প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ২৩:০১ পিএম
শনিবার দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টির মিছিল। সঙগৃহীত ফটো
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, মাহে রমজানে রোজাদার ধর্মপ্রাণ মানুষের রোজা পালনের জন্য দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন সর্বহারা শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। সরকার যখন গলা উচিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ বলছে, তখন দেশে ধনী গরিবের শ্রেণি বৈষম্য জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। খোলা আকাশের নিচে লাখ লাখ মানুষ বসবাস করছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) পুরানাপল্টনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফার সমর্থনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি-ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, ‘দুর্নীতি লুটপাট ও অর্থপাচারের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সমাজের সর্বত্র হাহাকার বিরাজ করছে আর সরকার উন্নয়নের ঢেকুর তুলছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট বেড়েই চলছে। ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের অভাবে সোনার বাংলা আজ শ্মশানে পরিণত হয়েছে। সরকারের লুটপাট ও অর্থপাচারের খেসারত গুনছে দেশের সাধারণ মানুষ। তাই খাইখাই রাজনীতি পরিহার করে অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমাউন কবিরের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, দেশ বাচাঁও মানুষ বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ডা. মাসুদ হোসেন, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক শওকত চৌধুরী, অর্থসম্পাদক রাসেল সিকদার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, ছাত্রমিশন সহ-সভাপতি মো. শুভ আহমেদ ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
পরে মিছিলটি পল্টন মোড়, তোপখানা রোড, বিজয়নগর, নাইটেংগেল মোড় হয়ে টেপা কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়।