× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ পুরনো ফাঁদ পেতেছে : মির্জা ফখরুল

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫০ পিএম

জাগপা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রবা ফটো

জাগপা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রবা ফটো

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ফাঁদ পেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ এখন যে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে এটা দলটির একটি শয়তানি। এভাবেই দলটি ফাঁদ পেতে আবারও নির্বাচনে নিয়ে যেতে চায়। 

রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে এক সভায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

তিনি বলেন, ‘আজকে ভয় পেলে চলবে না। আবারও আমাদেরকে জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব। তা না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারো পুরনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে। আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি। তারা দেশের মানুষকে বোকা ভাবছে, কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না।’

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের যে কথা বলে সেটাকে ফাঁকা বুলি হিসেবে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এভাবে চলতে থাকলে তা হবে জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এরা প্রতারক ও ভণ্ড।’ 

ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষ এখন সত্য কতা লেখেওনা, বলেওনা। যারা প্রতিবাদী তারাও আর সত্য কথা বলেনা। তারা আওয়ামী লীগের অন্যায়ের প্রতিবাদও করেন না। বর্তমানে দেশে এতগুলো টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা। কই তারা তো ভিন্ন মতের খবর দেখাতে ও বলতে পারে না।’

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, দেশে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চালুর আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ। অথচ তারা এখন সে ব্যবস্থা আর রাখতে চায় না নিজেদের ক্ষমতাকে হাতছাড়া করতে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেনো? আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সেসময় বলেছিল, বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় যায় পরবর্তীতে তারা ফের ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। এমনকি আওয়ামী লীগ ওই দাবিতে দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল। বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল। একপর্যায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেসময় দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।’

তবে পরে এসে সে ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে বলে জানান তিনি। 

ফখরুল বলেন, ‘আজকেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই প্রথমে নিজেরা আদালতকে ব্যবহার করে সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা। এজন্য যিনি রায় দিয়েছেন সেই বিচারক খায়রুল হককে একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছেন সেজন্য। তবে এবার দেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির মানুষ জেগে উঠেছে। আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই। তবেই আমাদের দাবি আদায় করা সম্ভব হবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান বক্তব্য দেন। 

এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল’র সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএম শাওন সাদেকী, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দিনাজপুর জেলার সভাপতি রকিব চৌধুরী মুন্না, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি আসম মিসবাহ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, প্রিন্সিপাল হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা