প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৭ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৬ পিএম
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। প্রবা ফটো
গণআন্দোলনে ভীত সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, ‘স্বাধীনভাবে রাজনীতি এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সরকারের মন্ত্রী নেতারা হর-হামেশায়ই বলেন, দেশে সবার রাজনীতি করবার অধিকার রয়েছে। বিদেশিদের সামনে তারা বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সরকার নাকি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। সরকারের এই বয়ান পুরোটাই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য হচ্ছে সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা চালাচ্ছে। গণআন্দোলনে ভীত সরকার দমন নিপীড়ন চালিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাণ্ডব সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, ‘কাল (সোমবার) দেশব্যাপী মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ দফা বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সমাবেশ ও মিছিলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচি সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার দমন নিপীড়ন চালায়, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং কর্মসূচি চলাকালে হামলা চালায়। অধিকাংশ জায়গায় কর্মসূচি পালন না করতে প্রশাসনকে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়।’
চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলপূর্ব সমাবেশ চলাকালে পুলিশ হামলা করেছে উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, ‘বেধড়ক লাঠি চার্জ, গুলি, সাউন্ড বোমার হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযানে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন, গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে। রাতে পুলিশ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চালায়।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ছাড়াও সীতাকুণ্ড, ময়মনসিংহ, ধামরাই, কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, ভৈরব, সিরাজগঞ্জ, শেরপুরের নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবর্দী, কুষ্টিয়া, রাজশাহীর বাঘা, সিলেটের গোয়াইনঘাট, মাদারীপুরের ডাসার, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, গাজীপুরের শ্রীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশ হামলা চালায়। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হন এবং অনেককে আবার গ্রেপ্তার করার অভিযোগও করেন তিনি।
একই সঙ্গে এ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।