিপির ২-৩ শতাংশ, যা দিয়ে তিনটা পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব, হারাতে হয়। অথচ এমন ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অভাব দৃশ্যমান। গড়ে উঠেছে অর্থ পাচার আর ঋণখেলাপের সংস্কৃতি। দুবাই, সিঙ্গাপুর, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে গেল কবছরে কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে চাউর আছে। ঋণখেলাপের মাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে অথচ এদের ধরার জন্য চেষ্টা তো নয়ই; বরং বিভিন্ন বাহানায় এরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। এমন দেশে যেখানে কৃষক হাজার কয়েক টাকার ঋণখেলাপি হলে কোমরে দড়ি পরানো হয়। কবি শামসুর রাহমানের ভাষায়, ‘উদ্ভট এক উটের পিঠে চলছে স্বদেশ’।

পাঁচ

বঙ্গবন্ধুর আমলে মূলত রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করতেন, সংসদ সদস্য হতেন। সময়ের আবর্তনে রাজনীতির মাঠ দখল নিয়েছেন ব্যবসায়ী। কেউ আগে ব্যবসা পরে রাজনীতি, কেউ আগে রাজনীতি পরে ব্যবসা। অথচ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে মানুষের নাকাল অবস্থা।

কেএএস মুর্শিদের কথায় : এখানে এখন আছে নতুন অপেক্ষাকৃত বড় আকারের বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী দৃঢ়ভাবে গ্রথিত এবং তারও ওপরে নেতৃত্বে রয়েছে শক্তিশালী একীভূত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যারা সুপার ধনীসত্তর অথবা আশির দশকে এদের অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলেঠিক তেমনিভাবে পরিবর্তন এসেছে কর্মী-শ্রেণির যেমন বস্তি এখন শিল্প শ্রমিকের আস্তানা

“...বাংলাদেশের ব্যবসায়ী শ্রেণির ওপরে ওঠা যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি বিপজ্জনকওস্বজনতোষী এবং অপরাধমূলক পুঁজি (ক্রনি আর ক্রিমিনাল ক্যাপিটাল) ক্রমবর্ধমান শক্তি ও প্রভাবের অধিকারী হয়ে স্বাধীন পুঁজিকে বিতাড়িত করছে, যা আমাদের উন্নয়ন প্রত্যাশার মুখে বিরাট আঘাত এবং এই প্রবণতা রুখতেই হবেভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কারের গতিপথ ও দ্রুততা এবং বাংলাদেশ দায়িত্বশীল গণতন্ত্র হিসেবে তাকে পুনঃস্থাপন করতে পারে কি না, সে বিষয়।”

ছয়

বঙ্গবন্ধুর মুক্তিসংগ্রাম সফল করতে হলে চলমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ডিসকোর্স থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রবৃদ্ধির স্বার্থে সমতা গুরুত্বহীন করা নয়; বরং প্রয়োজন হলে সমতার স্বার্থে প্রবৃদ্ধি কিছুটা সেক্রিফাইস করা। আসলে সমতা সহকারে প্রবৃদ্ধি অর্জন বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত মুক্তির পথের কথা বলে ‘অমর কবিতাখানি’–‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম…’।

  • অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা