× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ পানি-পয়োনিষ্কাশনের সুবিধা দেবে ব্র্যাক

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৮ পিএম

আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৯ পিএম

১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ পানি-পয়োনিষ্কাশনের সুবিধা দেবে ব্র্যাক

দেশে জলবায়ুদুর্গত ১৪ জেলার ১০ লাখ প্রান্তিক মানুষের কাছে নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশনের সুবিধা পৌঁছে দেবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। ‘ইকুইটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল ওয়াশ সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান হটস্পটস ২০২২- ২০২৬’ শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় এ সুবিধা দেওয়া হবে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক কর্মশালার মাধ্যমে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। 

বাংলাদেশস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচির সঙ্গে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রয়েছে আইআরসি নেদারল্যান্ডস। ব্র্যাকের এইচসিএমপি এন্ড এক্সটারনাল কমিউনিকেশনসের হেড মামুনুল হক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৬ সাল থেকে ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচি তাদের নানা প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৪.২ মিলিয়ন মানুষকে স্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা পেতে এবং প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষকে বিশুদ্ধ পানির সুবিধা পেতে সহায়তা করেছে। এবারের এই প্রকল্পে উপকূল, বরেন্দ্র, হাওর ও বন্যাপ্রবণ এলাকা– এই ৪টি  জলবায়ু অঞ্চলের নানা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১০ লাখ মানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীরাও।

এছাড়া কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে "নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতায় ব্র্যাকের অভিযাত্রা একটি সমাজ রূপান্তরের গল্প” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বইটির সহলেখক এবং ব্র্যাকের ওয়াটার, স্যানিটেশন এবং হাইজিন (ওয়াশ) কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বইটিতে ৪০ বছরে বাংলাদেশে ওয়াশ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা এই বইয়ে সংকলিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে ব্র্যাকের নিজস্ব ওয়াশ কর্মসূচি ছাড়াও সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও তুলে ধরা হয়েছে। ব্র্যাকের ওয়াশ কর্মসূচি দেশের দক্ষিণের উপকূলীয় এলাকা, বরেন্দ্রভূমি, আকস্মিক বন্যা ও হাওর এলাকাগুলোর ওপর বিশেষ জোর দিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ২০০৩ সালে দেশে মাত্র ৩৩% বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ছিল এবং ২৫% বাড়িতে ছিল স্বাস্থ্যসম্মত নয় এমন পায়খানা। তখন একটি বড় সংখ্যক মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করতেন। আর আজ, প্রায় প্রতিটি পরিবার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে পারছে। স্যানিটেশন বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যক্রম উন্নয়ন সহযোগীদের দ্বারা উচ্চপ্রশংসিত হয়েছে।   

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, ওয়াশ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের অংশিদারি কার্যক্রম শুরু ২০০৫ সালে। পরের বছরই ব্র্যাকের সঙ্গে এই খাতে অংশিদারিত্ব শুরু হয়। বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা কিছু ক্ষেত্র বিরাট মাপের কার্যক্রম যার বাজেটও বিপুল। তবে ওয়াশের অনেক ধরনের সমাধান রয়েছে যেগুলো ব্যয়সাশ্রয়ী, টেকসই এবং উদ্ভাবনমূলক। 

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, অনেক অগ্রগতি হয়েছে, তবে এখনও দেশে দুই কোটি অতিদরিদ্র মানুষ রয়ে গেছেন। পরবর্তী সংকট সৃষ্টি হবে পানিকে ঘিরেই। সে বিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আশংকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং সংলাপও শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এবং জোরদার পরিকল্পনা না করা হলে পানির চরম সংকটে পড়তে হবে।

এমডিজি থেকে এসডিজিতে নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের লক্ষ্য অর্জনে ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচি নানা উদ্ভাবনী প্রকল্প গ্রহণ করে আসছে। এটি সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া সে রকমই এক প্রকল্প। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল সধারণ মানুষের জন্য, বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চলে বসবাসরত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাপ্যতা ও পরিষেবার মানের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনা। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এইচএম খালেকুর রহমান, ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. খাইরুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংকের ওয়াশ বিশেষজ্ঞ রোকেয়া আহমেদ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা