স্বাধীনতা দিবসের সভায় বক্তারা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২২:২৯ পিএম
মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধদিনের স্মৃতি স্মরণ করে বক্তব্য দেন
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা ও প্রমিন্যান্ট হাউজিং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের প্রমিন্যান্ট হাউজিং প্রাঙ্গনে আয়োজিত সভায় মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধদিনের স্মৃতি স্মরণ করে বক্তব্য দেন। এ সময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বাঙালি জাতির গৌরবের দিন, দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়, কারও দানে পাওয়া নয়।
এ সময় হাউজিংয়ের ১২জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শত্রু সেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন।’ তৎকালীন ইপিআরের ওয়্যারলেস থেকে বঙ্গবন্ধুর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় দেশের সর্বত্র। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণায় সেদিনই ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা জাতি। এরপর ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আজহারুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রসুল বাবুল ও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বক্তৃতা করেন। এছাড়া অদম্য মেধাবী ছাত্রী মনপুরার ইশরাত জাহান মিতু বক্তৃতা করেন। মিতু সুনামগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সরকারি মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি’ প্রাপ্ত একজন অদম্য মেধাবী।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আরা ফেরদৌস, সংস্থার আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি মো: আরফাকুল আলম ও প্রমিন্যান্ট হাউজিংয়ের সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।