প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:০২ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:১০ পিএম
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আবদুল আউয়াল মিন্টুর দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান নিয়ে দেওয়া বক্তব্যকে ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অবমাননাকর উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহকর্মী জাতীয় নেতাদের পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আড়াই দশকের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এই দীর্ঘ সংগ্রামে অসংখ্য মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া নানভাবে নির্যাতিত হয়েছেন আরও অগণিত মানুষ।
এতে আরও বলা হয়, কেবলমাত্র একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ই শহীদ হয়েছেন ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ, সম্ভ্রম হারিয়েছেন লাখ লাখ মাতা-বধু-কন্যা। ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাইচান্স এসেছে’ এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য রেখে গয়েশ্বর রায় এই মহান আত্মত্যাগকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। সেইসঙ্গে আবদুল আউয়াল মিন্টু দেশের সংবিধান যারা তৈরি করেছেন তারা কেউ যোগ্য লোক ছিলেন না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সংবিধান নতুন করে লেখার যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জনগণের তোয়াক্কা না করে যারা কোনো কোনো সামরিক কর্মকর্তার পকেট থেকে জন্ম নেওয়া দলের বাইচান্স নেতা হয়ে গিয়েছেন, একমাত্র তাদের পক্ষেই দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান নিয়ে এমন ধরনের অর্বাচীন ও বাস্তবতা-বিবর্জিত মন্তব্য করা সম্ভব।
বিবৃতিতে তাদের এইসব বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক এবং এজন্য অবিলম্বে তাদেরকে প্রচলিত আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানানো হয়।