প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪২ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১১ পিএম
সরকার সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘কী শুরু করেছেন আপনারা (সরকার)? সংবিধানের কথা বলেন। আরে সংবিধান নিয়ে তো আপনারা তামাশা করতেছেন। আপনারা সংবিধানে লিখে রাখেন সমাজতন্ত্র কায়েম করবেন আর চর্চা করেন মুক্তবাজার অর্থনীতি। এ দুইটা কি একসঙ্গে যায়? বইতে লিখে রাখবেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। আবার বলবেন আপনারা ধর্মনিরপেক্ষ। এই কি যায়?’
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা যে সংবিধান নিয়ে রঙতামাশা করেন এই সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করতে চান। অসম্ভব। পারবেন না। কেউ পারে নাই। আপনারাও পারবেন না। ইনশা আল্লাহ আগমী দিনে আমরা এগিয়ে যাব।’
সরকার যেসব সংবাদপত্র-টিভি চ্যানেল ‘অন্যায়ভাবে বন্ধ করেছে’ ক্ষমতার পরিবর্তনের পর তা খুলে দেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘লাখো মানুষের রক্তের বিনিময় যে দেশটা আমরা অর্জন করেছি সেই দেশটা ওরা শেষ করে ফেলবে, আর আমরা বসে থাকব—এটা হতে পারে না। আজকাল সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ আগে ভয় পেত এখন আর ভয় পায় না।’
তিনি দেশের মন্ত্রীদের গণপরিবহনে ভ্রমণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘খলিফা হারুনুর রশিদের মতো ছদ্মবেশে বাসে যান, শোনেন বাসের মধ্যে লোকেরা আপনাদের সম্পর্কে কী কথা বলে? আল্লাহর কসম! একটা-দুইটা স্টপেজের বেশি থাকতে পারবেন না বাসে। অসুস্থ হয়ে নেমে এসে পড়বেন যে, আল্লাহ বাঁচাও। যান বসেন কোনো গ্রামের চায়ের স্টলে, সেখানে কী বলে আপনাদের সম্পর্কে লোকজন। কিন্তু শুনবেন না আপনারা এসব।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিলের দাবিতে এই পেশাজীবী সমাবেশ হয়।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, এমএ আজিজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।