সরকার সংবিধান নিয়ে রঙ-তামাশা করছে : নজরুল ইসলাম

সরকার সংবিধান নিয়ে রঙ-তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সরকারের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কী শুরু করেছেন আপনারা? সংবিধানের কথা বলেন। অথচ সংবিধান নিয়ে তো আপনারা তামাশা করছেন। আপনারা সংবিধানে লিখে রেখেছেন সমাজতন্ত্র কায়েম করবেন, আর চর্চা করেন মুক্তবাজার অর্থনীতি। এই দুটা কি একসঙ্গে যায়? বইতে লিখে রাখবেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। আবার বলবেন আপনারা ধর্মনিরপেক্ষ। এটা কী হয়?’

তিনি বলেন, ‘আপনারা যে সংবিধান নিয়ে রঙ-তামাশা করেন, এই সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করতে চান। অসম্ভব। পারবেন না। কেউ পারে নাই। আপনারাও পারবেন না।’

সরকার যেসব সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল ‘অন্যায়ভাবে বন্ধ করছে’, ক্ষমতা পরিবর্তনের পর তা খুলে দেওয়া বলে অঙ্গীকার করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

তিনি বলেন, ‘লাখো মানুষের রক্তের বিনিময় যে দেশ আমরা অর্জন করেছি, সেই দেশ ওরা শেষ করে ফেলবে আর আমরা বসে থাকব-এটা হতে পারে না। দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ আগে ভয় পেত, এখন আর ভয় পায় না।’

মন্ত্রীদের গণপরিবহনে চলাচলের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খলিফা হারুনুর রশীদের মতো ছন্দবেশে গণপরিবহনে যান, শুনে আসেন লোকেরা আপনাদের সম্পর্কে কী বলে। আল্লাহর কসম, একটা-দুটা স্টপেজের বেশি থাকতে পারবেন না বাসে। অসুস্থ হয়ে নেমে পড়বেন আর বলবেন, আল্লাহ বাঁচাও।’

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, এম এ আজিজ, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম কাগজী, দিনকালের বার্তা সম্পাদক রাশেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।