প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৪ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪৪ পিএম
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পজিটিভ ঢাকা আয়োজন করে ‘ভাষা উৎসব-২০২৩’
২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতিবছর দিনটি প্রত্যেকটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা রকম আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পালিত হয়। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হতে বঞ্চিত শিশুগুলো আদৌ কি জানে দিনটির তাৎপর্য!
তাই সামাজিক সংগঠন পজিটিভ ঢাকা পরিচালিত পজিটিভ স্কুল আয়োজন করে ‘ভাষা উৎসব-২০২৩’ নামে ব্যতিক্রমধর্মী একটি অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় এর কার্যক্রম। এরপর ৫২’র ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সামনে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরেন পজিটিভ স্কুলের শিক্ষকগণ। সেই আলোচনার অংশ বিশেষ থেকে করা হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। প্রশ্নের সঠিক উত্তরদাতাদের জন্য উপহার হিসেবে দেওয়া হয় চকলেট।
ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও ভাষা সৈনিকদের ত্যাগের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জানার উদ্দেশ্যে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে শিক্ষকদের। শিক্ষকরাও আনন্দ নিয়ে জানাতে থাকে ওদের। সব মিলিয়ে একটি আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয় সেখানে। এরপর ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা হয় র্যালি। আয়োজনে ৩০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য করা হয় খাবারের ব্যবস্থাও।
পজিটিভ ঢাকা একটি মানবিক, সামাজিক ও অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০২০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর অসুস্থ মানুষকে রক্তদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এম. এম. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পজিটিভ স্কুল আমাদের একটি নৈতিক শিক্ষামূলক কার্যক্রম। আমরা বিশ্বাস করি, একটি শিশুর সুন্দর জীবন পাওয়া তার অধিকার। তবে আমাদের সমাজে এমন অনেক শিশুই বেড়ে উঠছে অবহেলা ও অনাদরে। এদের বৃহৎ অংশই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যার কারণে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তারা খুব সহজেই জড়িয়ে যায়। আশেপাশের এমন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রাথমিক ও নৈতিক শিক্ষাদানের লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে পজিটিভ স্কুল। আমাদের এই পথচলায় আমরা অসাধারণ সব স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তা পেয়েছি। যাদের উদ্দেশ্য মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অবহেলা না করে তাদের সুন্দর জীবন গড়তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।’