সরকারের সমালোচনা করলে বলা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতা : জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্রের কথা বলতে চাইলে মানুষের কন্ঠরোধ করা হয়। সরকারের সমালোচনা করলে বলা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতা।

তিনি বলেন, ‘দেশে কি গণতন্ত্র আছে? সাধারণ মানুষ কি প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে? জনপ্রতিনিধিরা কি জনগণের কথা শুনতে চায়? এখন গণতন্ত্রের কথা বলতে চাইলে মানুষের কন্ঠরোধ করার ব্যবস্থা হয়। সরকারের সমালোচনা করলে বলা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতা।’

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দলের বনানীস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জি এম কাদের এ অভিযোগ করেন।

জি এম কাদের বলেন, ’বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাঙালি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধিকার আন্দোলনের পথ রচনা করলেও এখন নিজের অধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলে কণ্ঠরোধ করা হয়।’ 

তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এসেছে। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। অন্যায়ের প্রতিবাদে রক্ত দেওয়ার শিক্ষাও আমাদের দিয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি। আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু মুক্তি পাইনি। দেশের মানুষ বৈষম্য ও কুশাসনের বিরুদ্ধে মুক্তি পায়নি।’

জি এম কাদের আরও বলেন, ‘যে স্বাধীনতার জন্য দেশের মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই স্বাধীনতার চেতনা এখন কোথায়? দেশে এখন একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্রের কথা বলে এক সরকার থেকে অন্য সরকার আসছে, কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে কারও উদ্যোগ নেই। যারা পল্লীবন্ধুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পরে রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েছেন, তারা সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র ও সুশাসন দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, এসএম ফয়সল চিশতী, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল।